নির্বাচনে লড়তে দলের কাজ শুরু করলেন অ্যাসাঞ্জ
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম শুরু করেছেন। নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচনে লড়তে যাচ্ছেন তিনি। লাখ লাখ মার্কিন গোপন সরকারি নথি ফাঁস করে বিশ্বব্যাপী হইচই ফেলে দেওয়া উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, তাঁর দলের প্রার্থীদের জয়ী করার অর্থ হচ্ছে দেশের ‘সেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের’ সিনেটে জায়গা করে দেওয়া। উইকিলিকস পার্টি (ডব্লিউএলপি) সিনেটের উচ্চকক্ষের জন্য মোট সাতজন প্রার্থী দেবে। নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্যে ভোটের লড়াইয়ে নামবে দলটি। অ্যাসাঞ্জ নির্বাচনে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, তিনি ‘সরকারের কর্মকাণ্ডের একজন স্বতন্ত্র নিরীক্ষক’ হতে চান। দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ‘উইকিলিকস পার্টির মূল্যবোধের ভিত্তি হচ্ছে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার। এগুলোই হবে অস্ট্রেলীয়দের জন্য কর, সংস্কার, আশ্রয়প্রার্থী, জলবায়ু পরিবর্তন নীতি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আসল ভিত্তি।’ ব্রিটিশ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে অ্যাসাঞ্জ এক বছরের বেশি সময় ধরে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে অবস্থান করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সুইডেনে যৌন হয়রানির মামলা হয়েছে। সুইডেন কর্তৃপক্ষ অ্যাসাঞ্জকে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। তবে অ্যাসাঞ্জের ভয়, সুইডেনে পাঠানো হলে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। কারণ, গোপন নথি ফাঁস করার ঘটনায় ক্ষিপ্ত যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে বিচারের মুখে দাঁড় করাতে চাইতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় আগামী নভেম্বর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাডের লেবার পার্টি ও টনি অ্যাবোটের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে। মতামত জরিপগুলো বলছে, নির্বাচনে অ্যাবোট সামান্য ব্যবধানে জয়ী হতে পারেন। অ্যাসাঞ্জ বলছেন, তাঁর পরিকল্পনা হচ্ছে রাজনীতিবিদদের সৎ থাকতে সহায়তা করা। তিনি বলেন, ‘ডব্লিউএলপিকে সিনেটে পাঠানো মানে অস্ট্রেলিয়ার সেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সিনেটে পাঠানো। মূলত এ কারণেই অসৎ ক্যানবেরা সরকার সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছে।’ এএফপি।
No comments