চোরাই সোনা বিমানেই হাতবদলের কৌশল by এস এম রানা
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে
অবৈধভাবে আনা প্রায় সাড়ে ১৭ কেজি সোনা হাতবদল হয়ে যেত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজেই।
চট্টগ্রাম থেকে ওই বিমানে যাত্রীর ছদ্মবেশে ওঠার কথা ছিল একজন
চোরাকারবারির।
আর বিদেশ থেকে সোনা বহন করে আনা শাহনেওয়াজ
বিমানে তাঁর আসনের ওপর কেবিনে সোনাভর্তি স্কুলব্যাগটি রাখতেন। ঢাকায় পৌঁছে
নেমে যাওয়ার সময় ওই চোরাকারবারি শাহনেওয়াজের ব্যাগটি নিয়ে নেমে যেতেন। পরে
নিজের অন্য মাল নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যেতেন শাহনেওয়াজ। সোনা
চোরাচালানের কৌশলের কথা শাহনেওয়াজ নিজেই জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের
একজন কর্মকর্তাকে। ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল
বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
চোরাচালানিদের নতুন কৌশলের বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ বিমান এবং বেসরকারি বিভিন্ন এয়ারওয়েজের বিমান দুবাই, সৌদি আবর, বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রথমে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসছে। পরে সেটি প্রয়োজন অনুযায়ী ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম কিংবা চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকা যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার মাস্কাট থেকে ইউনাইটে এয়ারওয়েজের বিমানটি প্রথমে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে চট্টগ্রাম থেকে আরো কয়েকজন অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একইভাবে বাংলাদেশ বিমানের বিভিন্ন বেসরকারি কম্পানির বিমান ঢাকা অতরণের পর অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের নিয়ে চট্টগ্রামেও আসে। কিন্তু আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের যেভাবে তল্লাশি করা হয়, অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের সেভাবে তা করা হয় না। এই সুযোগটি এখন কাজে লাগাচ্ছে চোরাকারবারিরা।
গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, শাহনেওয়াজ গোয়েন্দাদের বলেছেন, চট্টগ্রাম থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিমানে চোরাকারবারিদের একজনের ওঠার কথা ছিল। শাহনেওয়াজের আসনের ওপর কেবিনে থাকা সোনাভর্তি ব্যাগ নিয়ে ওই যাত্রী অভ্যন্তরীণ নির্গমন পথ দিয়ে বেরিয়ে যেতেন। আর শাহনেওয়াজ বের হতেন বহির্গমন পথ ধরে। বিমানেই সোনা হাতবদল হয়ে যাওয়ার কারণে শাহনেওয়াজের কোনো ঝুঁকিও ছিল না।
এমন তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, চোরাকারবারিরা নতুন কৌশল হিসেবে এখন এটি ব্যবহার করছে। আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের মাধ্যমে সোনা আনার পর স্থানীয় যাত্রীদের মাধ্যমে তা বিমানবন্দর থেকে বের করে নেওয়া হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের যেহেতু তল্লাশি করা হয় না, সেহেতু এই সুযোগটি চোরাকারবারিরা ব্যবহার করছেন।
বিমানকর্মীদের সঙ্গে তর্কে ধরা : বিমানে ওঠার পর শান্ত ছিলেন শাহনেওয়াজ। চট্টগ্রামে বিমানটি পৌঁছার আগেই তিনি বিমানের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে পায়চারি শুরু করেন। উদ্ভ্রান্তের মতো এদিক-সেদিক নির্বাক তাকাতে থাকেন। বেশ কয়েকবার এভাবে পায়চারি করার পর বিমানের কর্মীরা তাঁকে নির্দিষ্ট আসনে বসার অনুরোধ জানান। জবাবে শাহনেওয়াজ উত্তেজিত হয়ে তর্ক শুরু করেন। পায়চারির সময় শাহনেওয়াজের হাতে কালো রঙের স্কুলব্যাগটি ছিল। তর্কের শুরুতে বিমানের কর্মীরা তাঁকে নিজের আসনে বসে ব্যাগটি কেবিনে রাখার অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে শাহনেওয়াজ বলেন, 'ব্যাগে অস্ত্র আছে।' আবার বলেন, 'সোনা আছে'। এর পরও শান্ত ছিলেন বিমানের কর্মীরা। পরে শাহনেওয়াজ সন্দেহজনক আচরণ শুরু করলে বিমানকর্মীরা তাঁকে চট্টগ্রামে অপলোড করে দেওয়ার হুমকি দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, 'কিভাবে চট্টগ্রামে নামাবেন? আমি তো ঢাকা পর্যন্ত টিকিট করেছি।' এ নিয়ে আরো কিছুক্ষণ তর্কের পর বিমান পৌঁছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে। তখন বিমানের কর্মীরা কামস্টস গোয়েন্দা এবং শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে খবর দেন। খবর পেয়ে শুরুতেই দুজন গোয়েন্দা পরিদর্শক বিমানের কাছে পৌঁছেন। কিন্তু শাহনেওয়াজকে পেলেও শুরুতে ব্যাগ পাননি। পরে ব্যাগটি পাওয়া যায় বিমানের যাত্রীদের নাস্তা রাখার স্থানে। সেখানে ব্যাগটি বিমানের কর্মীরা রেখেছিলেন বলে শাহনেওয়াজ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীদের জানিয়েছেন। পরে গোয়েন্দা সংস্থা সোনা উদ্ধার এবং শাহনেওয়াজকে আটক করে।
কর্মকর্তারা বলছেন, শাহনেওয়াজ যদি বিমানকর্মীদের সঙ্গে তর্ক না করতেন এবং বিমানে চট্টগ্রাম থেকে নতুন করে ওঠা চোরাকারবারি ব্যাগটি বিমানেই হাতবদল করতেন, তবে কোনোভাবেই সোনা ধরা সম্ভব হতো না।
চোরাচালানিদের নতুন কৌশলের বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ বিমান এবং বেসরকারি বিভিন্ন এয়ারওয়েজের বিমান দুবাই, সৌদি আবর, বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রথমে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসছে। পরে সেটি প্রয়োজন অনুযায়ী ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম কিংবা চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকা যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার মাস্কাট থেকে ইউনাইটে এয়ারওয়েজের বিমানটি প্রথমে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে চট্টগ্রাম থেকে আরো কয়েকজন অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একইভাবে বাংলাদেশ বিমানের বিভিন্ন বেসরকারি কম্পানির বিমান ঢাকা অতরণের পর অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের নিয়ে চট্টগ্রামেও আসে। কিন্তু আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের যেভাবে তল্লাশি করা হয়, অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের সেভাবে তা করা হয় না। এই সুযোগটি এখন কাজে লাগাচ্ছে চোরাকারবারিরা।
গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, শাহনেওয়াজ গোয়েন্দাদের বলেছেন, চট্টগ্রাম থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিমানে চোরাকারবারিদের একজনের ওঠার কথা ছিল। শাহনেওয়াজের আসনের ওপর কেবিনে থাকা সোনাভর্তি ব্যাগ নিয়ে ওই যাত্রী অভ্যন্তরীণ নির্গমন পথ দিয়ে বেরিয়ে যেতেন। আর শাহনেওয়াজ বের হতেন বহির্গমন পথ ধরে। বিমানেই সোনা হাতবদল হয়ে যাওয়ার কারণে শাহনেওয়াজের কোনো ঝুঁকিও ছিল না।
এমন তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, চোরাকারবারিরা নতুন কৌশল হিসেবে এখন এটি ব্যবহার করছে। আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের মাধ্যমে সোনা আনার পর স্থানীয় যাত্রীদের মাধ্যমে তা বিমানবন্দর থেকে বের করে নেওয়া হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের যেহেতু তল্লাশি করা হয় না, সেহেতু এই সুযোগটি চোরাকারবারিরা ব্যবহার করছেন।
বিমানকর্মীদের সঙ্গে তর্কে ধরা : বিমানে ওঠার পর শান্ত ছিলেন শাহনেওয়াজ। চট্টগ্রামে বিমানটি পৌঁছার আগেই তিনি বিমানের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে পায়চারি শুরু করেন। উদ্ভ্রান্তের মতো এদিক-সেদিক নির্বাক তাকাতে থাকেন। বেশ কয়েকবার এভাবে পায়চারি করার পর বিমানের কর্মীরা তাঁকে নির্দিষ্ট আসনে বসার অনুরোধ জানান। জবাবে শাহনেওয়াজ উত্তেজিত হয়ে তর্ক শুরু করেন। পায়চারির সময় শাহনেওয়াজের হাতে কালো রঙের স্কুলব্যাগটি ছিল। তর্কের শুরুতে বিমানের কর্মীরা তাঁকে নিজের আসনে বসে ব্যাগটি কেবিনে রাখার অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে শাহনেওয়াজ বলেন, 'ব্যাগে অস্ত্র আছে।' আবার বলেন, 'সোনা আছে'। এর পরও শান্ত ছিলেন বিমানের কর্মীরা। পরে শাহনেওয়াজ সন্দেহজনক আচরণ শুরু করলে বিমানকর্মীরা তাঁকে চট্টগ্রামে অপলোড করে দেওয়ার হুমকি দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, 'কিভাবে চট্টগ্রামে নামাবেন? আমি তো ঢাকা পর্যন্ত টিকিট করেছি।' এ নিয়ে আরো কিছুক্ষণ তর্কের পর বিমান পৌঁছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে। তখন বিমানের কর্মীরা কামস্টস গোয়েন্দা এবং শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে খবর দেন। খবর পেয়ে শুরুতেই দুজন গোয়েন্দা পরিদর্শক বিমানের কাছে পৌঁছেন। কিন্তু শাহনেওয়াজকে পেলেও শুরুতে ব্যাগ পাননি। পরে ব্যাগটি পাওয়া যায় বিমানের যাত্রীদের নাস্তা রাখার স্থানে। সেখানে ব্যাগটি বিমানের কর্মীরা রেখেছিলেন বলে শাহনেওয়াজ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীদের জানিয়েছেন। পরে গোয়েন্দা সংস্থা সোনা উদ্ধার এবং শাহনেওয়াজকে আটক করে।
কর্মকর্তারা বলছেন, শাহনেওয়াজ যদি বিমানকর্মীদের সঙ্গে তর্ক না করতেন এবং বিমানে চট্টগ্রাম থেকে নতুন করে ওঠা চোরাকারবারি ব্যাগটি বিমানেই হাতবদল করতেন, তবে কোনোভাবেই সোনা ধরা সম্ভব হতো না।
No comments