অমর্ত্য সেনের মূল্যায়ন-বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে পারে ভারত
'অর্থনীতির অনেক সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে
ভারত এগিয়ে। কিন্তু সামাজিক উন্নয়নের সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত বেশ
পেছনে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে ভারত।'
এ
মূল্যায়ন খোদ নোবেল বিজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের। ব্রিটেনের
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। এই
সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গার্ডিয়ান সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
অমর্ত্য সেনের মূল্যায়ন- ভারতের ৫০ শতাংশ জনগণের জন্য কোনো শৌচাগার নেই। বাংলাদেশে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত মাত্র আট শতাংশ জনগণ। গড় আয়ু, শিশুমৃত্যু রোধ, টিকাদান, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা সুবিধা- এসব সূচকে বাংলাদেশের রয়েছে চমকপ্রদ সাফল্য। অথচ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতের অর্ধেক। এটাই প্রমাণ করে ভারতে 'ত্রুটিপূর্ণ উন্নয়ন' ঘটছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের তুলনামূলক এ মূল্যায়ন অমর্ত্য সেন এবং হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যঁ দ্রেজের লেখা 'অ্যান আনসার্টেন গ্লোরি' বইতেও উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান। বইটিতে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং এর সঙ্গে জড়িত আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন লেখকরা।
গার্ডিয়ান জানায়, ভারতীয় এ অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ভারতীয় অর্থনীতি বাংলাদেশের তুলনায় দ্রুত শক্তিশালী হচ্ছে। কিন্তু এর পরও কিছু কিছু বিষয়ে বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রগতি লক্ষণীয়। যেমন- দরিদ্র মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ও স্বাস্থ্য সুবিধা, শিক্ষা সুবিধা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু এবং জন্মহার কমানো।
অমর্ত্য সেন আরো বলেন, 'নয়াদিল্লিতে যখন বড় বড় ভবন তৈরি হচ্ছে তখন সেখানে কাজের লোকদের শৌচাগারব্যবস্থা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা থাকে না। শ্রেণী, গোত্র এমনকি লিঙ্গ বিবেচনায় এটি একটি বেদনাদায়ক বৈষম্য।'
উন্নয়নের অন্যান্য প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারতের তুলনা করে অমর্ত্য সেন বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতের নীতিনির্ধারকরা বিব্রত বোধ করেন। কিন্তু তুলনামূলক দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে।'
বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রশংসা করে তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এনজিওগুলো অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। মেয়েরা এখন স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছেলেদেরও ছাড়িয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য চমকে দেওয়ার মতো। এসব বিষয়ে ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অমর্ত্য সেনের মূল্যায়ন- ভারতের ৫০ শতাংশ জনগণের জন্য কোনো শৌচাগার নেই। বাংলাদেশে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত মাত্র আট শতাংশ জনগণ। গড় আয়ু, শিশুমৃত্যু রোধ, টিকাদান, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা সুবিধা- এসব সূচকে বাংলাদেশের রয়েছে চমকপ্রদ সাফল্য। অথচ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতের অর্ধেক। এটাই প্রমাণ করে ভারতে 'ত্রুটিপূর্ণ উন্নয়ন' ঘটছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের তুলনামূলক এ মূল্যায়ন অমর্ত্য সেন এবং হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যঁ দ্রেজের লেখা 'অ্যান আনসার্টেন গ্লোরি' বইতেও উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান। বইটিতে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং এর সঙ্গে জড়িত আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন লেখকরা।
গার্ডিয়ান জানায়, ভারতীয় এ অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ভারতীয় অর্থনীতি বাংলাদেশের তুলনায় দ্রুত শক্তিশালী হচ্ছে। কিন্তু এর পরও কিছু কিছু বিষয়ে বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রগতি লক্ষণীয়। যেমন- দরিদ্র মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ও স্বাস্থ্য সুবিধা, শিক্ষা সুবিধা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু এবং জন্মহার কমানো।
অমর্ত্য সেন আরো বলেন, 'নয়াদিল্লিতে যখন বড় বড় ভবন তৈরি হচ্ছে তখন সেখানে কাজের লোকদের শৌচাগারব্যবস্থা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা থাকে না। শ্রেণী, গোত্র এমনকি লিঙ্গ বিবেচনায় এটি একটি বেদনাদায়ক বৈষম্য।'
উন্নয়নের অন্যান্য প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারতের তুলনা করে অমর্ত্য সেন বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতের নীতিনির্ধারকরা বিব্রত বোধ করেন। কিন্তু তুলনামূলক দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে।'
বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রশংসা করে তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এনজিওগুলো অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। মেয়েরা এখন স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছেলেদেরও ছাড়িয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য চমকে দেওয়ার মতো। এসব বিষয়ে ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
No comments