বিমানপথে সোনা চোরাচালান-বন্ধ করতে হবে অবৈধ বাণিজ্য
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
১২৪ কেজি ওজনের সোনার বার ধরা পড়েছে আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের হাতে, যার
আনুমানিক মূল্য ৫৪ কোটি টাকা। এর আগে এত বিপুল পরিমাণ সোনা আর কখনো ধরা
পড়েনি।
তবে সোনার দুয়ার হিসেবে এই বিমানবন্দর দীর্ঘদিন
ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাঝেমধ্যে কিছু ধরা পড়ে এবং সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত
হয়। এ কাজে মূল চোরাচালানি সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। এর সঙ্গে
বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা
থাকে। সেটা প্রমাণিত হয়েছে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া
ব্যক্তিদের পরিচয় থেকে। গত তিন বছরে সোনা চোরাচালানের অভিযোগে যে তিন হাজার
৬০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তা,
বিমানের ক্রু, কাস্টম ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা, এনএসআইয়ের সদস্য ও আনসার
সদস্য। এর মধ্যে শুধু সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষেরই রয়েছে প্রায় ৪০০ কর্মী।
১২৪ কেজি সোনা আটকের ঘটনা চোখ বড় করার মতো কিছু বলে মনে করা যায় না।
প্রতিনিয়ত এমন চালান আসা-যাওয়া করছে, সহজেই বোঝা যায়। উদ্ধারকৃত সোনার
অবস্থান বিবেচনা করে মনে করা যায়, সেগুলো হ্যাঙ্গারে নিয়ে সরিয়ে ফেলা হতো।
হয়তো বা সেখানেই চোরাচালানিদের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অবস্থান করছিল। সে
ক্ষেত্রে তাদের বের করে আনার জন্য এটি একটি সাধারণ লক্ষণ হিসেবে কাজ করতে
পারে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুলিশ-র্যাবসহ অন্তত ১৭টি সংস্থার
কর্মীরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে ক্লোজ সার্কিট
ক্যামেরাও রয়েছে। চোরাচালান বন্ধ করতে হলে বিমানবন্দরে কর্মরতদের দিকে
প্রথম নজর দিতে হবে।
আটক সোনা চোরাচালানের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে; নাকি এগুলোর গন্তব্য বাংলাদেশ, তাও স্পষ্ট নয়। তবে এটা ঠিক, এই বিমানবন্দর চোরাচালানের ঘাঁটি হিসেবে অবশ্যই ব্যবহার করা হয়। এই প্রবেশপথকে সুরক্ষিত করার কোনো বিকল্প নেই। শর্ষের মধ্যেই যেখানে ভূত থেকে যায়, সেখানে ভূত তাড়ানোটা একটু কঠিন বৈ কি। তার পরও সিভিল অ্যাভিয়েশন, কাস্টম কর্তৃপক্ষ, আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের সততার পাশাপাশি সতর্কতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে দুর্নীতিমুক্ত অবস্থা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
আটক সোনা চোরাচালানের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে; নাকি এগুলোর গন্তব্য বাংলাদেশ, তাও স্পষ্ট নয়। তবে এটা ঠিক, এই বিমানবন্দর চোরাচালানের ঘাঁটি হিসেবে অবশ্যই ব্যবহার করা হয়। এই প্রবেশপথকে সুরক্ষিত করার কোনো বিকল্প নেই। শর্ষের মধ্যেই যেখানে ভূত থেকে যায়, সেখানে ভূত তাড়ানোটা একটু কঠিন বৈ কি। তার পরও সিভিল অ্যাভিয়েশন, কাস্টম কর্তৃপক্ষ, আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের সততার পাশাপাশি সতর্কতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে দুর্নীতিমুক্ত অবস্থা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
No comments