সরকারি জমিতে সাংসদ রনির দোতলা বাড়ি by ইশরাত হোসেন
সরকারি জমি এক বছরের জন্য বন্দোবস্ত নিয়ে
শর্ত ভঙ্গ করে দোতলা পাকা বাড়ি করেছেন পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা)
আসনের সাংসদ গোলাম মাওলা রনি। এরপর সেই বন্দোবস্ত আর নবায়নও করেননি।
অবৈধভাবে
দখলে রাখা ওই জমির ওপর তৈরি বাড়িতে বসবাস করছে তাঁর পরিবার।স্থানীয় ভূমি
কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া
বন্দরের যে জমিতে সাংসদ গোলাম মাওলার দোতলা বাসভবনটি অবস্থিত, সেখানকার দুই
শতাংশ জমি সাংসদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে একসনা বন্দোবস্ত দেওয়া
হয়। ভূমি কার্যালয়ের অকৃষি খাসজমি বন্দোবস্তসংক্রান্ত রেজিস্টারে দেখা
যায়, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে উলানিয়া মৌজার এক নম্বর খাস খতিয়ানের ৩১৪/১৬
নম্বর দাগে গোলাম মাওলার নামে আধা শতাংশ, তাঁর স্ত্রী কামরুননাহারের নামে
আধা শতাংশ, ৩১৪/১৬ এও ২/৫৪ নম্বর দাগে গোলাম মাওলার বাবা সামসুদ্দিন
মুন্সির নামে আধা শতাংশ এবং মা মনোয়ারা বেগমের নামে আধা শতাংশ জমি একসনা
বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ওই দুই শতাংশ জমির বন্দোবস্ত
নেওয়া হলেও এরপর আর তা নবায়ন করা হয়নি।তবে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ
করে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গোলাম মাওলা দুই শতক জমি বন্দোবস্ত
নিলেও তিনি মোট ২২ শতাংশ সরকারি খাসজমি দখল করে আছেন। সরেজমিনে দেখা যায়,
প্রায় তিন শতক জমির ওপর ভবনটি রাস্তার দিকে দক্ষিণমুখী করে বানানো। বাড়ির
পেছনে উত্তর দিকে একটি খাল। ভবনের পূর্ব ও উত্তরে খালের দিকে খালি জায়গা
আছে। বাকি জায়গায় কোনো স্থাপনা নেই, তবে কিছু গাছপালা আছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গোলাম মাওলার আশপাশের বাসিন্দারাও খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে টিনের ঘর তুলে বসবাস করছেন। ওই মহল্লায় বন্দোবস্ত নেওয়া আর কোনো জমিতে পাকা স্থাপনা নেই।
গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ এর আগে প্রথম আলোকে বলেছেন, ফরিদপুরের সদরপুরের বাসিন্দা মো. সামসুদ্দিন মুন্সি জীবিকার সন্ধানে পরিবার-পরিজন নিয়ে ১৯৭৪ সালে গলাচিপা উপজেলার রতনদী-তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া বন্দরে আসেন। তাঁর পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে উলানিয়া বন্দরে এক টুকরা খাসজমিতে ঘর তোলার অনুমতি দেন ওই ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান। সেখানেই ছোট্ট টিনের ঘর তুলে বসবাস করছিল সামসুদ্দিন মুন্সির পরিবার। ২০০৮ সালে সামসুদ্দিন মুন্সির ছেলে গোলাম মাওলা সেখানে দোতলা একটি বাসভবন নির্মাণ করেন।
ভূমি কার্যালয় সূত্র জানায়, নীতিমালা অনুসারে অকৃষি খাসজমি (চান্দিভিটি) একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে সেই জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করা যায় না। এ শর্ত ভঙ্গ করলে বন্দোবস্ত বাতিল করার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবছর বন্দোবস্ত নবায়ন করতে হবে। কিন্তু গোলাম মাওলা বন্দোবস্ত নবায়ন করেননি এবং শর্ত ভঙ্গ করে দোতলা পাকা বাড়ি তৈরি করেছেন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুব আলমও জানান, একসনা বন্দোবস্ত নেওয়া জমিতে পাকা বাড়ি তৈরি করা যায় না। এই শর্ত ভঙ্গ করলে বন্দোবস্ত বাতিল হয়।
ইউএনও বলেন, ‘আমার জানামতে, ওখানে চারজনের নামে মোট দুই শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। সেখানে দোতলা একটি ভবনও আছে।’ নীতিমালা ভঙ্গ ও বন্দোবস্ত নবায়ন না করার পরও ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন, জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘ওই এলাকায় খাসজমিতে আরও পাকা ভবন রয়েছে। জমি উদ্ধার করতে গেলে তো অনেকেই বিপাকে পড়বেন।’
গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে ২২ শতাংশ খাসজমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘আমি এলাকার বাইরে রয়েছি। আমার কার্যালয়ে যোগাযোগ করে একটু পরে জানাচ্ছি।’ এরপর যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে গোলাম মাওলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর ভাই মো. গোলাম সারোয়ারের মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
দুই সাংবাদিককে পেটানোর মামলায় গোলাম মাওলাকে গতকাল বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, গোলাম মাওলার আশপাশের বাসিন্দারাও খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে টিনের ঘর তুলে বসবাস করছেন। ওই মহল্লায় বন্দোবস্ত নেওয়া আর কোনো জমিতে পাকা স্থাপনা নেই।
গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ এর আগে প্রথম আলোকে বলেছেন, ফরিদপুরের সদরপুরের বাসিন্দা মো. সামসুদ্দিন মুন্সি জীবিকার সন্ধানে পরিবার-পরিজন নিয়ে ১৯৭৪ সালে গলাচিপা উপজেলার রতনদী-তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া বন্দরে আসেন। তাঁর পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে উলানিয়া বন্দরে এক টুকরা খাসজমিতে ঘর তোলার অনুমতি দেন ওই ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান। সেখানেই ছোট্ট টিনের ঘর তুলে বসবাস করছিল সামসুদ্দিন মুন্সির পরিবার। ২০০৮ সালে সামসুদ্দিন মুন্সির ছেলে গোলাম মাওলা সেখানে দোতলা একটি বাসভবন নির্মাণ করেন।
ভূমি কার্যালয় সূত্র জানায়, নীতিমালা অনুসারে অকৃষি খাসজমি (চান্দিভিটি) একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে সেই জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করা যায় না। এ শর্ত ভঙ্গ করলে বন্দোবস্ত বাতিল করার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবছর বন্দোবস্ত নবায়ন করতে হবে। কিন্তু গোলাম মাওলা বন্দোবস্ত নবায়ন করেননি এবং শর্ত ভঙ্গ করে দোতলা পাকা বাড়ি তৈরি করেছেন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুব আলমও জানান, একসনা বন্দোবস্ত নেওয়া জমিতে পাকা বাড়ি তৈরি করা যায় না। এই শর্ত ভঙ্গ করলে বন্দোবস্ত বাতিল হয়।
ইউএনও বলেন, ‘আমার জানামতে, ওখানে চারজনের নামে মোট দুই শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। সেখানে দোতলা একটি ভবনও আছে।’ নীতিমালা ভঙ্গ ও বন্দোবস্ত নবায়ন না করার পরও ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন, জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘ওই এলাকায় খাসজমিতে আরও পাকা ভবন রয়েছে। জমি উদ্ধার করতে গেলে তো অনেকেই বিপাকে পড়বেন।’
গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে ২২ শতাংশ খাসজমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘আমি এলাকার বাইরে রয়েছি। আমার কার্যালয়ে যোগাযোগ করে একটু পরে জানাচ্ছি।’ এরপর যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে গোলাম মাওলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর ভাই মো. গোলাম সারোয়ারের মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
দুই সাংবাদিককে পেটানোর মামলায় গোলাম মাওলাকে গতকাল বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়।
No comments