অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে রোজা by মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব
ইসলাম সূচনাকাল থেকেই শান্তিপ্রিয় সমাজ
প্রতিষ্ঠা করার প্রতি জোর তাগিদ দিয়েছে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীতে
আগমনের পর থেকে তিনি এমনই এক সমাজ গড়তে সচেষ্ট হন।
ইসলামী
শরিয়তের বেশকিছু বিধান এমন আছে, যেগুলো মূলত অপরাধ ও পাপমুক্ত জীবন গড়ার
প্রশিক্ষণ দেয়। যেমন নামাজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের প্রধান ও দ্বিতীয় স্তম্ভ।
নামাজের ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কর্ম থেকে
বাধা প্রদান করে।' _সূরা আনকাবুত : ৪৫
উপর্যুক্ত আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, শরিয়তের এই বিধানের উদ্দেশ্য হলো_ অপরাধ বর্জন করে পাপ-পঙ্কিলতা ও কলুষমুক্ত সমাজ গড়ার প্রশিক্ষণ দান। রোজাও মূলত এ প্রশিক্ষণেরই এক মূর্ত প্রতীক। রোজা মানুষের আত্মিক শক্তির উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার শিক্ষা প্রদান করে। সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে ব্যক্তির যেসব আধ্যাত্মিক গুণাবলি প্রয়োজন তার অন্যতম হলো_ খোদাভীতি, ধৈর্য-সহনশীলতা, সহমর্মিতা। রোজা এসব বিষয়ই শিক্ষা দেয়। তবে রোজার সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান উদ্দেশ্য হলো খোদাভীতি অর্জন করা। কোরআনে কারিমের সূরা বাকারার ১৮৩নং আয়াতে রোজার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর_ যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারে। _সূরা বাকারা : ১৮৩
বস্তুত খোদাভীতি এমন এক গুণ, যা মানুষকে অপরাধপ্রবণ মুক্ত বানায়। কঠিন প্রহরার মাঝেও যে অপরাধমুক্ত থাকে। তার জন্য লোকচক্ষুর অন্তরালে কিংবা আড়ালে-আবডালে অপরাধ জড়িয়ে পড়ার ভয় নেই। তাকওয়ার প্রেরণায় উজ্জীবিত মানুষ অবারিত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অপরাধ করবে না। আসল কথা হলো, যে ব্যক্তি সর্বক্ষণ আল্লাহতায়ালাকে হাজির-নাজির জানে, যে লোক চোখ বন্ধ করলে তার মানসপটে ভেসে ওঠে জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তির চিত্র_ তিনি কখনও কোনো অপরাধ করতে পারেন না। এটাই তাকওয়ার আধ্যাত্মিক শক্তি ও মূল দর্শন। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়ার ইচ্ছা করলেও অপরাধ সংঘটিত করার আগমুহূর্তে তার সামনে ভেসে ওঠে জাহান্নাম ও জাহান্নামের মর্মান্তিক শাস্তির চিত্র। যেখানে কোনো প্রহরা নেই, গোয়েন্দা নেই, কোনো যন্ত্রপাতি দ্বারা অপরাধীকে চিহ্নিত করার কোনো আশঙ্কা নেই, সেখানেও মানুষকে অপরাধমুক্ত রাখে তার তাকওয়া। এটাই হচ্ছে তাকওয়ার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই তাকওয়া অর্জন করার জন্যই আল্লাহতায়ালা আমাদের রমজান দিয়েছেন। আমাদের উচিত রমজানে তাকওয়ার যথাযথ প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং সে অনুযায়ী বাকি ১১ মাস জীবন পরিচালনা করা।
উপর্যুক্ত আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, শরিয়তের এই বিধানের উদ্দেশ্য হলো_ অপরাধ বর্জন করে পাপ-পঙ্কিলতা ও কলুষমুক্ত সমাজ গড়ার প্রশিক্ষণ দান। রোজাও মূলত এ প্রশিক্ষণেরই এক মূর্ত প্রতীক। রোজা মানুষের আত্মিক শক্তির উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার শিক্ষা প্রদান করে। সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে ব্যক্তির যেসব আধ্যাত্মিক গুণাবলি প্রয়োজন তার অন্যতম হলো_ খোদাভীতি, ধৈর্য-সহনশীলতা, সহমর্মিতা। রোজা এসব বিষয়ই শিক্ষা দেয়। তবে রোজার সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান উদ্দেশ্য হলো খোদাভীতি অর্জন করা। কোরআনে কারিমের সূরা বাকারার ১৮৩নং আয়াতে রোজার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর_ যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারে। _সূরা বাকারা : ১৮৩
বস্তুত খোদাভীতি এমন এক গুণ, যা মানুষকে অপরাধপ্রবণ মুক্ত বানায়। কঠিন প্রহরার মাঝেও যে অপরাধমুক্ত থাকে। তার জন্য লোকচক্ষুর অন্তরালে কিংবা আড়ালে-আবডালে অপরাধ জড়িয়ে পড়ার ভয় নেই। তাকওয়ার প্রেরণায় উজ্জীবিত মানুষ অবারিত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অপরাধ করবে না। আসল কথা হলো, যে ব্যক্তি সর্বক্ষণ আল্লাহতায়ালাকে হাজির-নাজির জানে, যে লোক চোখ বন্ধ করলে তার মানসপটে ভেসে ওঠে জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তির চিত্র_ তিনি কখনও কোনো অপরাধ করতে পারেন না। এটাই তাকওয়ার আধ্যাত্মিক শক্তি ও মূল দর্শন। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়ার ইচ্ছা করলেও অপরাধ সংঘটিত করার আগমুহূর্তে তার সামনে ভেসে ওঠে জাহান্নাম ও জাহান্নামের মর্মান্তিক শাস্তির চিত্র। যেখানে কোনো প্রহরা নেই, গোয়েন্দা নেই, কোনো যন্ত্রপাতি দ্বারা অপরাধীকে চিহ্নিত করার কোনো আশঙ্কা নেই, সেখানেও মানুষকে অপরাধমুক্ত রাখে তার তাকওয়া। এটাই হচ্ছে তাকওয়ার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই তাকওয়া অর্জন করার জন্যই আল্লাহতায়ালা আমাদের রমজান দিয়েছেন। আমাদের উচিত রমজানে তাকওয়ার যথাযথ প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং সে অনুযায়ী বাকি ১১ মাস জীবন পরিচালনা করা।
No comments