মালালাকে তালেবানের চিঠি-দেশে ফিরে মাদ্রাসায় ভর্তির আহবান
শিক্ষার পক্ষে প্রচার চালানোর জন্য নয়,
বরং কথা, কাজ ও লেখনী দিয়ে তালেবানবিরোধী প্রচার চালানোয় মালালা
ইউসুফজাইয়ের ওপর হামলা হয়েছে। মালালাকে লেখা চিঠিতে এমনটাই দাবি করেছেন
তালেবান নেতা আদনান রশীদ।
তিনি মালালাকে দেশে ফিরে মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। হামলার জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রশীদ।
চিঠিতে তারিখ দেওয়া আছে ১৫ জুলাই। তবে সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে গত বুধবার। চার পৃষ্ঠার চিঠিতে রশীদ বলেন, 'ভাতৃত্ববোধ থেকে এ চিঠি লিখছি। আমরা দুজনই ইউসুফজাই গোত্রভুক্ত। বান্নু কারাগারে থাকার সময় বিবিসির উর্দু সার্ভিসে আমি তোমার কথা শুনেছি। তখন থেকেই ভাবছি, তোমাকে লিখব। তালেবানবিরোধী প্রচারে শামিল না হতে তোমাকে সাবধান করতে চেয়েছি। তবে লিখি লিখি করেও শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি।'
কেন হামলা হয়েছে_তার ব্যাখ্যায় রশীদ বলেন, 'স্কুলে যাও বলে তোমার ওপর হামলা হয়েছে_পশ্চিমাদের এ রকম প্রচারণা শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। তুমি স্কুলে যাও কিংবা লেখাপড়া করতে ভালোবাস বলে তালেবান তোমার ওপর হামলা চালায়নি। তালেবান বা মুজাহিদীন, কেউই নারী কিংবা পুরুষের শিক্ষাবিরোধী নয়। তালেবান সোয়াতে শরিয়াভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তালেবানের বিশ্বাস, তুমি ইচ্ছা করে তালেবানের এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছ। তোমার লেখাগুলোও ছিল উসকানিমূলক।'
রশীদ পাকিস্তানে 'মোস্ট ওয়ান্টেড' আসামির তালিকাভুক্ত। ২০০৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশররফকে হত্যার চেষ্টার দায়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে। তবে গত বছরের এপ্রিলে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু জেলার কারাগার থেকে পালিয়ে যান তিনি।
চিঠিতে রশিদ স্কুল-কলেজ ধ্বংসের জন্য তালেবান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকেও দোষারোপ করেছে, 'যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তুমি ন্যায় বিচার ও সাম্যের কথা বলছ, সেই জাতিসংঘই অন্যায়ের আখড়া। এখানে বিশ্বের সব দেশের অধিকার সমান নয়। মাত্র পাঁচটি দেশকেই ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর বাকি দেশগুলো ক্ষমতাশূন্য।' যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আহত হলে মালালা কি সমানভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করত কিনা সে প্রশ্ন তুলে রশীদ বলেন, 'আমেরিকান ড্রোন হামলায় তুমি আহত হলে এভাবেই কি চিকিৎসা পেতে? তোমাকে কি জাতির কন্যা বলা হতো? গণমাধ্যম কি তোমাকে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করত?'
মালালাকে পাকিস্তানে ফেরার আহ্বান জানিয়ে রশীদ বলেন, 'আমি তোমাকে দেশে ফিরে আসতে বলব। এখানে তোমার বাড়ির কাছে যেকোনো মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করো। তুমি তোমার কলম ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য ব্যবহার করো। নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ার নামে যারা পুরো মানবজাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের রুখে দাঁড়াও।' রশীদের চিঠি নিয়ে মালালা কিংবা তার পরিবারের কেউ মন্তব্য করেনি।
গত বছরের ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মালালার ওপর হামলা চালায় তালেবান। প্রথমে পাকিস্তানে তার চিকিৎসা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্রিটেনে নেওয়া হয়। বর্তমানে সপরিবারে ব্রিটেনেই বাস করছে সে। গত ১২ জুলাই ১৬তম জন্মদিনে জাতিসংঘে ভাষণ দেয় সে। এরপরই রশীদ তাকে এ চিঠি লিখলেন।
চিঠিতে তারিখ দেওয়া আছে ১৫ জুলাই। তবে সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে গত বুধবার। চার পৃষ্ঠার চিঠিতে রশীদ বলেন, 'ভাতৃত্ববোধ থেকে এ চিঠি লিখছি। আমরা দুজনই ইউসুফজাই গোত্রভুক্ত। বান্নু কারাগারে থাকার সময় বিবিসির উর্দু সার্ভিসে আমি তোমার কথা শুনেছি। তখন থেকেই ভাবছি, তোমাকে লিখব। তালেবানবিরোধী প্রচারে শামিল না হতে তোমাকে সাবধান করতে চেয়েছি। তবে লিখি লিখি করেও শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি।'
কেন হামলা হয়েছে_তার ব্যাখ্যায় রশীদ বলেন, 'স্কুলে যাও বলে তোমার ওপর হামলা হয়েছে_পশ্চিমাদের এ রকম প্রচারণা শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। তুমি স্কুলে যাও কিংবা লেখাপড়া করতে ভালোবাস বলে তালেবান তোমার ওপর হামলা চালায়নি। তালেবান বা মুজাহিদীন, কেউই নারী কিংবা পুরুষের শিক্ষাবিরোধী নয়। তালেবান সোয়াতে শরিয়াভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তালেবানের বিশ্বাস, তুমি ইচ্ছা করে তালেবানের এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছ। তোমার লেখাগুলোও ছিল উসকানিমূলক।'
রশীদ পাকিস্তানে 'মোস্ট ওয়ান্টেড' আসামির তালিকাভুক্ত। ২০০৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশররফকে হত্যার চেষ্টার দায়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে। তবে গত বছরের এপ্রিলে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু জেলার কারাগার থেকে পালিয়ে যান তিনি।
চিঠিতে রশিদ স্কুল-কলেজ ধ্বংসের জন্য তালেবান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকেও দোষারোপ করেছে, 'যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তুমি ন্যায় বিচার ও সাম্যের কথা বলছ, সেই জাতিসংঘই অন্যায়ের আখড়া। এখানে বিশ্বের সব দেশের অধিকার সমান নয়। মাত্র পাঁচটি দেশকেই ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর বাকি দেশগুলো ক্ষমতাশূন্য।' যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আহত হলে মালালা কি সমানভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করত কিনা সে প্রশ্ন তুলে রশীদ বলেন, 'আমেরিকান ড্রোন হামলায় তুমি আহত হলে এভাবেই কি চিকিৎসা পেতে? তোমাকে কি জাতির কন্যা বলা হতো? গণমাধ্যম কি তোমাকে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করত?'
মালালাকে পাকিস্তানে ফেরার আহ্বান জানিয়ে রশীদ বলেন, 'আমি তোমাকে দেশে ফিরে আসতে বলব। এখানে তোমার বাড়ির কাছে যেকোনো মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করো। তুমি তোমার কলম ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য ব্যবহার করো। নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ার নামে যারা পুরো মানবজাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের রুখে দাঁড়াও।' রশীদের চিঠি নিয়ে মালালা কিংবা তার পরিবারের কেউ মন্তব্য করেনি।
গত বছরের ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মালালার ওপর হামলা চালায় তালেবান। প্রথমে পাকিস্তানে তার চিকিৎসা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্রিটেনে নেওয়া হয়। বর্তমানে সপরিবারে ব্রিটেনেই বাস করছে সে। গত ১২ জুলাই ১৬তম জন্মদিনে জাতিসংঘে ভাষণ দেয় সে। এরপরই রশীদ তাকে এ চিঠি লিখলেন।
No comments