খাবারে কীটনাশক ছিল: চিকিৎসক
পূর্ব ভারতের বিহারে টিফিন খেয়ে
মৃত্যুবরণ করা শিশুদের ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, খাদ্যে বা রান্নার তেলে
কীটনাশক ছিল। একজন চিকিৎসক গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে
এতগুলো শিশুর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে পূর্ব ভারতের দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলের
বিদ্যালয়গুলোর হাজার হাজার শিশু আর বিনা মূল্যের টিফিন খেতে চাচ্ছে না।
পাটনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অমরকান্ত ঝা বলেন, বিদ্যালয়
থেকে উদ্ধার করা আলামতগুলোর রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে যেসব শিশু মারা গেছে, তাদের খাদ্যে বা খাদ্য তৈরির জন্য তেলে কীটনাশকের
উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত। বিস্তারিত জানতে কর্তৃপক্ষ এখন রাসায়নিক
পরীক্ষার প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে। মঙ্গলবারের মর্মান্তিক ঘটনায়
শিশুমৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩। ২৫টি শিশু ও বিদ্যালয়ের বাবুর্চি এখনো
হাসপাতালে। অমর বলেন, চিকিৎসাধীন শিশুদের মধ্যে ওই বিষাক্ত খাদ্যের প্রভাব
আর পড়বে না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর এসব শিশুর শরীরের কোষগুলো বিষমুক্ত
হয়ে যাবে। এদিকে এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় পূর্ব ভারতে হাজার হাজার
শিশু স্কুলশিক্ষার্থী বিনা মূল্যের টিফিন খেতে চাইছে না। ভীতি কাটিয়ে ওঠার
জন্য ওইসব শিশু ও তাদের অভিভাবকদের বোঝানোর চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। এই
শোকাবহ ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু বিহারের সারণ জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়টির
প্রধান শিক্ষিকাকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তে নেমেছে
পুলিশ। বিহারের একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, সব খানে শিশুরা
তাদের বিদ্যালয় থেকে দেওয়া টিফিন ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছে। তারা এমনকি ওই
খাবার স্পর্শও করতে চাইছে না। এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে শিক্ষকেরা আশ্বাস
দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এএফপি, এপি ও রয়টার্স।
No comments