'৭১-কে মনে করিয়ে দেয়
পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব বাংলার
গ্রামাঞ্চলে যে গণহত্যা শুরু করেছিল তা নিয়ে ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে
সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন লিখেছিলেন, পাকিস্তানিদের ভাষায়
'বিশ্বাসঘাতকদের খুঁজে বের করতে গোটা গ্রাম ধ্বংস করা হয়েছে।'
এর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সশস্ত্র একদল ব্যক্তি তাঁকে ঢাকায় তাঁর
ভাড়া বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। ভারতীয় বাহিনী ঢাকা মুক্ত করার পর তাঁর ছেলে
বধ্যভূমিতে যান, যেখানে বুদ্ধিজীবীদের মেরে স্তূপ করে রাখা হয়। তিনি সেখানে
সাংবাদিক সেলিনা পারভীন এবং প্রখ্যাত হৃদরোগ চিকিৎসক ফজলে রাবি্বর মৃতদেহ
দেখতে পান। সিরাজুদ্দীনের দেহটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এ রায় এসেছে '৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে গোলাম আযমের ৯০ বছর কারাদণ্ড প্রদানের ঠিক এক দিন পর।
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থীদের সহিংসতায় ৪৮ ঘণ্টায় ৯ জন নিহত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, গণমাধ্যম, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো এবং সংখ্যালঘু হিন্দুরা এই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনাবলির প্রভাব পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বর্ এবং পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। পশ্চিম বাংলার ইসলামপন্থীরা কলকাতায় বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের পক্ষে মিছিল করেছে। নয়াদিল্লির এ নতুন ঘটনাবলির দিকে যত্নের সঙ্গে নজর রাখার কথা। আগের বিচারগুলোর মতোই সিরাজুদ্দীন হোসেনের মামলা গুরুত্ব পেয়েছে। '৭১-এর মার্চ মাসে পাকিস্তান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে, যাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। '৭১-এর জুলাই মাসে ভারতীয় কর্মকর্তারা যুদ্ধের ঘটনাবলি রেকর্ড করেন। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের গেরিলা, যারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অপারেশনের মুখে পালিয়ে আসে তারা পাল্টা অপারেশন শুরু করে এবং ঘটনাক্রমে ৮২৫টি অ্যামবুশ থেকে চার হাজার সেনা হতাহত হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী বন্যতার মাধ্যমে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের ধ্বংস করতে সচেষ্ট হয়েছিল। তাঁদের বিনাশ করার অভিযানে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত আলবদর এবং আলশামস মিলিশিয়া ব্যবহার করা হয়েছিল। মুজাহিদ ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে জামায়াতের পত্রিকা সংগ্রামে লিখেছিলেন, 'আলবদর হচ্ছে মৃত্যুদূত।'
মার্চ মাসেই অনেক গুণী শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসে আরো ২০০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। চৌধুরী মঈনুদ্দিন একজন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত। তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিজ হাতে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেন। বর্তমানে মঈনুদ্দিন যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। জানা গেছে, একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান মুসলিম এইডের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ধর্ম বিষয়ে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে কনসাল্টিং করে থাকেন। ১৯৭৫ সালে জাতির প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেলরা বৈধতার জন্য ইসলামিকদের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েন। মুজাহিদ ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচন করে প্রতিবারই পরাজিত হলেও ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে মন্ত্রী হন।
১৮ জুলাই ভারতের ফার্স্টপোস্ট অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ। ইষৎ সংক্ষেপিত ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এ রায় এসেছে '৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে গোলাম আযমের ৯০ বছর কারাদণ্ড প্রদানের ঠিক এক দিন পর।
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থীদের সহিংসতায় ৪৮ ঘণ্টায় ৯ জন নিহত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, গণমাধ্যম, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো এবং সংখ্যালঘু হিন্দুরা এই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনাবলির প্রভাব পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বর্ এবং পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। পশ্চিম বাংলার ইসলামপন্থীরা কলকাতায় বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের পক্ষে মিছিল করেছে। নয়াদিল্লির এ নতুন ঘটনাবলির দিকে যত্নের সঙ্গে নজর রাখার কথা। আগের বিচারগুলোর মতোই সিরাজুদ্দীন হোসেনের মামলা গুরুত্ব পেয়েছে। '৭১-এর মার্চ মাসে পাকিস্তান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে, যাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। '৭১-এর জুলাই মাসে ভারতীয় কর্মকর্তারা যুদ্ধের ঘটনাবলি রেকর্ড করেন। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের গেরিলা, যারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অপারেশনের মুখে পালিয়ে আসে তারা পাল্টা অপারেশন শুরু করে এবং ঘটনাক্রমে ৮২৫টি অ্যামবুশ থেকে চার হাজার সেনা হতাহত হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী বন্যতার মাধ্যমে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের ধ্বংস করতে সচেষ্ট হয়েছিল। তাঁদের বিনাশ করার অভিযানে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত আলবদর এবং আলশামস মিলিশিয়া ব্যবহার করা হয়েছিল। মুজাহিদ ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে জামায়াতের পত্রিকা সংগ্রামে লিখেছিলেন, 'আলবদর হচ্ছে মৃত্যুদূত।'
মার্চ মাসেই অনেক গুণী শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসে আরো ২০০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। চৌধুরী মঈনুদ্দিন একজন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত। তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিজ হাতে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেন। বর্তমানে মঈনুদ্দিন যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। জানা গেছে, একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান মুসলিম এইডের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ধর্ম বিষয়ে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে কনসাল্টিং করে থাকেন। ১৯৭৫ সালে জাতির প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেলরা বৈধতার জন্য ইসলামিকদের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েন। মুজাহিদ ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচন করে প্রতিবারই পরাজিত হলেও ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে মন্ত্রী হন।
১৮ জুলাই ভারতের ফার্স্টপোস্ট অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ। ইষৎ সংক্ষেপিত ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
No comments