সাক্ষাৎকার এটা সামরিক অভ্যুত্থান নয় by এল বারাদি
মিসরের অন্তর্বর্তী সরকারের ভাইস
প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়েক দিন আগে জার্মান সাময়িকী ডের স্পিগেলকে একটি
সাক্ষাৎকার দেন উদারপন্থী রাজনীতিক এল বারাদি। তার উল্লেখযোগ্য অংশ:
প্রশ্ন: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে আপনার কি এই অভ্যুত্থানকে সমর্থন দেওয়া ঠিক হয়েছে?
এল বারাদি: প্রথমেই একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই। তা হলো, এটা সামরিক অভ্যুত্থান নয়। দুই কোটিরও বেশি মানুষ মুরসির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল। কারণ, মুরসি যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন তা আর মেনে নেওয়া যাচ্ছিল না। যা হয়েছে তা আইনি কাঠামোয় হয়নি, কিন্তু আর কোনো বিকল্প ছিল না।
প্রশ্ন: এটা কি এই বার্তা দিল না যে পার্লামেন্টের চেয়ে রাজপথের সমাবেশ বেশি শক্তিশালী?
এল বারাদি: তা নয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আমাদের পার্লামেন্ট ছিল না। আমাদের শুধু একজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, যিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কিন্তু স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছিলেন।
প্রশ্ন: কিন্তু এটা তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়।
এল বারাদি: যে দেশে টানা কয়েক দশক ধরে একনায়কত্ব চলেছে, সেখানে আপনি শুরুতেই উচ্চ মানসম্পন্ন গণতন্ত্র আশা করতে পারেন না।
প্রশ্ন: এই অবস্থা কি মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েক শ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা আর মুরসিকে গৃহবন্দী করে রাখাকে বৈধতা দেয়?
এল বারাদি: সামরিক বাহিনী আমাকে নিশ্চিত করেছে যে অযৌক্তিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কাউকেই আটক করা উচিত নয়।
প্রশ্ন: আপনি কি মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের শক্তিকে খাটো করে দেখছেন না?
এল বারাদি: মিসর আসলে এখন গভীরভাবে বিভক্ত। এই বিভক্তি ও বিরোধ মেটানো ছাড়া দেশের ভবিষ্যৎ নেই। ব্রাদারহুড মিসরের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমি আশাবাদী, তারা আলোচনায় অংশ নেবে।
প্রশ্ন: ব্রাদারহুড যদি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তাদের কোনো নেতা প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে কি আপনি তাঁকে মেনে নেবেন?
এল বারাদি: হ্যাঁ, মেনে নেব। যদি গণতন্ত্রের প্রতি তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে।
ভাষান্তর: মাহফুজার রহমান
এল বারাদি: প্রথমেই একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই। তা হলো, এটা সামরিক অভ্যুত্থান নয়। দুই কোটিরও বেশি মানুষ মুরসির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল। কারণ, মুরসি যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন তা আর মেনে নেওয়া যাচ্ছিল না। যা হয়েছে তা আইনি কাঠামোয় হয়নি, কিন্তু আর কোনো বিকল্প ছিল না।
প্রশ্ন: এটা কি এই বার্তা দিল না যে পার্লামেন্টের চেয়ে রাজপথের সমাবেশ বেশি শক্তিশালী?
এল বারাদি: তা নয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আমাদের পার্লামেন্ট ছিল না। আমাদের শুধু একজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, যিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কিন্তু স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছিলেন।
প্রশ্ন: কিন্তু এটা তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়।
এল বারাদি: যে দেশে টানা কয়েক দশক ধরে একনায়কত্ব চলেছে, সেখানে আপনি শুরুতেই উচ্চ মানসম্পন্ন গণতন্ত্র আশা করতে পারেন না।
প্রশ্ন: এই অবস্থা কি মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েক শ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা আর মুরসিকে গৃহবন্দী করে রাখাকে বৈধতা দেয়?
এল বারাদি: সামরিক বাহিনী আমাকে নিশ্চিত করেছে যে অযৌক্তিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কাউকেই আটক করা উচিত নয়।
প্রশ্ন: আপনি কি মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের শক্তিকে খাটো করে দেখছেন না?
এল বারাদি: মিসর আসলে এখন গভীরভাবে বিভক্ত। এই বিভক্তি ও বিরোধ মেটানো ছাড়া দেশের ভবিষ্যৎ নেই। ব্রাদারহুড মিসরের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমি আশাবাদী, তারা আলোচনায় অংশ নেবে।
প্রশ্ন: ব্রাদারহুড যদি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তাদের কোনো নেতা প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে কি আপনি তাঁকে মেনে নেবেন?
এল বারাদি: হ্যাঁ, মেনে নেব। যদি গণতন্ত্রের প্রতি তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে।
ভাষান্তর: মাহফুজার রহমান
No comments