স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্মানে ইফতার-নতুন ধারার সরকার করবে বিএনপি : খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেত্রী
খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামী দিনে ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেলে বিএনপি নতুন ধারার
সরকার গঠন করবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলন ঈদের
পর জোরদার করার ইঙ্গিত দিয়ে তাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চেয়েছেন
তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পার্লামেন্ট মেম্বারস
ক্লাবের এলডি ভবন প্রাঙ্গণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত
প্রতিনিধিদের সম্মানে দেওয়া ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
ইফতারে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, গাজীপুর ও কুমিল্লার নির্বাচিত
মেয়রসহ বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের দুই হাজার জনপ্রতিনিধি
অংশ নেন। ইফতারের আগে খালেদা জিয়া টেবিল ঘুরে তৃণমূল পর্যায়ের অর্থাৎ সিটি
করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, 'পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোট প্রার্থীদের বিজয়ের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের দাবি আরো জোরালো হয়েছে। গণতন্ত্র ও ভোট রক্ষার এ আন্দোলনে আপনাদের (নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি) সার্বিক সহযোগিতা চাই। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের দাবি জনগণ আদায় করবে।'
বর্তমান সরকারকে দুর্নীতিবাজ, ব্যর্থ, খুনি অভিহিত করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, 'যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে মিথ্যা কথা বলেন সে দেশে কখনোই সুশাসন প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। দেশের মানুষ এই সরকারের পরিবর্তন চায়।' তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। গাজীপুরেও তারা ব্যাপক অনিয়মের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের কোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত সফল হয়নি। তাই তাদের (সরকার) অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়া বলেন, 'নির্দলীয় সরকারের দাবিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমাদের এই আন্দোলন দেশ ও গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য। দেশের মানুষ সরকারের পরিবর্তন চায়। আগামীতে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ধারার একটি সরকার গঠন করব। অন্যায় ও দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপস করব না।'
বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, 'আমাদের দেশ ছোট, কিন্তু জনসংখ্যা ব্যাপক। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হব।' জনপ্রতিনিধিদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনসেবার পরামর্শ দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'জনগণ দুঃশাসন ও জুলুমের মধ্যে দিনযাপন করছে। জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনকল্যাণে কাজ করুন। ক্ষমতায় গেলে আপনাদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান জানাব।' তিনি বলেন, 'ইফতারের আগে দোয়া কবুল হয়। আসুন, এই জুলুমবাজ ও দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্তি পেতে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে মোনাজাত করি।'
ইফতার-পূর্ব এই আলোচনায় সদ্য নির্বাচিত মেয়র গাজীপুরের অধ্যাপক এম এ মান্নান, রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সিলেটের আরিফুল হক চৌধুরী, খুলনার মনিরুজ্জামান মনি ও বরিশালের আহসান হাবিব কামাল, উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আতাউর রহমান আতা, পৌরসভা সমিতির মহাসচিব অধ্যক্ষ শামীম আল রাজী, ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সভাপতি মাহবুবুর রহমান তুলু ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়রদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসে ইফতার করেন খালেদা জিয়া। তাঁদের সঙ্গে ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাও ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আ স ম হান্নান শাহ, সারোয়ারী রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান প্রমুখ।
ইফতার অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম, সদর উপজেলার আলী আজগর হেনা, সোনাতলা উপজেলার এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির ও নেত্রকোনোর কলমাকান্দা উপজেলার গোলাম রাব্বানী; মদন উপজেলার পৌর মেয়র দেওয়ান মোদ্দাসের হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার মেয়র বেলাল হোসেন, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান, নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার মেয়র মোস্তফা কামাল, রাজশাহীর তানোর পৌরসভার মেয়র ফিরোজ সরকারসহ বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।
ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, 'পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোট প্রার্থীদের বিজয়ের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের দাবি আরো জোরালো হয়েছে। গণতন্ত্র ও ভোট রক্ষার এ আন্দোলনে আপনাদের (নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি) সার্বিক সহযোগিতা চাই। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের দাবি জনগণ আদায় করবে।'
বর্তমান সরকারকে দুর্নীতিবাজ, ব্যর্থ, খুনি অভিহিত করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, 'যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে মিথ্যা কথা বলেন সে দেশে কখনোই সুশাসন প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। দেশের মানুষ এই সরকারের পরিবর্তন চায়।' তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। গাজীপুরেও তারা ব্যাপক অনিয়মের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের কোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত সফল হয়নি। তাই তাদের (সরকার) অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়া বলেন, 'নির্দলীয় সরকারের দাবিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমাদের এই আন্দোলন দেশ ও গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য। দেশের মানুষ সরকারের পরিবর্তন চায়। আগামীতে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ধারার একটি সরকার গঠন করব। অন্যায় ও দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপস করব না।'
বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, 'আমাদের দেশ ছোট, কিন্তু জনসংখ্যা ব্যাপক। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হব।' জনপ্রতিনিধিদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনসেবার পরামর্শ দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'জনগণ দুঃশাসন ও জুলুমের মধ্যে দিনযাপন করছে। জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনকল্যাণে কাজ করুন। ক্ষমতায় গেলে আপনাদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান জানাব।' তিনি বলেন, 'ইফতারের আগে দোয়া কবুল হয়। আসুন, এই জুলুমবাজ ও দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্তি পেতে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে মোনাজাত করি।'
ইফতার-পূর্ব এই আলোচনায় সদ্য নির্বাচিত মেয়র গাজীপুরের অধ্যাপক এম এ মান্নান, রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সিলেটের আরিফুল হক চৌধুরী, খুলনার মনিরুজ্জামান মনি ও বরিশালের আহসান হাবিব কামাল, উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আতাউর রহমান আতা, পৌরসভা সমিতির মহাসচিব অধ্যক্ষ শামীম আল রাজী, ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সভাপতি মাহবুবুর রহমান তুলু ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়রদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসে ইফতার করেন খালেদা জিয়া। তাঁদের সঙ্গে ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাও ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আ স ম হান্নান শাহ, সারোয়ারী রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান প্রমুখ।
ইফতার অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম, সদর উপজেলার আলী আজগর হেনা, সোনাতলা উপজেলার এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির ও নেত্রকোনোর কলমাকান্দা উপজেলার গোলাম রাব্বানী; মদন উপজেলার পৌর মেয়র দেওয়ান মোদ্দাসের হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার মেয়র বেলাল হোসেন, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান, নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার মেয়র মোস্তফা কামাল, রাজশাহীর তানোর পৌরসভার মেয়র ফিরোজ সরকারসহ বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।
No comments