আড্ডায় শিশুরা জানল প্রোগ্রামিং by আছিব চৌধুরী
আচ্ছা স্যার, প্রোগ্রাম ও সফটওয়্যারের
মধ্যে পার্থক্য কী? প্রোগ্রামিং দিয়ে কী হয়? কীভাবে আমরা প্রোগ্রামিং শুরু
করব? কীভাবে আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় যোগ দেব? গুগুলে চাকরি
পেতে কী করতে হবে?’ এমন নানা প্রশ্ন শিশু-কিশোরদের।
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার তৈরির মতো খটমট বিষয় নিয়েও তাদের আগ্রহ
যেন ফুরায় না।আর এসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন বয়সে তরুণ প্রোগ্রামার তামিম
শাহরিয়ার। প্রোগ্রামিং নিয়ে শিশু-কিশোরদের এ আড্ডাটি হয়েছিল ১ জুলাই
আশুলিয়ায় অনুষ্ঠিত জগদীশ বসু বিজ্ঞান ক্যাম্পে।
আড্ডায় সঞ্চালক তামিম শাহরিয়ার বলতে থাকেন, ছোট থেকেই যদি প্রোগ্রামিং নিয়ে চেষ্টা করা যায়, ধীরে ধীরে এর ওপর অনেক দক্ষ হয়ে ওঠা যাবে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও নামীদামি কোম্পানি গুগুলে চাকরি করা যাবে। পৃথিবীর বেশির ভাগ ধনী ব্যক্তিই পূর্বপুরুষের ধনসম্পদের কারণে বিত্তবান হয়েছেন। তামিম বলেন, ‘কিন্তু এক উইন্ডোজ সফটওয়্যার তৈরি করেও ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষস্থানটি অধিকার করা যায়, তার উদাহরণ মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। এ আর কিছুই নয়, শুধুই প্রোগ্রামিংয়ের সমষ্টি। তাহলে আমরা কেন পারব না?’
আড্ডায় জানা যায় শুধু প্রোগ্রামার হলেই হবে না, হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী। অবশ্যই দলভিত্তিক কাজ করতে হবে এবং দলের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। সঞ্চালক বলেন, ‘তবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রোগ্রামিং শিখতে গিয়ে যদি শিক্ষকদের আশায় বসে থাকো, তাহলে কিছুই হবে না, তোমার প্রোগ্রামিং শেখার জন্য সবচেয়ে বড় বন্ধু হবে গুগুল, এরপর প্রোগ্রামিংয়ের ওপর লেখা অন্যান্য বই তুমি দেখতে পারো।’
প্রোগ্রামিং নিয়ে যারা আগ্রহী তাদের জন্য একটি বাংলা শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট বানিয়েছেন তামিম শাহরিয়ার। এর ঠিকানা http://cpbook.subeen.com।
প্রোগ্রামিং জগতে যারা একদমই নতুন, তাদের জন্য এই ওয়েবসাইট খুবই উপযোগী। প্রজেক্টরে বড় পর্দায় ওয়েবসাইটটি দেখেএক খুদে বন্ধু প্রশ্ন করে, ‘ওয়েবসাইটটি কেন বাংলায়, ইংরেজি নয় কেন?’ জবাবে তামিম বলেন, ‘একদিন গ্রামের এক ছেলে হঠাৎ আমাকে ফোন দিল, আমি কথা বলতে গিয়ে জানলাম সে কোথাও থেকে আমার এই সাইটের ঠিকানা পেয়েছে। তারপর সে নিজে নিজে পড়ে ও অনুশীলন করে একজন প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছে। বাংলায় হওয়ায় তা সম্ভব হয়েছে, কেননা আমরা বাঙালি, বাংলায় আরও সহজে বিষয়টি বোঝার জন্যই এই উদ্যোগ।’
একজন সফল প্রোগ্রামারের গল্প শোনা গেল আড্ডায়।একজন ছাত্র সে প্রোগ্রামিং খুব ভালো জানত ও একটি বড় কোম্পানিতে চাকরি করত, কিন্তু তখনো তার স্নাতক শ্রেণীর কিছু কোর্স বাকি সে পরীক্ষা দিতে যেত না।তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একদিন ফোন এল, ‘তুমি ওখানে চাকরি করছ কিন্তু তোমার যে স্নাতক এখনো শেষ হয়নি, সেটা ওরা জানে?’ ওই প্রোগ্রামারের জবাব, ‘আমাকে এ নিয়ে কখনো কিছু বলবে না। কারণ, আমি যদি চাকরি ছেড়ে দিই।’ মূলত সে কোথা থেকে পড়াশোনা করেছে, কী পড়েছে এসব দেখে তাকে নিয়োগ দেয়নি, দিয়েছে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় তার ফলাফল দেখে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান এভাবে নানা প্রতিযোগিতা থেকে প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করে।
কম্পিউটার, প্রোগ্রামিং, ইন্টারনেট—নানা বিষয় নিয়ে শিশুরা কথা বলে।সবশেষে সঞ্চালকের আপ্তবাক্য—‘যেকোনো কাজের সাফল্যের পেছনে লেগে থাকাটা জরুরি। চেষ্টা করো, সাফল্য আসবেই তোমার দুয়ারে। প্রোগ্রামিংও তাই।’
আড্ডায় সঞ্চালক তামিম শাহরিয়ার বলতে থাকেন, ছোট থেকেই যদি প্রোগ্রামিং নিয়ে চেষ্টা করা যায়, ধীরে ধীরে এর ওপর অনেক দক্ষ হয়ে ওঠা যাবে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও নামীদামি কোম্পানি গুগুলে চাকরি করা যাবে। পৃথিবীর বেশির ভাগ ধনী ব্যক্তিই পূর্বপুরুষের ধনসম্পদের কারণে বিত্তবান হয়েছেন। তামিম বলেন, ‘কিন্তু এক উইন্ডোজ সফটওয়্যার তৈরি করেও ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষস্থানটি অধিকার করা যায়, তার উদাহরণ মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। এ আর কিছুই নয়, শুধুই প্রোগ্রামিংয়ের সমষ্টি। তাহলে আমরা কেন পারব না?’
আড্ডায় জানা যায় শুধু প্রোগ্রামার হলেই হবে না, হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী। অবশ্যই দলভিত্তিক কাজ করতে হবে এবং দলের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। সঞ্চালক বলেন, ‘তবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রোগ্রামিং শিখতে গিয়ে যদি শিক্ষকদের আশায় বসে থাকো, তাহলে কিছুই হবে না, তোমার প্রোগ্রামিং শেখার জন্য সবচেয়ে বড় বন্ধু হবে গুগুল, এরপর প্রোগ্রামিংয়ের ওপর লেখা অন্যান্য বই তুমি দেখতে পারো।’
প্রোগ্রামিং নিয়ে যারা আগ্রহী তাদের জন্য একটি বাংলা শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট বানিয়েছেন তামিম শাহরিয়ার। এর ঠিকানা http://cpbook.subeen.com।
প্রোগ্রামিং জগতে যারা একদমই নতুন, তাদের জন্য এই ওয়েবসাইট খুবই উপযোগী। প্রজেক্টরে বড় পর্দায় ওয়েবসাইটটি দেখেএক খুদে বন্ধু প্রশ্ন করে, ‘ওয়েবসাইটটি কেন বাংলায়, ইংরেজি নয় কেন?’ জবাবে তামিম বলেন, ‘একদিন গ্রামের এক ছেলে হঠাৎ আমাকে ফোন দিল, আমি কথা বলতে গিয়ে জানলাম সে কোথাও থেকে আমার এই সাইটের ঠিকানা পেয়েছে। তারপর সে নিজে নিজে পড়ে ও অনুশীলন করে একজন প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছে। বাংলায় হওয়ায় তা সম্ভব হয়েছে, কেননা আমরা বাঙালি, বাংলায় আরও সহজে বিষয়টি বোঝার জন্যই এই উদ্যোগ।’
একজন সফল প্রোগ্রামারের গল্প শোনা গেল আড্ডায়।একজন ছাত্র সে প্রোগ্রামিং খুব ভালো জানত ও একটি বড় কোম্পানিতে চাকরি করত, কিন্তু তখনো তার স্নাতক শ্রেণীর কিছু কোর্স বাকি সে পরীক্ষা দিতে যেত না।তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একদিন ফোন এল, ‘তুমি ওখানে চাকরি করছ কিন্তু তোমার যে স্নাতক এখনো শেষ হয়নি, সেটা ওরা জানে?’ ওই প্রোগ্রামারের জবাব, ‘আমাকে এ নিয়ে কখনো কিছু বলবে না। কারণ, আমি যদি চাকরি ছেড়ে দিই।’ মূলত সে কোথা থেকে পড়াশোনা করেছে, কী পড়েছে এসব দেখে তাকে নিয়োগ দেয়নি, দিয়েছে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় তার ফলাফল দেখে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান এভাবে নানা প্রতিযোগিতা থেকে প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করে।
কম্পিউটার, প্রোগ্রামিং, ইন্টারনেট—নানা বিষয় নিয়ে শিশুরা কথা বলে।সবশেষে সঞ্চালকের আপ্তবাক্য—‘যেকোনো কাজের সাফল্যের পেছনে লেগে থাকাটা জরুরি। চেষ্টা করো, সাফল্য আসবেই তোমার দুয়ারে। প্রোগ্রামিংও তাই।’
No comments