ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটরের ভাষ্য-৩ ইস্যুতে জনসমর্থন হারাচ্ছে আ. লীগ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং নির্বাচনকালীন
সরকার পদ্ধতি নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পরস্পর বিপরীত অবস্থানের
প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটরে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে পাঠানো ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ তিনটি ইস্যুতে জনসমর্থন হারাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। অন্যদিকে গোলাম আযমের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের পর বিবিসির এক নিবন্ধে এ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
'কুড বাংলাদেশ প্রটেস্টস আপেন্ড দ্য গভর্নমেন্ট?' শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে সমালোচনা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিরোধিতা করায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জনসমর্থন কমছে। অনেক বিশ্লেষক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এসব কারণে সৃষ্ট উত্তেজনায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্জন বিফলে যেতে পারে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ক্রিশ্চিয়ান মনিটরের ঢাকা সংবাদদাতা সা'দ হাম্মাদি, যিনি একই সঙ্গে নিউ এজ পত্রিকার সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন এঙ্ট্রার সহকারী সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভের কারণে বাংলাদেশ বারবার অচল হয়ে পড়ছে। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টারত বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অবরোধ ও ধর্মঘটের কারণে শুধু ভারতেই ৫০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির আদেশ চলে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর অভিযোগ, ট্রাইব্যুনালের বিচারে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা হয়নি এবং এ আদালতে যেসব অভিযোগ ওঠানো হয়েছে, তাতে ন্যায়বিচারের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের টার্গেট করা হয়েছে। যদিও সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করছে, তবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যে ১০ জনের বিচার হচ্ছে, তাঁদের আটজনই জামায়াত এবং তাদের মিত্র প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতা।
এ প্রতিবেদনে দেশের সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতা অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে দায়ী করা হয়।
বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত : বিবিসি
'গোলাম আযম : ওয়ার ক্রাইম ট্রায়াল দ্যাট এঙ্পোসড বাংলাদেশ স্কারস' শিরোনামে গত মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বিবিসি। বিবিসির বাংলা বিভাগের সম্পাদক সাবির মুস্তাফা রচিত ওই প্রতিবেদনের বড় অংশজুড়ে ছিল যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে সরকারের অবস্থান ও জামায়াতের প্রধান নেতাদের বিরুদ্ধে রায়ের পর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের উত্থান আর তরুণ ব্লগারদের কিছু পোস্টকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই হেফাজতে ইসলাম নামের একটি উগ্র ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উত্থান এবং এসবের পটভূমিকায় বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা হারানোর সম্ভাবনার কথা।
বিষয়গুলো আলোচনা করে বিবিসির বিশ্লেষণ, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত আর সে কারণেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। এতে আরো বলা হয়, বিএনপি আবেগের বশে এবং রাজনৈতিক লাভের আশায় ইসলামপন্থীদের পেছনে দাঁড়িয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। কার্যত ধর্মনিরপেক্ষ দল হলেও বিএনপি ইসলাম ইস্যুতে ধর্মীয় প্রচারণাকে কাজে লাগিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছে। আর তাই, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এটা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগ আবার ধর্মনিরপেক্ষতা পুনর্জীবিত করতে চাইলে তাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর পরও আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধের বিচার এগিয়ে নিতে চায় এবং এর ফল কী হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ঢাকা থেকে পাঠানো ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ তিনটি ইস্যুতে জনসমর্থন হারাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। অন্যদিকে গোলাম আযমের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের পর বিবিসির এক নিবন্ধে এ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
'কুড বাংলাদেশ প্রটেস্টস আপেন্ড দ্য গভর্নমেন্ট?' শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে সমালোচনা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিরোধিতা করায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জনসমর্থন কমছে। অনেক বিশ্লেষক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এসব কারণে সৃষ্ট উত্তেজনায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্জন বিফলে যেতে পারে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ক্রিশ্চিয়ান মনিটরের ঢাকা সংবাদদাতা সা'দ হাম্মাদি, যিনি একই সঙ্গে নিউ এজ পত্রিকার সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন এঙ্ট্রার সহকারী সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভের কারণে বাংলাদেশ বারবার অচল হয়ে পড়ছে। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টারত বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অবরোধ ও ধর্মঘটের কারণে শুধু ভারতেই ৫০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির আদেশ চলে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর অভিযোগ, ট্রাইব্যুনালের বিচারে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা হয়নি এবং এ আদালতে যেসব অভিযোগ ওঠানো হয়েছে, তাতে ন্যায়বিচারের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের টার্গেট করা হয়েছে। যদিও সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করছে, তবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যে ১০ জনের বিচার হচ্ছে, তাঁদের আটজনই জামায়াত এবং তাদের মিত্র প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতা।
এ প্রতিবেদনে দেশের সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতা অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে দায়ী করা হয়।
বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত : বিবিসি
'গোলাম আযম : ওয়ার ক্রাইম ট্রায়াল দ্যাট এঙ্পোসড বাংলাদেশ স্কারস' শিরোনামে গত মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বিবিসি। বিবিসির বাংলা বিভাগের সম্পাদক সাবির মুস্তাফা রচিত ওই প্রতিবেদনের বড় অংশজুড়ে ছিল যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে সরকারের অবস্থান ও জামায়াতের প্রধান নেতাদের বিরুদ্ধে রায়ের পর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের উত্থান আর তরুণ ব্লগারদের কিছু পোস্টকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই হেফাজতে ইসলাম নামের একটি উগ্র ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উত্থান এবং এসবের পটভূমিকায় বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা হারানোর সম্ভাবনার কথা।
বিষয়গুলো আলোচনা করে বিবিসির বিশ্লেষণ, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত আর সে কারণেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। এতে আরো বলা হয়, বিএনপি আবেগের বশে এবং রাজনৈতিক লাভের আশায় ইসলামপন্থীদের পেছনে দাঁড়িয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। কার্যত ধর্মনিরপেক্ষ দল হলেও বিএনপি ইসলাম ইস্যুতে ধর্মীয় প্রচারণাকে কাজে লাগিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছে। আর তাই, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এটা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগ আবার ধর্মনিরপেক্ষতা পুনর্জীবিত করতে চাইলে তাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর পরও আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধের বিচার এগিয়ে নিতে চায় এবং এর ফল কী হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments