প্রিয় চলচ্চিত্র প্রথম বাংলা সিনেমা দেখেছি লুকিয়ে! by শাহদীন মালিক
চোখে সমস্যা হওয়ার পর থেকে সিনেমা দেখার
নেশাটা কমে গেছে। আসলে কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। কলেজজীবনের অনেক কম পয়সায়
সিনেমা দেখতে পারতাম। আক্ষরিক অর্থেই পয়সা। কারণ, শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র
দেখালেই অর্ধেক টাকায় টিকিট কাটা যেত।
হলগুলোতে বেলা
একটায় ইংরেজি সিনেমা দেখানো হতো। কলেজ থেকে বন্ধুরা মিলে দল বেঁধে চলে
যেতাম বলাকা, গুলিস্তান, নাজ, অভিসার, মধুমিতা সিনেমা হলে। আমরা হলের ওপর
বিজ্ঞাপনগুলোয় চোখ রাখতাম। অপেক্ষা করতাম, কবে নতুন ছবি আসছে।
স্কুলে পড়ার সময়ই কিছু বাংলা চলচ্চিত্রও দেখেছি। প্রথম বাংলা সিনেমা দেখেছি লুকিয়ে। সবে অষ্টম শ্রেণীতে উঠেছি! সুতরাং সিনেমাটা বেশ আলোচিত তখন। কবরী আর সুভাষ দত্তের নাম মুখে মুখে ফিরছে। কৌতূহলে দেখেই ফেললাম ছবিটা। তারপর বাংলা ছবি রূপবান, বেহুলা সুন্দরী দেখেছি।
কলেজে উঠেই ইংরেজি ছবি দেখার প্রতি ঝোঁক তৈরি হলো। মনে আছে, উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাটক অবলম্বনে সিনেমা টেমিং অব দ্য শ্রু। এখানে রিচার্ড বারটন অভিনয় করেছেন। তরুণ বয়সে সেই ছবিটা আমাকে নতুন ধরনের এক রোমান্টিকতার স্পর্শ দিয়েছিল।
এরপর বলতে হয় স্পার্টাকাস ও হারকিউলিস চলচ্চিত্রের কথা। স্পার্টাকাসে কার্ক ডগলাসের সে কী অসাধারণ অভিনয়! এরপর তাঁর ছেলে মাইকেল ডগলাসও অভিনয়জগতে এসেছেন। আর আমার প্রিয় অভিনেতার তালিকায় বাবার পাশাপাশি ছেলের নামটাও যুক্ত হয়েছে।
পড়াশোনা করতে যখন মস্কোতে গিয়েছি, তখন আর ইংরেজি ছবি নয়, রুশ ভাষার চলচ্চিত্র দেখতে শুরু করেছি। প্রচুর রাশান ছবি দেখেছি।
আমার প্রিয় সিনেমা সেটাকেই বলতে পারি, যেটা আমার মনে দাগ কেটেছে, হূদয়কে নাড়া দিয়েছে। সে রকম চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি হলো সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্ব। আর অন্যটি মনসুন ওয়েডিং। মনসুন ওয়েডিং-এ নাসিরুদ্দিন শাহের অভিনয় দেখলে অন্য বাবাদের মন খানিক ক্ষণের জন্য হলেও মেয়ের জন্য চিনচিনিয়ে উঠবে!
সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্ব-এ অ্যান্থনি হপকিনস মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ চলচ্চিত্রে তিনি একজন সিরিয়াল কিলার ছিলেন। ভয়াবহ আর নিষ্ঠুর চরিত্রের এক মানুষ, যে হাসতে হাসতে মানুষ হত্যা করতে পারে। আর দুটো চলচ্চিত্র জ্যাক নিকলসন অভিনীত এজ গুড এজ ইট গেটস আর ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কাকুস নেস্ট—এ দুটি ছবিও রয়েছে আমার পছন্দের তালিকায়। অ্যাজ গুড অ্যাজ ইট গেটস-এর কাহিনি একজন নামকরা লেখককে নিয়ে; যিনি মানসিকভাবে খানিকটা অসুস্থ। সেখানে জ্যাক নিকলসন ভীষণ নিখুঁত অভিনয় করেছেন।
মোদ্দা কথা হলো, একটি চলচ্চিত্র আমার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে তারকাদের অভিনয়শৈলীর গুণে। আমার মনে হয়, ভালো অভিনয়ই একটি সফল চলচ্চিত্রের প্রাণকথা।
অনুলিখন: সুচিত্রা সরকার
স্কুলে পড়ার সময়ই কিছু বাংলা চলচ্চিত্রও দেখেছি। প্রথম বাংলা সিনেমা দেখেছি লুকিয়ে। সবে অষ্টম শ্রেণীতে উঠেছি! সুতরাং সিনেমাটা বেশ আলোচিত তখন। কবরী আর সুভাষ দত্তের নাম মুখে মুখে ফিরছে। কৌতূহলে দেখেই ফেললাম ছবিটা। তারপর বাংলা ছবি রূপবান, বেহুলা সুন্দরী দেখেছি।
কলেজে উঠেই ইংরেজি ছবি দেখার প্রতি ঝোঁক তৈরি হলো। মনে আছে, উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাটক অবলম্বনে সিনেমা টেমিং অব দ্য শ্রু। এখানে রিচার্ড বারটন অভিনয় করেছেন। তরুণ বয়সে সেই ছবিটা আমাকে নতুন ধরনের এক রোমান্টিকতার স্পর্শ দিয়েছিল।
এরপর বলতে হয় স্পার্টাকাস ও হারকিউলিস চলচ্চিত্রের কথা। স্পার্টাকাসে কার্ক ডগলাসের সে কী অসাধারণ অভিনয়! এরপর তাঁর ছেলে মাইকেল ডগলাসও অভিনয়জগতে এসেছেন। আর আমার প্রিয় অভিনেতার তালিকায় বাবার পাশাপাশি ছেলের নামটাও যুক্ত হয়েছে।
পড়াশোনা করতে যখন মস্কোতে গিয়েছি, তখন আর ইংরেজি ছবি নয়, রুশ ভাষার চলচ্চিত্র দেখতে শুরু করেছি। প্রচুর রাশান ছবি দেখেছি।
আমার প্রিয় সিনেমা সেটাকেই বলতে পারি, যেটা আমার মনে দাগ কেটেছে, হূদয়কে নাড়া দিয়েছে। সে রকম চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি হলো সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্ব। আর অন্যটি মনসুন ওয়েডিং। মনসুন ওয়েডিং-এ নাসিরুদ্দিন শাহের অভিনয় দেখলে অন্য বাবাদের মন খানিক ক্ষণের জন্য হলেও মেয়ের জন্য চিনচিনিয়ে উঠবে!
সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্ব-এ অ্যান্থনি হপকিনস মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ চলচ্চিত্রে তিনি একজন সিরিয়াল কিলার ছিলেন। ভয়াবহ আর নিষ্ঠুর চরিত্রের এক মানুষ, যে হাসতে হাসতে মানুষ হত্যা করতে পারে। আর দুটো চলচ্চিত্র জ্যাক নিকলসন অভিনীত এজ গুড এজ ইট গেটস আর ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কাকুস নেস্ট—এ দুটি ছবিও রয়েছে আমার পছন্দের তালিকায়। অ্যাজ গুড অ্যাজ ইট গেটস-এর কাহিনি একজন নামকরা লেখককে নিয়ে; যিনি মানসিকভাবে খানিকটা অসুস্থ। সেখানে জ্যাক নিকলসন ভীষণ নিখুঁত অভিনয় করেছেন।
মোদ্দা কথা হলো, একটি চলচ্চিত্র আমার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে তারকাদের অভিনয়শৈলীর গুণে। আমার মনে হয়, ভালো অভিনয়ই একটি সফল চলচ্চিত্রের প্রাণকথা।
অনুলিখন: সুচিত্রা সরকার
No comments