সপ্তাহের নায়ক জুলেখা বেগম, বেসরকারি প্রসবকর্মী
দুই বছরের চুক্তিতে বিনা বেতনে মৌলভীবাজার
জেলার জুড়ী উপজেলার ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করছেন জুলেখা। ‘নিরাপদ
মাতৃত্ব দিবস-২০১৩’ উপলক্ষে ২০ জুন ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত
এক অনুষ্ঠানে জুলেখাকে পুরস্কৃত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কল্যাণ প্রসূন
এ কাজে কীভাবে এলেন?
এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর একাধিক বেসরকারি সংস্থায় মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীর কাজ করি। বিয়ের পর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। ২০১১ সালের দিকে সরকারি খরচে ঢাকার মাতুয়াইলে অবস্থিত শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ছয় মাসের প্রসবকর্মীর প্রশিক্ষণ নিই। সেখান থেকে ফিরে চুক্তি অনুযায়ী যোগ দিই ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিকে।
কাজ করতে কেমন লাগে?
মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য সরকার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এটাকে দায়িত্ব মনে করে কাজ করছি। এখন সবাই আমাকে ‘জুলেখা আপা’ ডাকেন।
‘বিনা বেতনের’ কাজে সংসার চলে তো?
অনেক সময় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ফোন করে, গাড়ি পাঠায়। বাড়িতে গিয়ে প্রসব করাই। এতে অনেকে খুশি হয়ে কিছু টাকাপয়সা দেয়। এটা দিয়েই সংসার চলে। আর কমলগঞ্জে স্বামীর ওষুধের দোকান আছে।
কোনো কষ্ট আছে?
উপজেলা সদরে একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল আছে। এসব প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা প্রায়ই বলেন রোগীদের তাঁদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে। রাজি হই না বলে তাঁরা অনেকে আমার ওপর ক্ষুব্ধ। আমি জানি, সেখানে গেলে দুই-তিন দিন ভর্তি রেখে অথবা সিজার (অস্ত্রোপচার) করানোর কথা বলে গরিব রোগীদের কাছ থেকে অনেক টাকা তাঁরা হাতিয়ে নেবেন। এটাই কষ্ট লাগে।
পুরস্কার পেয়ে কেমন লাগল?
ভালো কাজ করায় পুরস্কার পেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, দেশের সবাই ভালো কাজ করলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?
এ কাজে নিজেকে আজীবন নিয়োজিত রাখতে চাই। সরকারের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ তো শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ খুঁজে নেব।
এ কাজে কীভাবে এলেন?
এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর একাধিক বেসরকারি সংস্থায় মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীর কাজ করি। বিয়ের পর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। ২০১১ সালের দিকে সরকারি খরচে ঢাকার মাতুয়াইলে অবস্থিত শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ছয় মাসের প্রসবকর্মীর প্রশিক্ষণ নিই। সেখান থেকে ফিরে চুক্তি অনুযায়ী যোগ দিই ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিকে।
কাজ করতে কেমন লাগে?
মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য সরকার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এটাকে দায়িত্ব মনে করে কাজ করছি। এখন সবাই আমাকে ‘জুলেখা আপা’ ডাকেন।
‘বিনা বেতনের’ কাজে সংসার চলে তো?
অনেক সময় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ফোন করে, গাড়ি পাঠায়। বাড়িতে গিয়ে প্রসব করাই। এতে অনেকে খুশি হয়ে কিছু টাকাপয়সা দেয়। এটা দিয়েই সংসার চলে। আর কমলগঞ্জে স্বামীর ওষুধের দোকান আছে।
কোনো কষ্ট আছে?
উপজেলা সদরে একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল আছে। এসব প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা প্রায়ই বলেন রোগীদের তাঁদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে। রাজি হই না বলে তাঁরা অনেকে আমার ওপর ক্ষুব্ধ। আমি জানি, সেখানে গেলে দুই-তিন দিন ভর্তি রেখে অথবা সিজার (অস্ত্রোপচার) করানোর কথা বলে গরিব রোগীদের কাছ থেকে অনেক টাকা তাঁরা হাতিয়ে নেবেন। এটাই কষ্ট লাগে।
পুরস্কার পেয়ে কেমন লাগল?
ভালো কাজ করায় পুরস্কার পেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, দেশের সবাই ভালো কাজ করলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?
এ কাজে নিজেকে আজীবন নিয়োজিত রাখতে চাই। সরকারের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ তো শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ খুঁজে নেব।
No comments