কেরির উদ্যোগে আরব লীগের সমর্থন
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে থেমে থাকা
শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে নেওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন
কেরির উদ্যোগে সমর্থন দিয়েছে আরব লীগ। গত বুধবার জর্দানের রাজধানী আম্মানে
কেরির সঙ্গে বৈঠকে এ সমর্থন দেন আরব লীগের প্রতিনিধিরা।
আশা করা হচ্ছে, শিগগির দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা যাবে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখার জেরে ২০১০ সালে দুই পক্ষের মধ্যকার সরাসরি শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায়। এরপর আর আলোচনার টেবিলে ফেরেনি ফিলিস্তিন-ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের দাবি, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগের সীমানার ভিত্তিতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে তারা আলোচনায় বসবে। কিন্তু কোনো ধরনের 'পূর্বশর্ত' নিয়ে আলোচনায় বসতে নারাজ ইসরায়েল। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের ওই যুদ্ধে গাজা ও পশ্চিম তীর দখলে নেয় ইসরায়েল।
গত ১ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন কেরি। কয়েক মাসের মধ্যে এটি তাঁর ষষ্ঠ দফায় মধ্যপ্রাচ্য সফর। জর্দানি এক কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শিগগির আলোচনার টেবিলে ফিরতে পারে- এমন ইঙ্গিতের পরিপ্রেক্ষিতে কেরি তাঁর মধ্যপ্রাচ্য সফর দীর্ঘায়িত করছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাও গতকাল বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার আগে শান্তি আলোচনা সংক্রান্ত যদি বাড়তি কোনো কাজ এগিয়ে রাখার দরকার হয়- এ জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) রাতও আম্মানে কাটাবেন কেরি।'
গতকাল রাতে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বৈঠক করার কথা ছিল। ওই বৈঠকে কেরির সঙ্গে আব্বাসের আলোচনার বিষয়বস্তু ও কেরির উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হবে। চলতি সপ্তাহে আম্মানে কেরির সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছেন আব্বাস। পিএলওর এক কর্মকর্তা গতকাল জানান, বসতি স্থাপনের ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছাড়া কেরির প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনায় বসা হবে কি না, সে ব্যাপারে নেতাদের মধ্যে ভোটাভুটি হবে।
মার্কিন এক কর্মকর্তা গতকাল জানান, পিএলওর নেতাদের ওই বৈঠকের ফল জানতে অপেক্ষা করছেন কেরি। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন তিনি।
গত বুধবার অধিকৃত অঞ্চলে সাত শতাধিক নতুন বাড়ি নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। কেরির সঙ্গে আলোচনায় জড়িত ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইশতায়েহ ইসরায়েলি এ পদক্ষেপকে কেরির উদ্যোগের প্রতিবন্ধকতা বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে বসতি স্থাপনে অর্থায়ন বন্ধে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পিছিয়ে দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ। তাঁর মতে, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে আলোচনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে 'শান্তি স্থাপনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার।'
২৮ সদস্য রাষ্ট্রের জোট ইইউ গত শুক্রবার পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন বিষয়ে যেকোনো প্রকল্পে অর্থায়ন বা লেনদেন বন্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের নতুন দিকনির্দেশনা (গাইডলাইনস) অনুযায়ী, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে ইইউর এ সিদ্ধান্তের পরপরই ইসরায়েল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার সতর্ক করে বলেন, ইইউর এ পদক্ষেপ 'শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর উদ্যোগ ভেস্তে দিতে পারে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখার জেরে ২০১০ সালে দুই পক্ষের মধ্যকার সরাসরি শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায়। এরপর আর আলোচনার টেবিলে ফেরেনি ফিলিস্তিন-ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের দাবি, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগের সীমানার ভিত্তিতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে তারা আলোচনায় বসবে। কিন্তু কোনো ধরনের 'পূর্বশর্ত' নিয়ে আলোচনায় বসতে নারাজ ইসরায়েল। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের ওই যুদ্ধে গাজা ও পশ্চিম তীর দখলে নেয় ইসরায়েল।
গত ১ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন কেরি। কয়েক মাসের মধ্যে এটি তাঁর ষষ্ঠ দফায় মধ্যপ্রাচ্য সফর। জর্দানি এক কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শিগগির আলোচনার টেবিলে ফিরতে পারে- এমন ইঙ্গিতের পরিপ্রেক্ষিতে কেরি তাঁর মধ্যপ্রাচ্য সফর দীর্ঘায়িত করছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাও গতকাল বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার আগে শান্তি আলোচনা সংক্রান্ত যদি বাড়তি কোনো কাজ এগিয়ে রাখার দরকার হয়- এ জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) রাতও আম্মানে কাটাবেন কেরি।'
গতকাল রাতে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বৈঠক করার কথা ছিল। ওই বৈঠকে কেরির সঙ্গে আব্বাসের আলোচনার বিষয়বস্তু ও কেরির উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হবে। চলতি সপ্তাহে আম্মানে কেরির সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছেন আব্বাস। পিএলওর এক কর্মকর্তা গতকাল জানান, বসতি স্থাপনের ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছাড়া কেরির প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনায় বসা হবে কি না, সে ব্যাপারে নেতাদের মধ্যে ভোটাভুটি হবে।
মার্কিন এক কর্মকর্তা গতকাল জানান, পিএলওর নেতাদের ওই বৈঠকের ফল জানতে অপেক্ষা করছেন কেরি। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন তিনি।
গত বুধবার অধিকৃত অঞ্চলে সাত শতাধিক নতুন বাড়ি নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। কেরির সঙ্গে আলোচনায় জড়িত ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইশতায়েহ ইসরায়েলি এ পদক্ষেপকে কেরির উদ্যোগের প্রতিবন্ধকতা বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে বসতি স্থাপনে অর্থায়ন বন্ধে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পিছিয়ে দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ। তাঁর মতে, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে আলোচনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে 'শান্তি স্থাপনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার।'
২৮ সদস্য রাষ্ট্রের জোট ইইউ গত শুক্রবার পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন বিষয়ে যেকোনো প্রকল্পে অর্থায়ন বা লেনদেন বন্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের নতুন দিকনির্দেশনা (গাইডলাইনস) অনুযায়ী, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে ইইউর এ সিদ্ধান্তের পরপরই ইসরায়েল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার সতর্ক করে বলেন, ইইউর এ পদক্ষেপ 'শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর উদ্যোগ ভেস্তে দিতে পারে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments