বিহারে ২৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু-খাবারে কীটনাশক ছিলভারতজুড়ে আতঙ্ক, স্কুলের খাবার খাচ্ছে না শিশুরা
ভারতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুলে বিনা
মূল্যে দেওয়া দুপুরের খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার খাদ্যে
বিষক্রিয়ায় বিহারে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর
দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ময়নাতদন্তে জানা গেছে, ওই স্কুলের
খাবারে কীটনাশক ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ু রাজ্যের মেয়েদের একটি
উচ্চ বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার পরপর অন্তত ১০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে
পড়ে। হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ভারতে প্রায় ১২ কোটি শিশুকে স্কুলে বিনা মূল্যে দুপুরের খাবার সরবরাহের কর্মসূচি চালু রয়েছে। খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষায় আকৃষ্ট করার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি এটি। গত মঙ্গলবার বিহারের সরণ জেলার গান্দামাল গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ২৩ শিশু মারা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো অন্তত ৩০ শিশু। সবার বয়স ৫ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। নিহত শিশুদের ময়নাতদন্ত শেষে জানানো হয়েছে, খাদ্যে কীটনাশক ছিল। তা থেকেই এ ঘটনা ঘটেছে। শিশুদের ভাত, ডাল ও সবজি দেওয়া হয়েছিল। বিহারের শিক্ষামন্ত্রী পি কে শাহি জানান, খাবারে ওর্গানোফসফেট পাওয়া গেছে। ধান ও গমের কীটনাশক হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। শিশুদের দেওয়া ভাতের চাল না ধুয়েই রান্না করা হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে গ্রামবাসীর ধারণা, সবজির কারণে বিষক্রিয়া হয়েছে। যেসব শিশু সবজি খায়নি, তারা ভালো আছে।
খাদ্যে বিষক্রিয়া ধরা পড়ার পর থেকেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পলাতক আছেন। পুলিশ তাঁর বাসায় অভিযান চালিয়ে কীটনাশকের দুটি কনটেইনার ও স্কুলের দুপুরের খাবারের জন্য বরাদ্দ ডাল, সবজি ও চাল উদ্ধার করেছে। রান্নার সরিষার তেলে উৎকট গন্ধের ব্যাপারে স্কুলের বাবুর্চি প্রধান শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এ ব্যাপারেও তদন্ত চলছে। শিশুদের পরিবেশনের আগে খাবার বাবুর্চি ও স্কুলের শিক্ষকদের চেখে দেখার নিয়ম রয়েছে। এ নিয়ম কেন মানা হয়নি, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিহারের ঘটনায় ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অভিভাবকরা শিশুদের স্কুলের খাবার না খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। সরকারি জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, অনেক স্কুলেই শিশুরা খাবার খাচ্ছে না। খাবার দেওয়ার পর তা আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিচ্ছে।
গতকাল তামিলনাড়ুর ন্যায়ভেলি শহরে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুপুরে বিনা মূল্যের খাবার খেয়ে প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবাই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। কয়েকজন বমি করতে শুরু করে। বাকিরা মাথা ঘোরার অভিযোগ করে। তবে কাছের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের নিরাপদ ঘোষণা করেন। খাবারের সঙ্গে দেওয়া ডিম খেয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ বোধ করে থাকতে পারে বলে জানান ন্যায়ভেলির প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা। সূত্র : এএফপি, হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতে প্রায় ১২ কোটি শিশুকে স্কুলে বিনা মূল্যে দুপুরের খাবার সরবরাহের কর্মসূচি চালু রয়েছে। খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষায় আকৃষ্ট করার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি এটি। গত মঙ্গলবার বিহারের সরণ জেলার গান্দামাল গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ২৩ শিশু মারা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো অন্তত ৩০ শিশু। সবার বয়স ৫ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। নিহত শিশুদের ময়নাতদন্ত শেষে জানানো হয়েছে, খাদ্যে কীটনাশক ছিল। তা থেকেই এ ঘটনা ঘটেছে। শিশুদের ভাত, ডাল ও সবজি দেওয়া হয়েছিল। বিহারের শিক্ষামন্ত্রী পি কে শাহি জানান, খাবারে ওর্গানোফসফেট পাওয়া গেছে। ধান ও গমের কীটনাশক হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। শিশুদের দেওয়া ভাতের চাল না ধুয়েই রান্না করা হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে গ্রামবাসীর ধারণা, সবজির কারণে বিষক্রিয়া হয়েছে। যেসব শিশু সবজি খায়নি, তারা ভালো আছে।
খাদ্যে বিষক্রিয়া ধরা পড়ার পর থেকেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পলাতক আছেন। পুলিশ তাঁর বাসায় অভিযান চালিয়ে কীটনাশকের দুটি কনটেইনার ও স্কুলের দুপুরের খাবারের জন্য বরাদ্দ ডাল, সবজি ও চাল উদ্ধার করেছে। রান্নার সরিষার তেলে উৎকট গন্ধের ব্যাপারে স্কুলের বাবুর্চি প্রধান শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এ ব্যাপারেও তদন্ত চলছে। শিশুদের পরিবেশনের আগে খাবার বাবুর্চি ও স্কুলের শিক্ষকদের চেখে দেখার নিয়ম রয়েছে। এ নিয়ম কেন মানা হয়নি, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিহারের ঘটনায় ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অভিভাবকরা শিশুদের স্কুলের খাবার না খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। সরকারি জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, অনেক স্কুলেই শিশুরা খাবার খাচ্ছে না। খাবার দেওয়ার পর তা আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিচ্ছে।
গতকাল তামিলনাড়ুর ন্যায়ভেলি শহরে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুপুরে বিনা মূল্যের খাবার খেয়ে প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবাই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। কয়েকজন বমি করতে শুরু করে। বাকিরা মাথা ঘোরার অভিযোগ করে। তবে কাছের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের নিরাপদ ঘোষণা করেন। খাবারের সঙ্গে দেওয়া ডিম খেয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ বোধ করে থাকতে পারে বলে জানান ন্যায়ভেলির প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা। সূত্র : এএফপি, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments