যুগ্ম সচিব হলেন ৩২৬ বঞ্চনাও সমানতালে by আশরাফুল হক রাজীব
মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সরকার ৩৪৫ জন
উপসচিবকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম সচিব করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের মধ্যে
৩২৬ জনের নামে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পদোন্নতি
মূলত ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের জন্য।
তবে ১৯৮৪ ও ১৯৮৫
ব্যাচের পদোন্নতিবঞ্চিত কিছু কর্মকর্তাও এবার পদোন্নতি পেয়েছেন। এই তিন
ব্যাচ মিলিয়ে পদোন্নতিবঞ্চিতের সংখ্যা সাড়ে তিন শর বেশি বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সালের প্রশাসন ব্যাচে ২০৮ জন কর্মকর্তা যোগ দিয়েছিলেন। পুরো ব্যাচকেই পদোন্নতির আওতায় নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গতকাল পদোন্নতি পেয়েছেন ১০৭ জন। ব্যাচের ষষ্ঠ স্থান অধিকারী আমিনুল ইসলাম খানকে পদোন্নতি দেওয়া না হলেও শেষ দিক থেকে চতুর্থ মো. আবদুল আজিজকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ব্যাচের সপ্তম কাজী এ কে এম মহিউল ইসলামকে পদোন্নতি দেওয়া হলেও বঞ্চিত হয়েছেন ব্যাচের অষ্টম ড. আবুল হোসেন ও নবম ড. মোহাম্মদ শাহদৎ হোসেন মাহমুদ। ব্যাচের ১২তম আবদুল মতিন, ১৪তম মফিদুল ইসলাম, ১৬তম বদরুল আরেফিন পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। পদোন্নতির তালিকায় জায়গা পাননি তপন কান্তি ঘোষ, মোহাম্মদ আইয়ুব, শামীম আল মামুন, জহিরুল ইসলাম, এ এন এম সফিকুল ইসলাম, ইলিয়াস ভূঁইয়া, সেলিম আকতার, জাফরউল্লাহ খান, এ কে এম শামসুল আরেফিন, ড. মোহাম্মদ আবদুস ছালাম, তৌফিকুর রহমান, মিজান উল আলম, জাকির হোসেন কামাল, শরিফ মুর্তজা মামুন, কাজী আবুল কালাম, আজিজুল আলম, সোহেল আহমেদ, হাওলাদার জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মহিউদ্দিন আহমদ বাবর খান, শামসুদ্দোহা, রাশিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, আবদুল জলিল, মোকছেদুর রহমান, আমিনুর রহমান, ড. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ কর্মকর্তা। মেধাবী নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা বাদ পড়েছেন তাঁরা হলেন শাহানা আখতার, মোহসেনা খান, শামীমা খান, জাহানারা বেগম, সেলিনা আখতার, লুৎফুন নাহার বেগম, সৈয়দা সাহানা বারী, আনোয়ারা বেগম, লায়লা জেসমিন, শামস-ই-আরা বিনতে হুদা প্রমুখ।
৮৪ ব্যাচে পদোন্নতির যোগ্য উপসচিব ছিলেন ১৬২ জন। গতকাল তাঁদের মধ্যে পদোন্নতি পেয়েছেন ৫৯ জন। বঞ্চিত হয়েছেন ৯৯ জন। ৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৯৮ জন ছিলেন পদোন্নতির যোগ্য। তাঁদের মধ্যে পদোন্নতি পেয়েছেন ১১৭ জন। বাকি রয়ে গেলেন ১৮১ জন।
পদোন্নতিবঞ্চিত একজন কর্মকর্তা গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি কেন পদোন্নতি পাইনি এটা সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের কাছে জানতে চাইব। কোন অপরাধের জন্য আমি বঞ্চিত হয়েছি সেটা জানতে চাই। আমি জানি, সরকার এটার কোনো জবাব দেবে না। তার পরও আমি জানতে চাইব। এভাবে প্রশাসন চলছে বলেই দেশ ডুবতে বসেছে।'
জনপ্রশাসনসচিব আবদুস সোবহান সিকদার গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'কোনো বঞ্চিতের ঘটনা ঘটেনি। যাঁরা যোগ্য তাঁরাই পদোন্নতি পেয়েছেন। একটা ব্যাচের সবাই পদোন্নতি পেতে পারেন না। পৃথিবীর কোনো দেশের প্রশাসনই সবাইকে প্রদোন্নতি দিতে পারে না। নিচের দিকে বেশি কর্মকর্তা থাকবেন, আর ধীরে ধীরে উপরের দিকে গিয়ে তা কমে আসবে। এটাই প্রশাসনিক কাঠামো।'
এর আগে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি একযোগে জনপ্রশাসনের ৬৪৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১২৭ জনকে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব, ২৬৪ জনকে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব এবং ২৫৮ জন সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। ওই পদোন্নতির সময় বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা বঞ্চিত হয়েছিলেন। এরপর সরকার শেষ দফায় পদোন্নতি দেওয়া শুরু করে। প্রথম দফায় সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এবার দেওয়া হয়েছে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে। যুগ্ম সচিবের মোট পদ ৪৩০টি হলেও বর্তমানে কর্মরত যুগ্ম সচিবের সংখ্যা ৬১৮ জন। তার ওপর আরো ৩২৬ জনকে এ পদে পদোন্নতি দেওয়ায় প্রশাসনিক কাঠামো ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন একজন সচিব।
সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সালের প্রশাসন ব্যাচে ২০৮ জন কর্মকর্তা যোগ দিয়েছিলেন। পুরো ব্যাচকেই পদোন্নতির আওতায় নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গতকাল পদোন্নতি পেয়েছেন ১০৭ জন। ব্যাচের ষষ্ঠ স্থান অধিকারী আমিনুল ইসলাম খানকে পদোন্নতি দেওয়া না হলেও শেষ দিক থেকে চতুর্থ মো. আবদুল আজিজকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ব্যাচের সপ্তম কাজী এ কে এম মহিউল ইসলামকে পদোন্নতি দেওয়া হলেও বঞ্চিত হয়েছেন ব্যাচের অষ্টম ড. আবুল হোসেন ও নবম ড. মোহাম্মদ শাহদৎ হোসেন মাহমুদ। ব্যাচের ১২তম আবদুল মতিন, ১৪তম মফিদুল ইসলাম, ১৬তম বদরুল আরেফিন পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। পদোন্নতির তালিকায় জায়গা পাননি তপন কান্তি ঘোষ, মোহাম্মদ আইয়ুব, শামীম আল মামুন, জহিরুল ইসলাম, এ এন এম সফিকুল ইসলাম, ইলিয়াস ভূঁইয়া, সেলিম আকতার, জাফরউল্লাহ খান, এ কে এম শামসুল আরেফিন, ড. মোহাম্মদ আবদুস ছালাম, তৌফিকুর রহমান, মিজান উল আলম, জাকির হোসেন কামাল, শরিফ মুর্তজা মামুন, কাজী আবুল কালাম, আজিজুল আলম, সোহেল আহমেদ, হাওলাদার জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মহিউদ্দিন আহমদ বাবর খান, শামসুদ্দোহা, রাশিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, আবদুল জলিল, মোকছেদুর রহমান, আমিনুর রহমান, ড. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ কর্মকর্তা। মেধাবী নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা বাদ পড়েছেন তাঁরা হলেন শাহানা আখতার, মোহসেনা খান, শামীমা খান, জাহানারা বেগম, সেলিনা আখতার, লুৎফুন নাহার বেগম, সৈয়দা সাহানা বারী, আনোয়ারা বেগম, লায়লা জেসমিন, শামস-ই-আরা বিনতে হুদা প্রমুখ।
৮৪ ব্যাচে পদোন্নতির যোগ্য উপসচিব ছিলেন ১৬২ জন। গতকাল তাঁদের মধ্যে পদোন্নতি পেয়েছেন ৫৯ জন। বঞ্চিত হয়েছেন ৯৯ জন। ৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৯৮ জন ছিলেন পদোন্নতির যোগ্য। তাঁদের মধ্যে পদোন্নতি পেয়েছেন ১১৭ জন। বাকি রয়ে গেলেন ১৮১ জন।
পদোন্নতিবঞ্চিত একজন কর্মকর্তা গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি কেন পদোন্নতি পাইনি এটা সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের কাছে জানতে চাইব। কোন অপরাধের জন্য আমি বঞ্চিত হয়েছি সেটা জানতে চাই। আমি জানি, সরকার এটার কোনো জবাব দেবে না। তার পরও আমি জানতে চাইব। এভাবে প্রশাসন চলছে বলেই দেশ ডুবতে বসেছে।'
জনপ্রশাসনসচিব আবদুস সোবহান সিকদার গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'কোনো বঞ্চিতের ঘটনা ঘটেনি। যাঁরা যোগ্য তাঁরাই পদোন্নতি পেয়েছেন। একটা ব্যাচের সবাই পদোন্নতি পেতে পারেন না। পৃথিবীর কোনো দেশের প্রশাসনই সবাইকে প্রদোন্নতি দিতে পারে না। নিচের দিকে বেশি কর্মকর্তা থাকবেন, আর ধীরে ধীরে উপরের দিকে গিয়ে তা কমে আসবে। এটাই প্রশাসনিক কাঠামো।'
এর আগে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি একযোগে জনপ্রশাসনের ৬৪৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১২৭ জনকে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব, ২৬৪ জনকে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব এবং ২৫৮ জন সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। ওই পদোন্নতির সময় বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা বঞ্চিত হয়েছিলেন। এরপর সরকার শেষ দফায় পদোন্নতি দেওয়া শুরু করে। প্রথম দফায় সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এবার দেওয়া হয়েছে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে। যুগ্ম সচিবের মোট পদ ৪৩০টি হলেও বর্তমানে কর্মরত যুগ্ম সচিবের সংখ্যা ৬১৮ জন। তার ওপর আরো ৩২৬ জনকে এ পদে পদোন্নতি দেওয়ায় প্রশাসনিক কাঠামো ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন একজন সচিব।
No comments