পাহাড়ে অপহরণ-নেপথ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই
পার্বত্য শান্তিচুক্তি হয়েছে, কিনমশং
অশান্ত পাহাড়ে শান্তি ফেরেনি। দূর হয়নি পাহাড়ের অশান্তি। বিবদমান
গ্রুপগুলোর মধ্যে যেমন গোলযোগ লেগে আছে, তেমনি সেখানে কাজ করতে যাওয়া
বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদেরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়।
৮
জুলাই রাঙামাটির বাঘাইছড়ি থেকে অপহৃত টেলিটককর্মীদের খবর মেলেনি। সম্প্রতি
দীঘিনালায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল দুটি গ্রুপ। অন্যদিকে ছয় মাস আগে অপহৃত
চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ৫২ সদস্যের কোনো সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
পাহাড়ে শান্তি ফেরানো একান্ত আবশ্যক। কিন্তু বিবদমান গ্রুপগুলো যেভাবে নিজেদের অবস্থান নিয়েছে, তাতে শান্তি অনেকটাই দুরাশা। সামান্য ব্যাপারে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায় বিবদমান গ্রুপগুলো। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা সেই সাক্ষ্যই দেয়। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এমএন লারমা সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ মারমুখী অবস্থানে। ৮ জুলাই রাঙামাটির বাঘাইছড়ির মারিশ্যা থেকে বি-টেকনোলজির পাঁচ কর্মীকে অপহরণ করার পর অপহৃতদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানা যায়নি। যেমন জানা যায়নি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ৫২ সদস্যের ভাগ্যে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে।
পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দশক ধরে সশস্ত্র লড়াই করছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। এই লড়াইয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে সহস্রাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক। তবু থামছে না এই ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত। নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যত সবই ব্যর্থ। হত্যা, অপহরণ, গুম ও চাঁদাবাজি পাহাড়ে নিত্য ঘটনা। জনসংহতির শক্তিশালী ঘাঁটি রাঙামাটি শহরে নিজেদের ক্ষয়িষ্ণু সাংগঠনিক অবস্থান পুনর্নিয়ন্ত্রণ, হাতছাড়া হওয়া বরকলের সুভলং, জুড়াছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলী উপজেলায় কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা, গাছ ব্যবসা থেকে আহরিত চাঁদায় নিজেদের ভাগ নিশ্চিত আর সন্তু লারমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে ইউপিডিএফকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যেই এই বড় অপহরণ-কাণ্ড ঘটানো হয় বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। আধিপত্য বিস্তারের এই লড়াই থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পারস্পরিক সহাবস্থান গড়ে তুলতে না পারলে পাহাড়ে শান্তি ফিরবে না।
পাহাড়ে শান্তি ফেরানো একান্ত আবশ্যক। কিন্তু বিবদমান গ্রুপগুলো যেভাবে নিজেদের অবস্থান নিয়েছে, তাতে শান্তি অনেকটাই দুরাশা। সামান্য ব্যাপারে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায় বিবদমান গ্রুপগুলো। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা সেই সাক্ষ্যই দেয়। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এমএন লারমা সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ মারমুখী অবস্থানে। ৮ জুলাই রাঙামাটির বাঘাইছড়ির মারিশ্যা থেকে বি-টেকনোলজির পাঁচ কর্মীকে অপহরণ করার পর অপহৃতদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানা যায়নি। যেমন জানা যায়নি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ৫২ সদস্যের ভাগ্যে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে।
পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দশক ধরে সশস্ত্র লড়াই করছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। এই লড়াইয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে সহস্রাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক। তবু থামছে না এই ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত। নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যত সবই ব্যর্থ। হত্যা, অপহরণ, গুম ও চাঁদাবাজি পাহাড়ে নিত্য ঘটনা। জনসংহতির শক্তিশালী ঘাঁটি রাঙামাটি শহরে নিজেদের ক্ষয়িষ্ণু সাংগঠনিক অবস্থান পুনর্নিয়ন্ত্রণ, হাতছাড়া হওয়া বরকলের সুভলং, জুড়াছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলী উপজেলায় কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা, গাছ ব্যবসা থেকে আহরিত চাঁদায় নিজেদের ভাগ নিশ্চিত আর সন্তু লারমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে ইউপিডিএফকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যেই এই বড় অপহরণ-কাণ্ড ঘটানো হয় বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। আধিপত্য বিস্তারের এই লড়াই থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পারস্পরিক সহাবস্থান গড়ে তুলতে না পারলে পাহাড়ে শান্তি ফিরবে না।
No comments