ভারতে নতুন আইন হচ্ছে-তালাকের পর স্বামীর সব সম্পদের ভাগ পাবে স্ত্রী
তালাকের পর স্বামীর উত্তরাধিকাসূত্রে
পাওয়া সম্পদে স্ত্রীর অধিকার রেখে বিবাহ আইনের সংশোধনী অনুমোদন করেছে
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তবে এ ধরনের সম্পত্তিতে স্ত্রী কত অংশ ভাগ
পাবে তা নির্ধারণের বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিয়ের পর স্বামীর অর্জিত সম্পদেও স্ত্রীর অধিকার রেখে একটি ধারা যুক্ত করা
হয়েছে বিলটিতে। গত বুধবার মন্ত্রিসভায় বিলটি অনুমোদন পেয়েছে। আগামী ৫
আগস্ট পার্লামেন্টের বর্ষা অধিবেশন শুরু হবে। এ অধিবেশনেই বিলটি পাসের জন্য
তোলা হবে।
তালাক ও তালাকের পর স্বামীর সম্পদে স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত করতে ভারতে বিবাহ-সংক্রান্ত আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে মন্ত্রিসভায় যুক্তি-তর্ক হয়। অবশেষে গত বুধবার বিবাহ আইন সংশোধন বিলে অনুমোদন দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সংশোধিত বিলে তালাকের প্রক্রিয়া আরো সহজ করা হয়েছে। বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী, তালাকের আবেদন করার ছয় থেকে ১৮ মাসের মধ্যে উভয় পক্ষকে আদালতে হাজির হতে হয় এবং তালাকের পক্ষে যৌথভাবে দ্বিতীয় আবেদন জমা দিতে হয়। স্বামী ও স্ত্রীর সমঝোতার ভিত্তিতে তালাক চাওয়া হলেও একই বিধান প্রযোজ্য। নতুন বিলে তালাকের প্রথম আবেদন করার তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয় আবেদন করা না হলে আদালতকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
তালাকের পর স্বামীর উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পদে স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। উত্তরাধিকারের সম্পত্তি ভাগ করা না গেলে স্ত্রীকে উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এ ধরনের সম্পদে স্ত্রীর অংশ কতটুকু হবে, তা নির্ধারণ করবেন আদালত। স্বামী ও স্ত্রীর নগদ আয়, সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া, উত্তরাধিকারসূত্রের সম্পদে অংশীদারদের সংখ্যা বিবেচনায় এ অংশ নির্ধারিত হবে। স্বামীর নিজের উপার্জিত আয়েও স্ত্রীর অধিকার রেখে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে সংশোধিত আইনে। যে আদালতে তালাকের ফয়সালা হবে, ওই একই আদালত সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা করবেন।
ভারতের আইন মন্ত্রণালয় শুরুতে স্বামীর উত্তরাধিকারসূত্রের সম্পত্তিতে স্ত্রীর সমান অধিকার রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে এ প্রস্তাব নিয়ে মন্ত্রিসভায় ব্যাপক বাগ্বিতণ্ডা হয়। আইন পাস হলেও এই বিধান কার্যকর হবে কি না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় সবার সম্মতিতে স্বামীর সম্পদে স্ত্রীর অংশ নির্ধারণের বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
তালাক ও তালাকের পর স্বামীর সম্পদে স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত করতে ভারতে বিবাহ-সংক্রান্ত আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে মন্ত্রিসভায় যুক্তি-তর্ক হয়। অবশেষে গত বুধবার বিবাহ আইন সংশোধন বিলে অনুমোদন দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সংশোধিত বিলে তালাকের প্রক্রিয়া আরো সহজ করা হয়েছে। বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী, তালাকের আবেদন করার ছয় থেকে ১৮ মাসের মধ্যে উভয় পক্ষকে আদালতে হাজির হতে হয় এবং তালাকের পক্ষে যৌথভাবে দ্বিতীয় আবেদন জমা দিতে হয়। স্বামী ও স্ত্রীর সমঝোতার ভিত্তিতে তালাক চাওয়া হলেও একই বিধান প্রযোজ্য। নতুন বিলে তালাকের প্রথম আবেদন করার তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয় আবেদন করা না হলে আদালতকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
তালাকের পর স্বামীর উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পদে স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। উত্তরাধিকারের সম্পত্তি ভাগ করা না গেলে স্ত্রীকে উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এ ধরনের সম্পদে স্ত্রীর অংশ কতটুকু হবে, তা নির্ধারণ করবেন আদালত। স্বামী ও স্ত্রীর নগদ আয়, সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া, উত্তরাধিকারসূত্রের সম্পদে অংশীদারদের সংখ্যা বিবেচনায় এ অংশ নির্ধারিত হবে। স্বামীর নিজের উপার্জিত আয়েও স্ত্রীর অধিকার রেখে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে সংশোধিত আইনে। যে আদালতে তালাকের ফয়সালা হবে, ওই একই আদালত সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা করবেন।
ভারতের আইন মন্ত্রণালয় শুরুতে স্বামীর উত্তরাধিকারসূত্রের সম্পত্তিতে স্ত্রীর সমান অধিকার রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে এ প্রস্তাব নিয়ে মন্ত্রিসভায় ব্যাপক বাগ্বিতণ্ডা হয়। আইন পাস হলেও এই বিধান কার্যকর হবে কি না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় সবার সম্মতিতে স্বামীর সম্পদে স্ত্রীর অংশ নির্ধারণের বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments