অভিমত লক্ষ্য এক বিলিয়ন by রাসেল টি আহমেদ
তারুণ্য আর তথ্যপ্রযুক্তি শব্দ দুটি আজ
সমার্থক। কম্পিউটার সফটওয়্যারের পথিকৃৎ বিল গেটস থেকে শুরু করে হালের মার্ক
জাকারবার্গ—সবাই তাঁদের তারুণ্যেই নিজ নিজ উদ্ভাবন দিয়ে বিশ্ব জয় করেছেন।
হয়েছেন
বিলিওনিয়ার। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও তারুণ্যের জয়জয়কার।
ছোট-বড়-মাঝারি—বাংলাদেশের বেশির ভাগ তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার,
প্রোগ্রামার, কর্মী—সবাই তো তরুণ। আর সাম্প্রতিক সময়ের ফ্রিল্যান্স
আউটসোর্সিংয়ের যে অগ্রযাত্রা, তা তো তারুণ্যেরই জয়গান। বাংলাদেশের
তথ্যপ্রযুক্তি তাই মূলত স্বতঃস্ফূর্ত তারুণ্যনির্ভর। এ ব্যাপারটিই এই
শিল্পে তো বটেই, সমগ্র জাতিকে সম্ভাবনার এক নুতন দুয়ারের হাতছানি দেয়।
৮ জুলাই বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘আইটি মার্কেটিং ফোরামে’ একটি প্যানেলে আলোচনা করা হয় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় সাফল্যের জন্য দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।
গত কয়েক বছরে দেশ থেকে সফটওয়্যার রপ্তানিতে আমাদের অগ্রগতি লক্ষণীয়। কেবল ২০১২-১৩ অর্থবছরেই এ খাতের রপ্তানির পরিমাণ ১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং থেকে আয় হয়েছে আরও প্রায় আড়াই কোটি ডলার। সফটওয়্যার রপ্তানির হার গত এক বছরে বেড়েছে ৩২ দশমিক ০৮ শতাংশ। বিশ্ববাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা আর আমাদের তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা ও যোগ্যতার কথা বিবেচনা করলে আমাদের জোরালো বিশ্বাস, অদূর ভবিষ্যতে এ খাতে রপ্তানি আয় ১০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১০০ কোটি অর্থাৎ এক বিলিয়ন ডলারে দাঁড় করানো সম্ভব। এক বিলিয়ন ডলারের একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এখন প্রয়োজন একটি সঠিক কর্মপন্থা, যা রোডম্যাপ নির্ধারণ। এ জন্য সরকারসহ সংবাদমাধ্যম, দাতা সংস্থা, তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানগুলো—সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আর এই আয়োজনের মূল সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করতে বেসিস পুরোপুরি তৈরি।
কাজের পরিধি নির্ধারণ: ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিকস ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), স্থাপত্য নকশা তৈরি—বাংলাদেশ থেকে এই কাজগুলো এখন বেশি পরিমাণে হচ্ছে। মুঠোফোনের অ্যাপস তৈরি শুরু হয়েছে এবং আমরা ভালোও করছি। প্রয়োজন হলো কাজের পরিমাণ বাড়ানো, ব্যাক অফিস অপারেশন আর নিজেদের তৈরি ব্র্যান্ড বিশ্ববাজারে তুলে ধরা।
দেশের ব্যান্ডিং ও সচেতনতা তৈরি: রাজনৈতিক অবস্থা যা-ই হোক না কেন, আমাদের যত্ন নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি, কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ের কৌশল তৈরি করে এগিয়ে যেতে হবে; যাতে আমাদের বাংলাদেশকে স্বল্পতম সময়ে তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব দেশ হিসেবে বাইরে তুলে ধরতে পারি। ইন্টারনেটের দাম কমানোর পাশাপাশি দ্রুতগতির ইন্টারনেট সহজ করতে হবে। হাইটেক পার্কসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনেক মনোযোগী হতে হবে। সবার আগে সব ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি এখন খুবই প্রয়োজন। আমাদের আজ সুযোগ আছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সুযোগ সব সময় আমাদের জন্য অপেক্ষায় থাকবে। এখনই সময় সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়া।
লেখক: মহাসচিব, বেসিস
৮ জুলাই বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘আইটি মার্কেটিং ফোরামে’ একটি প্যানেলে আলোচনা করা হয় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় সাফল্যের জন্য দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।
গত কয়েক বছরে দেশ থেকে সফটওয়্যার রপ্তানিতে আমাদের অগ্রগতি লক্ষণীয়। কেবল ২০১২-১৩ অর্থবছরেই এ খাতের রপ্তানির পরিমাণ ১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং থেকে আয় হয়েছে আরও প্রায় আড়াই কোটি ডলার। সফটওয়্যার রপ্তানির হার গত এক বছরে বেড়েছে ৩২ দশমিক ০৮ শতাংশ। বিশ্ববাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা আর আমাদের তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা ও যোগ্যতার কথা বিবেচনা করলে আমাদের জোরালো বিশ্বাস, অদূর ভবিষ্যতে এ খাতে রপ্তানি আয় ১০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১০০ কোটি অর্থাৎ এক বিলিয়ন ডলারে দাঁড় করানো সম্ভব। এক বিলিয়ন ডলারের একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এখন প্রয়োজন একটি সঠিক কর্মপন্থা, যা রোডম্যাপ নির্ধারণ। এ জন্য সরকারসহ সংবাদমাধ্যম, দাতা সংস্থা, তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানগুলো—সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আর এই আয়োজনের মূল সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করতে বেসিস পুরোপুরি তৈরি।
কাজের পরিধি নির্ধারণ: ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিকস ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), স্থাপত্য নকশা তৈরি—বাংলাদেশ থেকে এই কাজগুলো এখন বেশি পরিমাণে হচ্ছে। মুঠোফোনের অ্যাপস তৈরি শুরু হয়েছে এবং আমরা ভালোও করছি। প্রয়োজন হলো কাজের পরিমাণ বাড়ানো, ব্যাক অফিস অপারেশন আর নিজেদের তৈরি ব্র্যান্ড বিশ্ববাজারে তুলে ধরা।
দেশের ব্যান্ডিং ও সচেতনতা তৈরি: রাজনৈতিক অবস্থা যা-ই হোক না কেন, আমাদের যত্ন নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি, কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ের কৌশল তৈরি করে এগিয়ে যেতে হবে; যাতে আমাদের বাংলাদেশকে স্বল্পতম সময়ে তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব দেশ হিসেবে বাইরে তুলে ধরতে পারি। ইন্টারনেটের দাম কমানোর পাশাপাশি দ্রুতগতির ইন্টারনেট সহজ করতে হবে। হাইটেক পার্কসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনেক মনোযোগী হতে হবে। সবার আগে সব ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি এখন খুবই প্রয়োজন। আমাদের আজ সুযোগ আছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সুযোগ সব সময় আমাদের জন্য অপেক্ষায় থাকবে। এখনই সময় সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়া।
লেখক: মহাসচিব, বেসিস
No comments