বিশ্ব ইজতেমা-হয়ে উঠুক বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের প্রতীক
দেশে বিরাজমান তীব্র শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে টঙ্গীর তুরাগ তীরে সমবেত হয়েছে লাখো মুসল্লি। গত শুক্রবার আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই জমায়েতের প্রথম পর্ব। আজ রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব।
আগামী ১৮ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত।
বাংলাদেশের লাখো মুসল্লি ছাড়াও ৮৫টি দেশের আট হাজার মেহমান এবার বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। ইজতেমা যাতে শন্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায় সে জন্য ইজতেমা কমিটি সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। পর্যাপ্ত মেডিক্যাল টিমও রাখা হয়েছে অসুস্থ হয়ে পড়া মুসল্লিদের তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য। আয়োজকরা জানান, এবার ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ানো হয়েছে, যদিও ইজতেমায় যোগ দিতে আসা মুসল্লিরা কেউই এটা নিয়ে মোটেও ভাবিত নয়। তারা এখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতেই এসেছে।
ইতিহাস অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাকরাইল মসজিদে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয় ১৯৪৬ সালে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ভারতের মাওলানা ইলিয়াস এর গোড়াপত্তন করেন। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের পারে স্থানান্তর করা হয় ইজতেমা। পরে সরকার তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়। তখন থেকে তুরাগ পারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সমাবেশ। টঙ্গীর এই বিশ্ব ইজতেমায় সারা বিশ্বের বুজুর্গ ব্যক্তিরা আসেন। তাঁরা বয়ান করেন। ইজতেমার মূল বিষয় হলো বয়ান। এর ভেতর দিয়ে ধর্মীয় বিষয়াদি তুলে ধরা হয়। প্রতিবছরই বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে তুরাগ পারে মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাগতিক বাংলাদেশের মুসল্লিদের সঙ্গে বিদেশি মুসলমানদের পারস্পরিক জানাজানি ও ভাব বিনিময়েরও একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই বিশ্ব ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতের পর এখান থেকেই অনেকে বেরিয়ে যাবে দ্বীনের দাওয়াতে।
আজ যখন বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তখন বিশ্ব মুসলিম নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা নিপীড়নের শিকার। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ নানাভাবে বহিঃশত্রুর দ্বারা আক্রান্ত। অনেক দেশই পাচ্ছে না আন্তর্জাতিক সমর্থন। নৈতিকতার নূ্যনতম সমর্থনবঞ্চিত মুসলিম দেশগুলোতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে। বিস্তৃত হচ্ছে চক্রান্তের জাল। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেই আজ প্রয়োজন ঐক্য। বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের প্রতীক হতে পারে বিশ্ব ইজতেমা। মুসলমানদের নিজেদের অস্তিত্ব আর নিরাপত্তার স্বার্থেই আজ পারস্পরিক হানাহানি ভুলে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে সৌভ্রাতৃত্ববোধ। মিটিয়ে ফেলতে হবে সব বিভেদ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের সংঘাত। বিশ্ব ইজতেমার সমাবেশ থেকে আত্মমর্যাদা, চেতনা ও তাকত অর্জন করে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় নতুন করে সুন্দর ও সুস্থ জীবন গড়ে তোলায় ব্রতী হবে- এটাই আমাদের কামনা। তুরাগ তীরে মুসলমানদের মহাসমাবেশ সফল হোক, সার্থক ও সুন্দর হোক।
বাংলাদেশের লাখো মুসল্লি ছাড়াও ৮৫টি দেশের আট হাজার মেহমান এবার বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। ইজতেমা যাতে শন্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায় সে জন্য ইজতেমা কমিটি সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। পর্যাপ্ত মেডিক্যাল টিমও রাখা হয়েছে অসুস্থ হয়ে পড়া মুসল্লিদের তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য। আয়োজকরা জানান, এবার ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ানো হয়েছে, যদিও ইজতেমায় যোগ দিতে আসা মুসল্লিরা কেউই এটা নিয়ে মোটেও ভাবিত নয়। তারা এখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতেই এসেছে।
ইতিহাস অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাকরাইল মসজিদে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয় ১৯৪৬ সালে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ভারতের মাওলানা ইলিয়াস এর গোড়াপত্তন করেন। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের পারে স্থানান্তর করা হয় ইজতেমা। পরে সরকার তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়। তখন থেকে তুরাগ পারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সমাবেশ। টঙ্গীর এই বিশ্ব ইজতেমায় সারা বিশ্বের বুজুর্গ ব্যক্তিরা আসেন। তাঁরা বয়ান করেন। ইজতেমার মূল বিষয় হলো বয়ান। এর ভেতর দিয়ে ধর্মীয় বিষয়াদি তুলে ধরা হয়। প্রতিবছরই বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে তুরাগ পারে মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাগতিক বাংলাদেশের মুসল্লিদের সঙ্গে বিদেশি মুসলমানদের পারস্পরিক জানাজানি ও ভাব বিনিময়েরও একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই বিশ্ব ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতের পর এখান থেকেই অনেকে বেরিয়ে যাবে দ্বীনের দাওয়াতে।
আজ যখন বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তখন বিশ্ব মুসলিম নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা নিপীড়নের শিকার। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ নানাভাবে বহিঃশত্রুর দ্বারা আক্রান্ত। অনেক দেশই পাচ্ছে না আন্তর্জাতিক সমর্থন। নৈতিকতার নূ্যনতম সমর্থনবঞ্চিত মুসলিম দেশগুলোতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে। বিস্তৃত হচ্ছে চক্রান্তের জাল। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেই আজ প্রয়োজন ঐক্য। বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের প্রতীক হতে পারে বিশ্ব ইজতেমা। মুসলমানদের নিজেদের অস্তিত্ব আর নিরাপত্তার স্বার্থেই আজ পারস্পরিক হানাহানি ভুলে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে সৌভ্রাতৃত্ববোধ। মিটিয়ে ফেলতে হবে সব বিভেদ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের সংঘাত। বিশ্ব ইজতেমার সমাবেশ থেকে আত্মমর্যাদা, চেতনা ও তাকত অর্জন করে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় নতুন করে সুন্দর ও সুস্থ জীবন গড়ে তোলায় ব্রতী হবে- এটাই আমাদের কামনা। তুরাগ তীরে মুসলমানদের মহাসমাবেশ সফল হোক, সার্থক ও সুন্দর হোক।
No comments