ওবামা-কারজাই সমঝোতা-এ বসন্তেই বেশির ভাগ যুদ্ধাভিযান শেষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
আফগানিস্তানে এই বসন্তের মধ্যেই 'বেশির ভাগ' যুদ্ধাভিযানের ইতি টানবে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে গত শুক্রবার এক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও যুক্তরাষ্ট্র সফরকারী আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
এ সময়ের মধ্যেই আফগান বাহিনীর কাঁধে দেশের বেশির ভাগ নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দিতে চান ওবামা। তাঁর এই অবস্থান থেকে ধারণা করা হচ্ছে, দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার দ্রুততর হবে। একই সঙ্গে ২০১৪ সালে সেনা প্রত্যাহারের পরও দেশটিতে 'অত্যন্ত সীমিত পরিসরে' ন্যাটো বাহিনী ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।
বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, 'আফগানিস্তানে এই বসন্ত থেকে আমাদের সেনারা ভিন্ন ভূমিকা পালন করবে। তারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহায়তা দেবে।' কারজাইও প্রায় একই কথা বলেছেন, এই বসন্ত থেকে আফগান জনগণের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে আফগান বাহিনী। দেশের গ্রামগুলোতে আর আন্তর্জাতিক বা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি থাকবে না। প্রসঙ্গত, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে আফগানিস্তানে বসন্ত শুরু হবে। ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে অবস্থানকারী ৬৬ হাজার সেনার বেশির ভাগকেই সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ওবামা। এরপর তাদের ভূমিকা হবে 'অত্যন্ত সীমিত'। তবে ওবামা সতর্ক করে বলেন, সেক্ষেত্রে কারজাইকে অবশ্যই সমঝোতায় আসতে হবে। সমঝোতা নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের জন্য দায়মুক্তির শর্ত দিয়েছে। ওবামা বলেন, '২০১৪ সালের পর মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানে থাকতে পারে। তবে কোনো কারণেই তাদের আফগান বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি করা যাবে না- এমন নিশ্চয়তা চাই আমাদের। নইলে সেনা রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।'
২০১৪ সালে পর আফগানিস্তানে কী পরিমাণ বিদেশি সেনা থাকবে সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি কারজাই। তবে জানা গেছে, হোয়াইট হাউস তিন হাজার, ছয় হাজার বা ৯ হাজার সেনা আফগানিস্তানে রাখার পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছে। যদিও আফগানিস্তানে কোনো সেনা রাখা হবে না- এমন সম্ভাবনার বিষয়টিও বাতিল করে দেয়নি ওবামা প্রশাসন।
যৌথ বিবৃতিতে ওবামা ও কারজাই আরো বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও অগ্রগতি প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। বর্তমানে দেশে পরিচালিত ৮০ শতাংশ অভিযানের নেতৃত্ব তারাই দিচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ৯০ শতাংশ আফগানের নিরাপত্তার দায়িত্বও তারাই নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও গত শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে কারজাই জানান, নিজের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হলে প্রেসিডেন্ট পদে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি। একটি যথাযথ, সুশৃঙ্খল ও বাইরের হস্তক্ষেপমুক্ত নির্বাচন আয়োজনই হবে তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন। আফগান জনগণও সেভাবেই ভাবছে। ২০০৯ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কারজাই। ২০১৪ সালে তাঁর দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষ হবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, গার্ডিয়ান।
ওবামা কী বললেন
'আফগানিস্তানে আসন্ন বসন্ত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ভিন্ন ভূমিকা পালন করবে। তারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহায়তা দেবে। ২০১৪ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তানে থাকতে পারে। তবে কোনো কারণেই তাদের আফগান বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি করা যাবে না- এমন নিশ্চয়তা চাই আমরা। তা না হলে সেনা রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।'
কারজাই কী বললেন
আসন্ন বসন্ত থেকে আফগান জনগণের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে আফগান বাহিনী। দেশের গ্রামগুলোতে আর বহুজাতিক বা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি থাকবে না। তবে ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে কী পরিমাণ বিদেশি সেনা থাকতে পারে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কারজাই।
বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, 'আফগানিস্তানে এই বসন্ত থেকে আমাদের সেনারা ভিন্ন ভূমিকা পালন করবে। তারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহায়তা দেবে।' কারজাইও প্রায় একই কথা বলেছেন, এই বসন্ত থেকে আফগান জনগণের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে আফগান বাহিনী। দেশের গ্রামগুলোতে আর আন্তর্জাতিক বা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি থাকবে না। প্রসঙ্গত, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে আফগানিস্তানে বসন্ত শুরু হবে। ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে অবস্থানকারী ৬৬ হাজার সেনার বেশির ভাগকেই সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ওবামা। এরপর তাদের ভূমিকা হবে 'অত্যন্ত সীমিত'। তবে ওবামা সতর্ক করে বলেন, সেক্ষেত্রে কারজাইকে অবশ্যই সমঝোতায় আসতে হবে। সমঝোতা নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের জন্য দায়মুক্তির শর্ত দিয়েছে। ওবামা বলেন, '২০১৪ সালের পর মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানে থাকতে পারে। তবে কোনো কারণেই তাদের আফগান বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি করা যাবে না- এমন নিশ্চয়তা চাই আমাদের। নইলে সেনা রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।'
২০১৪ সালে পর আফগানিস্তানে কী পরিমাণ বিদেশি সেনা থাকবে সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি কারজাই। তবে জানা গেছে, হোয়াইট হাউস তিন হাজার, ছয় হাজার বা ৯ হাজার সেনা আফগানিস্তানে রাখার পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছে। যদিও আফগানিস্তানে কোনো সেনা রাখা হবে না- এমন সম্ভাবনার বিষয়টিও বাতিল করে দেয়নি ওবামা প্রশাসন।
যৌথ বিবৃতিতে ওবামা ও কারজাই আরো বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও অগ্রগতি প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। বর্তমানে দেশে পরিচালিত ৮০ শতাংশ অভিযানের নেতৃত্ব তারাই দিচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ৯০ শতাংশ আফগানের নিরাপত্তার দায়িত্বও তারাই নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও গত শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে কারজাই জানান, নিজের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হলে প্রেসিডেন্ট পদে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি। একটি যথাযথ, সুশৃঙ্খল ও বাইরের হস্তক্ষেপমুক্ত নির্বাচন আয়োজনই হবে তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন। আফগান জনগণও সেভাবেই ভাবছে। ২০০৯ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কারজাই। ২০১৪ সালে তাঁর দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষ হবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, গার্ডিয়ান।
ওবামা কী বললেন
'আফগানিস্তানে আসন্ন বসন্ত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ভিন্ন ভূমিকা পালন করবে। তারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহায়তা দেবে। ২০১৪ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তানে থাকতে পারে। তবে কোনো কারণেই তাদের আফগান বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি করা যাবে না- এমন নিশ্চয়তা চাই আমরা। তা না হলে সেনা রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।'
কারজাই কী বললেন
আসন্ন বসন্ত থেকে আফগান জনগণের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে আফগান বাহিনী। দেশের গ্রামগুলোতে আর বহুজাতিক বা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি থাকবে না। তবে ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে কী পরিমাণ বিদেশি সেনা থাকতে পারে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কারজাই।
No comments