গার্মেন্টে আগুনঃ দুই দশকে ৭০০ মৃত্যু
গার্মেন্টে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। মর্মান্তিক সব মৃত্যু। এক বুক স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতে আসা নিন্মআয়ের সাধারণ নারী শ্রমিকরা প্রায়ই বাড়ি ফিরছেন লাশ হয়ে। অসচেতনতা আর মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কিছুতেই থামছে না এমন দুর্ঘটনা।
যখনই বড় কোন ঘটনা ঘটে তখনই টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। পরে আর ধারাবাহিকতা থাকে না। হয়তো অনেক ক্ষেত্রে তদন্তের রিপোর্টও আলোর মুখ দেখে না। বড় দুর্ঘটনার পর পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নিহতদের কিছু আর্থিক সাহায্য দেয়। আর এটুকুই হয়তো জীবন হারানো শ্রমিকদের শেষ প্রাপ্য।
বিজিএমইএ ও বিভিন্ন সংগঠনের দেয়া তথ্য অনুযায়ি গত দুই দশকে গার্মেন্টে আগুনের ঘটনায় অন্তত ৭০০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার আশুলিয়ার ঘটনায় সর্বাধিক ১১২জন শ্রমিকের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০১০ সালে গার্মেন্ট দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ বছরের ২৫শে ফেব্র“য়ারি গাজীপুরের গরীব এন্ড গরীব সোয়েটার ফ্যাক্টরীতে অগ্নিকাণ্ডে ২১জন শ্রমিক মারা যান। একই বছরের ১৪ই ডিসেম্বর আশুলিয়ায় হা মীম গ্র“পের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীতে আগুনে পুড়ে মারা যান ৩০ শ্রমিক।
বিজিএমইএর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ২৩শে ফেব্রয়ারি চট্টগ্রামের কেটিএস কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলে আগুন ধরলে ৯১ জন শ্রমিক পুড়ে মারা যান। ওই বছরের ৯ ফেব্রয়ারি গাজীপুরের যমুনা স্পিনিং মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ছয়জন। একই বছরের মার্চ মাসে সায়েম ফ্যাশন লিমিটেডে আগুনে তিন মহিলা শ্রমিক নিহত হন। ২০০৫ সালের ৭ই জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্ট কারখানায় আগুনে ২২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে নরসিংদীর শিবপুরে গার্মেন্ট কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৪৮ শ্রমিক নিহত হন। ওই বছরের ৩রা মে মিসকো সুপার মার্কেট কমপ্লেক্সের এক গার্মেন্টে আগুন লাগলে ৯ শ্রমিক মারা যান। ২০০১ সালের ৮ই আগস্ট ঢাকার মিরপুরের মিকো সোয়েটার লিমিটেডে আগুন ধরার গুজবে ভিড়ে পায়ের নিচে চাপা পড়ে নিহত হন ২৪ গার্মেন্ট শ্রমিক। এর সপ্তাহখানেক আগে মিরপুরের কাফরুলে অগ্নিকাণ্ডে আরো ২৬ শ্রমিক মারা যান। ২০০০ সালের ২৫ নভেম্বর নরসিংদীর চৌধুরী নিটওয়্যার অ্যান্ড গার্মেন্ট লিমিটেডে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান ৫৩ শ্রমিক। এর আগে ১৯৯৯ সালের আগস্টে গ্লোব নিটিং কারখানায় আগুনে মারা যান ১২ শ্রমিক। ১৯৯০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর সারেকা গার্মেন্টে আগুনে পুড়ে মারা যান ৩০ জন। ।
বিজিএমইএর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ২৩শে ফেব্রয়ারি চট্টগ্রামের কেটিএস কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলে আগুন ধরলে ৯১ জন শ্রমিক পুড়ে মারা যান। ওই বছরের ৯ ফেব্রয়ারি গাজীপুরের যমুনা স্পিনিং মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ছয়জন। একই বছরের মার্চ মাসে সায়েম ফ্যাশন লিমিটেডে আগুনে তিন মহিলা শ্রমিক নিহত হন। ২০০৫ সালের ৭ই জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্ট কারখানায় আগুনে ২২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে নরসিংদীর শিবপুরে গার্মেন্ট কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৪৮ শ্রমিক নিহত হন। ওই বছরের ৩রা মে মিসকো সুপার মার্কেট কমপ্লেক্সের এক গার্মেন্টে আগুন লাগলে ৯ শ্রমিক মারা যান। ২০০১ সালের ৮ই আগস্ট ঢাকার মিরপুরের মিকো সোয়েটার লিমিটেডে আগুন ধরার গুজবে ভিড়ে পায়ের নিচে চাপা পড়ে নিহত হন ২৪ গার্মেন্ট শ্রমিক। এর সপ্তাহখানেক আগে মিরপুরের কাফরুলে অগ্নিকাণ্ডে আরো ২৬ শ্রমিক মারা যান। ২০০০ সালের ২৫ নভেম্বর নরসিংদীর চৌধুরী নিটওয়্যার অ্যান্ড গার্মেন্ট লিমিটেডে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান ৫৩ শ্রমিক। এর আগে ১৯৯৯ সালের আগস্টে গ্লোব নিটিং কারখানায় আগুনে মারা যান ১২ শ্রমিক। ১৯৯০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর সারেকা গার্মেন্টে আগুনে পুড়ে মারা যান ৩০ জন। ।
No comments