গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিতঃ শেখ হাসিনা
আশুলিয়ায় তাজরীন গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি বলেন, প্রথমে পুলিশের ওপর আক্রমন। পরপরই গার্মেন্টসের ওপর।
এরপর কিসের ওপর আক্রমন আসবে সেটাই চিন্তার বিষয়। শুধু জড়িতদেরই নয়, এর নেপথ্যে কারা রয়েছে তাদেরও খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, আশুলিয়ায় গার্মেন্টসে ভয়াল অগ্নিকান্ডে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ‘নিছক দূর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত।
এমন দুর্ভাগ্যজনক ও মানুষের জীবন নিয়ে খেলা কবে শেষ হবে জানি না। তিনি বলেন, এ ধরণের ঘটনার পর পরই এক শ্রেণীর লোক ও শ্রমিক নেতা আছেন যারা উস্কানী ও ইন্ধন দিয়ে উদ্ধারকার্যে নিয়োজিতদের ওপর হামলা, ভাংচুর ও নাশকতামুলক কর্মকান্ড চালায়। যারা এসব করে তাদের একটি স্বার্থ থাকে। তাই গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানাই, এ ঘটনার পর যারা উস্কানী দেয়, নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায় তাদের সনাক্ত করে আইনের হাতে সোপর্দ করুন।
আশুলিয়ায় তাজরীন গার্মেন্টে ভয়াল অগ্নিকান্ডে এবং চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে গার্ডার ধসে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সরকারি দলের আরও কয়েকজন সদস্য অংশ নেন। আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। শোক প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সরকারি দলের তোফায়েল আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাহরিয়ার আলম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন অর্থনৈতিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, বাংলাদেশে যখন প্রচুর বিনিয়োগ আসছে, দেশকে বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থানে পরিণত করেছি। বিশ্বমন্দার মধ্যেও প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ যখন বিশ্বের মধ্যে পঞ্চমস্থান অর্জন করেছে- তখন এ ধরণের নৃশংস ও ভয়াল ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে ও কেন ঘটনা ঘটাচ্ছে তাতো পরিস্কার। পরবর্তীতে আর কোন জায়গায় এসব ঘটনা ঘটানো হবে সেটাই চিন্তার বিষয়। এ ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। গার্মেন্টস শিল্পে অগ্নিকান্ডের সঙ্গে জড়িত জাকির হোসেন ও সুমী খানের দুই শ্রমিকের স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুমী ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই গার্মেন্টস শিল্পে আগুন ধরিয়ে দেয় (অন্য একটি গার্মেন্ট)। তার আগুণ লাগানোর ঘটনা অপর এক শ্রমিক দেখে ফেলে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সবকিছু দেখা গেছে। আমি নিজে সিসিটিভিতে ধারণকৃত চিত্র দেখেছি। যারা আগুণ লাগিয়েছে তারা ধরা পড়েছে, যে টাকা দিয়েছে তাকেও গেপ্তার করা হয়েছে। এখন এর নেপথ্যে কারা রয়েছে তদন্তের মাধ্যমে তাদেরও খুঁজে বের করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুমী ও জাকির ধরা পড়ায় এটা পরিস্কার যে, এই ঘটনা নিছকই ‘দূর্ঘটনা’ নয়, এটি পরিকল্পিতভাবেই ঘটানো হয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যে কারখানা আপনাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে, আপনারা বেতন-ভাতা নিয়ে জীবন ধারণ করেন, সেই কারখানায় আত্মঘাতি ঘটনা ঘটিয়ে আপনাদের কী লাভ? যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা তো ধরা পড়েছে। কিন্তু এতো মানুষের জীবন গেলো এর জবাব কী দেবেন? নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর দেখেছি পাটের গুদামে আগুণ লাগানো হয়। কারণ তখন বাংলাদেশ এই পাট বিদেশে রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশীক মুদ্রা অর্জন করতো। এখন দেশের গার্মেন্টস শিল্প থেকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশীক মুদ্রা অর্জিত হয়। এখন এই গার্মেন্টস শিল্পে আগুণ লাগানোসহ নানা ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এ ধরণের আত্মঘাতি কর্মকান্ড চালায় তাদের ধরিয়ে দিন। গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন অর্থনৈতিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, বাংলাদেশে যখন প্রচুর বিনিয়োগ আসছে, দেশকে বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থানে পরিণত করেছি। বিশ্বমন্দার মধ্যেও প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ যখন বিশ্বের মধ্যে পঞ্চমস্থান অর্জন করেছে- তখন এ ধরণের নৃশংস ও ভয়াল ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে ও কেন ঘটনা ঘটাচ্ছে তাতো পরিস্কার। পরবর্তীতে আর কোন জায়গায় এসব ঘটনা ঘটানো হবে সেটাই চিন্তার বিষয়। এ ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। গার্মেন্টস শিল্পে অগ্নিকান্ডের সঙ্গে জড়িত জাকির হোসেন ও সুমী খানের দুই শ্রমিকের স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুমী ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই গার্মেন্টস শিল্পে আগুন ধরিয়ে দেয় (অন্য একটি গার্মেন্ট)। তার আগুণ লাগানোর ঘটনা অপর এক শ্রমিক দেখে ফেলে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সবকিছু দেখা গেছে। আমি নিজে সিসিটিভিতে ধারণকৃত চিত্র দেখেছি। যারা আগুণ লাগিয়েছে তারা ধরা পড়েছে, যে টাকা দিয়েছে তাকেও গেপ্তার করা হয়েছে। এখন এর নেপথ্যে কারা রয়েছে তদন্তের মাধ্যমে তাদেরও খুঁজে বের করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুমী ও জাকির ধরা পড়ায় এটা পরিস্কার যে, এই ঘটনা নিছকই ‘দূর্ঘটনা’ নয়, এটি পরিকল্পিতভাবেই ঘটানো হয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যে কারখানা আপনাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে, আপনারা বেতন-ভাতা নিয়ে জীবন ধারণ করেন, সেই কারখানায় আত্মঘাতি ঘটনা ঘটিয়ে আপনাদের কী লাভ? যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা তো ধরা পড়েছে। কিন্তু এতো মানুষের জীবন গেলো এর জবাব কী দেবেন? নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর দেখেছি পাটের গুদামে আগুণ লাগানো হয়। কারণ তখন বাংলাদেশ এই পাট বিদেশে রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশীক মুদ্রা অর্জন করতো। এখন দেশের গার্মেন্টস শিল্প থেকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশীক মুদ্রা অর্জিত হয়। এখন এই গার্মেন্টস শিল্পে আগুণ লাগানোসহ নানা ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এ ধরণের আত্মঘাতি কর্মকান্ড চালায় তাদের ধরিয়ে দিন। গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments