সাতবার বিদ্যুৎ চলে যায়
সংবাদ সম্মেলন করার সময় অন্তত সাতবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বিভ্রান্ত হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানের কার্যালয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রতিক্রিয়া ও দলের অবস্থান জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।খালেদা জিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন। প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য দেওয়ার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। কিছুক্ষণ পর জেনারেটর চালু করা হয়। আবার পরক্ষণেই বিদ্যুৎ চলে আসে; কিন্তু দুই মিনিট পরই আবার চলে যায় বিদ্যুৎ। এভাবে অন্তত সাতবার বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এ অবস্থায় সংবাদ সম্মেলনের ব্যাঘাত ঘটে। একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই হলো সরকারের অবস্থা। এ সময় আবারও বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন খালেদা জিয়া আবার বলেন, দেখলেন, সরকারের চেহারা!
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গণবিরোধী_মির্জা ফখরুল : বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সরকারের 'স্বেচ্ছাচারিতার' বহিঃপ্রকাশ আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসিচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনস্বার্থকে তাচ্ছিল্য করে সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে চলেছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থকে তারা গ্রাহ্য করছে না। ষষ্ঠ দফা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত গণবিরোধী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে প্রায় ১৫ শতাংশ এবং পাইকারিতে ১৭ শতাংশ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। বর্ধিত এ মূল্যহার ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে বলে জানান তিনি। মির্জা ফখরুল আরো অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাদের সেই প্রতিশ্রুতি ছিল জনগণকে 'ভাঁওতা' দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। দেশবাসীকে চরম দুর্ভোগে নিপতিত করে 'লুটপাটই' ছিল তাদের অন্তর্নিহিত আকাঙ্ক্ষা। আর সেই লক্ষ্যেই সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
No comments