রয়টার্সের বিশ্লেষণ- রাইসের মন্ত্রিত্বের পথে কাঁটা বেনগাজি
হিলারি ক্লিনটনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভাবা হচ্ছে সুসান রাইসকে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হওয়ার পর থেকেই সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রাইসের নাম বারবার উঠছে।
তবে গত সেপ্টেম্বরে লিবিয়া বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় দেওয়া বিতর্কিত বক্তব্য এবং আরও কিছু বিষয় তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পথ কঠিন করে দিচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রাইসের সবচেয়ে কঠিন বাধা হলো বেনগাজিতে হামলা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য। হামলার পর পর রাইস বলেছিলেন, এটা পরিকল্পিত কোনো হামলা নয়। ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা আকস্মিকভাবে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন ইভান্সসহ চার মার্কিন নিহত হন।
কিন্তু পরে মার্কিন প্রশাসন বলে, এটি ছিল পরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধ হামলা। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন ও লিন্ডসে গ্রাহাম অভিযোগ করেন, রাইস বেনগাজির হামলা সম্পর্কে জনগণকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এমন একজনকে ওবামা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলে তাঁর বিরোধিতা করবেন।
বর্তমানে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী রাইস গত বুধবার তাঁর প্রাথমিক অবস্থানের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতেই প্রথমে ওই কথা বলেছি। কিন্তু তদন্তের পর মূল বিষয়টি উদ্ঘাটন করতে পেরেছি।’ কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যে দৃশ্যত আস্থা পাচ্ছেন না সমালোচকেরা।
তবে রাইসের সমর্থকদের মতে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার মতো সব ধরনের যোগ্যতাই আছে তাঁর। এর পক্ষে কিছু যুক্তিও রয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাইস। কোরিয়ার ওপর নিরাপত্তা পরিষদের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সাফল্য রাইসকেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া লিবিয়ায় কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনায় মূল ভূমিকায় ছিলেন রাইস।
ওবামা এসব সফলতা বিবেচনা করে রাইসকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবেন, নাকি তাঁকে সরিয়ে রাখবেন—সেটাই এখন দেখার বিষয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রাইসের সবচেয়ে কঠিন বাধা হলো বেনগাজিতে হামলা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য। হামলার পর পর রাইস বলেছিলেন, এটা পরিকল্পিত কোনো হামলা নয়। ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা আকস্মিকভাবে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন ইভান্সসহ চার মার্কিন নিহত হন।
কিন্তু পরে মার্কিন প্রশাসন বলে, এটি ছিল পরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধ হামলা। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন ও লিন্ডসে গ্রাহাম অভিযোগ করেন, রাইস বেনগাজির হামলা সম্পর্কে জনগণকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এমন একজনকে ওবামা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলে তাঁর বিরোধিতা করবেন।
বর্তমানে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী রাইস গত বুধবার তাঁর প্রাথমিক অবস্থানের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতেই প্রথমে ওই কথা বলেছি। কিন্তু তদন্তের পর মূল বিষয়টি উদ্ঘাটন করতে পেরেছি।’ কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যে দৃশ্যত আস্থা পাচ্ছেন না সমালোচকেরা।
তবে রাইসের সমর্থকদের মতে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার মতো সব ধরনের যোগ্যতাই আছে তাঁর। এর পক্ষে কিছু যুক্তিও রয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাইস। কোরিয়ার ওপর নিরাপত্তা পরিষদের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সাফল্য রাইসকেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া লিবিয়ায় কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনায় মূল ভূমিকায় ছিলেন রাইস।
ওবামা এসব সফলতা বিবেচনা করে রাইসকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবেন, নাকি তাঁকে সরিয়ে রাখবেন—সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments