বিলাওয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক-হিনার ফোন কলের বিবরণ চেয়েছেন স্বামী
পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন নতুন এক কেলেঙ্কারির গুজবে সরগরম। এ গুজবের কেন্দ্রে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। বলা হচ্ছে, দুই সন্তানের এই জননী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর সঙ্গে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গত মঙ্গলবার হিনার স্বামী শিল্পপতি ফিরোজ গুলজার স্ত্রীর ফোন কলের বিবরণ চেয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে হিনাকে এই প্রেমের কারণে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তাকে। ইতিমধ্যেই তাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হিনা ও বেনজির-তনয় বিলাওয়ালের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া চলছে অনেক দিন থেকেই। এ পর্বের সূচনা হিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণেরও আগে। সুইজারল্যান্ডে তাঁদের ঘর বাঁধার পরিকল্পনা রয়েছে। স্বামী ফিরোজের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছেন হিনা। বিলাওয়ালকে বিয়ে করে দুই মেয়ে অনন্যা ও দিনাকে নিয়ে দেশের বাইরে নতুন সংসার করার কথা ভাবছেন তিনি। বিলাওয়ালও হিনার জন্য পিপিপির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন বাবা জারদারিকে। সেক্ষেত্রে বিলাওয়ালের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটে যাবে এই পরিণয়ের মধ্য দিয়েই। হিনা-বিলাওয়ালের সম্পর্কের বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে প্রেসিডেন্ট জারদারির। তিনি প্রেসিডেন্ট ভবনে হিনা ও বিলাওয়ালকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য দুজনের মোবাইল ফোনের কললিস্টও চেক করেন তিনি। জারদারি এ সম্পর্কটিকে মোটেই ভালোভাবে নেননি। শুরুতে তিনি বিলাওয়ালকে ডেকে সতর্ক করার চেষ্টা করেন। তবে ছেলে বাবাকে স্পষ্টই জানিয়ে দেন, হিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এরপর হিনাকে ডেকে পাঠিয়ে 'নাদান' বিলাওয়ালের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার জন্য ভর্ৎসনা করেন জারদারি। তবে হিনাও কম যান না। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক না গলানোর জন্য প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে দেন। একইসঙ্গে এও জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে বেশি কথা হলে পদত্যাগ করবেন তিনি। এরপর জারদারি তাঁর ক্ষমতা ব্যবহার করে হিনার স্বামীর ব্যবসায় সংকট তৈরি করতে চাইলেও তাতে সফল হননি।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ছিল বিলাওয়ালের ২৪তম জন্মদিন। সেদিন হিনা একটি বার্তাসহ কার্ড পাঠান বিলাওয়ালকে। কার্ডে হিনা নিজ হাতে লেখেন, 'আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং শিগগিরই আমরা এক হতে যাচ্ছি।' গত ঈদে পাঠানো আরেক বার্তায়ও একই ধরনের আশার কথা শুনিয়েছিলেন হিনা। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, জিনিউজ, ফার্স্টপোস্ট ডটকম।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে হিনাকে এই প্রেমের কারণে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তাকে। ইতিমধ্যেই তাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হিনা ও বেনজির-তনয় বিলাওয়ালের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া চলছে অনেক দিন থেকেই। এ পর্বের সূচনা হিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণেরও আগে। সুইজারল্যান্ডে তাঁদের ঘর বাঁধার পরিকল্পনা রয়েছে। স্বামী ফিরোজের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছেন হিনা। বিলাওয়ালকে বিয়ে করে দুই মেয়ে অনন্যা ও দিনাকে নিয়ে দেশের বাইরে নতুন সংসার করার কথা ভাবছেন তিনি। বিলাওয়ালও হিনার জন্য পিপিপির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন বাবা জারদারিকে। সেক্ষেত্রে বিলাওয়ালের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটে যাবে এই পরিণয়ের মধ্য দিয়েই। হিনা-বিলাওয়ালের সম্পর্কের বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে প্রেসিডেন্ট জারদারির। তিনি প্রেসিডেন্ট ভবনে হিনা ও বিলাওয়ালকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য দুজনের মোবাইল ফোনের কললিস্টও চেক করেন তিনি। জারদারি এ সম্পর্কটিকে মোটেই ভালোভাবে নেননি। শুরুতে তিনি বিলাওয়ালকে ডেকে সতর্ক করার চেষ্টা করেন। তবে ছেলে বাবাকে স্পষ্টই জানিয়ে দেন, হিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এরপর হিনাকে ডেকে পাঠিয়ে 'নাদান' বিলাওয়ালের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার জন্য ভর্ৎসনা করেন জারদারি। তবে হিনাও কম যান না। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক না গলানোর জন্য প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে দেন। একইসঙ্গে এও জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে বেশি কথা হলে পদত্যাগ করবেন তিনি। এরপর জারদারি তাঁর ক্ষমতা ব্যবহার করে হিনার স্বামীর ব্যবসায় সংকট তৈরি করতে চাইলেও তাতে সফল হননি।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ছিল বিলাওয়ালের ২৪তম জন্মদিন। সেদিন হিনা একটি বার্তাসহ কার্ড পাঠান বিলাওয়ালকে। কার্ডে হিনা নিজ হাতে লেখেন, 'আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং শিগগিরই আমরা এক হতে যাচ্ছি।' গত ঈদে পাঠানো আরেক বার্তায়ও একই ধরনের আশার কথা শুনিয়েছিলেন হিনা। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, জিনিউজ, ফার্স্টপোস্ট ডটকম।
No comments