ব্রাদারহুডের সঙ্গে উদার দলগুলোর বিরোধেই বেকায়দায় মুরসি
মধ্যপ্রাচ্যে আরব বসন্ত-পরবর্তী মিসরে নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাতের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। রাজধানী কায়রোর বিখ্যাত তাহরির স্কয়ার এবারও বিক্ষোভের কেন্দ্র।
ক্ষমতা কুক্ষিগত করে গত বৃহস্পতিবার মুরসির ডিক্রি জারিতে বিক্ষোভ জোরালো হলেও ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল আরও আগে থেকেই।
সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে গণবিক্ষোভের মধ্য দিয়ে উৎখাতের পর থেকে মিসরে কার্যত কোনো সংবিধান নেই। নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। এ কাজে দলীয়করণ হচ্ছে বলে প্রেসিডেন্ট মুরসি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ব্যবধান কমাতে প্রেসিডেন্ট মুরসি খসড়া সংবিধান নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েকটি দলের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন।
মুরসি গত জুনে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উদারপন্থী দলগুলোর সঙ্গে কট্টর ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুডের দূরত্ব বাড়ছে। আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু অধিকার এবং বিপ্লবের সময় হতাহত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার পাওয়ার অধিকার প্রভৃতি বিষয়ে সরকার গৃহীত নীতিমালায় দুর্বলতা রয়েছে বলে বিরোধী দলগুলো মনে করছে। এ ছাড়া সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত গণপরিষদ এবং সরকারি বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রভাব বিস্তার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে জনগণের মতৈক্যের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংবিধান প্রণয়ন সম্ভব হবে কি না, সে ব্যাপারে সংশয় দেখা দিয়েছে।
মিসরে রাজনৈতিক অস্থিরতা দুই সপ্তাহ আগে প্রকট হয়। মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থক ও সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তাহরির স্কয়ারে সংঘর্ষ হয়েছে। উদারপন্থী বিরোধীদের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। জাতিসংঘের পারমাণবিক সংস্থার সাবেক প্রধান মোহাম্মদ এলবারাদির নেতৃত্বাধীন কনস্টিটিউশন পার্টি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হামদিন সাবাহির নেতৃত্বাধীন পপুলার কারেন্ট এসব দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। উভয় দলই নতুন সংবিধান নিয়ে আলোচনার জন্য গত বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল।
প্রেসিডেন্ট মুরসির সাবেক সহযোগীদের অনেকেই এখন বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। ন্যাশনাল ফ্রন্ট দলের সদস্য ও কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞানের অধ্যাপক হাসান নাফিয়াহ তাঁদেরই একজন। তিনি বলেন, গণপরিষদে উদারপন্থীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ থাকার কথা ছিল। মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এতে সামরিক অভ্যুত্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তাই এখন জাতীয় মতৈক্যের সরকার প্রয়োজন। তবে এতে অনেক জটিলতা রয়েছে। আল-জাজিরা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে গণবিক্ষোভের মধ্য দিয়ে উৎখাতের পর থেকে মিসরে কার্যত কোনো সংবিধান নেই। নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। এ কাজে দলীয়করণ হচ্ছে বলে প্রেসিডেন্ট মুরসি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ব্যবধান কমাতে প্রেসিডেন্ট মুরসি খসড়া সংবিধান নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েকটি দলের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন।
মুরসি গত জুনে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উদারপন্থী দলগুলোর সঙ্গে কট্টর ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুডের দূরত্ব বাড়ছে। আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু অধিকার এবং বিপ্লবের সময় হতাহত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার পাওয়ার অধিকার প্রভৃতি বিষয়ে সরকার গৃহীত নীতিমালায় দুর্বলতা রয়েছে বলে বিরোধী দলগুলো মনে করছে। এ ছাড়া সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত গণপরিষদ এবং সরকারি বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রভাব বিস্তার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে জনগণের মতৈক্যের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংবিধান প্রণয়ন সম্ভব হবে কি না, সে ব্যাপারে সংশয় দেখা দিয়েছে।
মিসরে রাজনৈতিক অস্থিরতা দুই সপ্তাহ আগে প্রকট হয়। মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থক ও সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তাহরির স্কয়ারে সংঘর্ষ হয়েছে। উদারপন্থী বিরোধীদের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। জাতিসংঘের পারমাণবিক সংস্থার সাবেক প্রধান মোহাম্মদ এলবারাদির নেতৃত্বাধীন কনস্টিটিউশন পার্টি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হামদিন সাবাহির নেতৃত্বাধীন পপুলার কারেন্ট এসব দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। উভয় দলই নতুন সংবিধান নিয়ে আলোচনার জন্য গত বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল।
প্রেসিডেন্ট মুরসির সাবেক সহযোগীদের অনেকেই এখন বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। ন্যাশনাল ফ্রন্ট দলের সদস্য ও কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞানের অধ্যাপক হাসান নাফিয়াহ তাঁদেরই একজন। তিনি বলেন, গণপরিষদে উদারপন্থীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ থাকার কথা ছিল। মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এতে সামরিক অভ্যুত্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তাই এখন জাতীয় মতৈক্যের সরকার প্রয়োজন। তবে এতে অনেক জটিলতা রয়েছে। আল-জাজিরা।
No comments