নোবেলজয়ী ইইউর কথা
ইউরোপ মহাদেশের ২৭টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ১৯৯১ সালে ম্যাসট্রিখ্ট চুক্তির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এটি প্রতিষ্ঠার পেছনে ইউরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত কোম্পানি (ইসিএসসি) এবং ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিউনিটির (ইইসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
ইসিএসসি ১৯৫১ সালে এবং ইইসি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ইউরোপীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সংগঠন বলে খ্যাত ইইউ এর সদস্যদেশগুলোর বাণিজ্য, পরিবেশ, পরিবহন ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে থাকে। ২০০৪ সালে ইইউর অন্তর্ভুক্ত হয় চেক প্রজাতন্ত্র, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মালটা, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়া। ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিভাজন দূর করতে ওই সাবেক কমিউনিস্ট ১০ রাষ্ট্রকে সদস্যপদ দেয় ইইউ। রুমানিয়া ও বুলগেরিয়া ২০০৭ সালে সংগঠনটির সদস্য হয়। ইইউর সংবিধানে সর্বশেষ সংশোধনী আনা হয় ২০০৯ সালে লিসবন চুক্তির মাধ্যমে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক মৈত্রী স্থাপন এবং ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ইউরোপীয় নেতারা একটি আঞ্চলিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। আন্তমহাদেশীয় অর্থনৈতিক মৈত্রী গঠনে ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ মোনো এবং রবার্ত শুম্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রাথমিকভাবে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গ সংগঠিত হয়ে ইসিএসসি প্রতিষ্ঠা করে। ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য ১৯৭৩ সালে ইসির পূর্ণ সদস্য হয়। গ্রিস ১৯৮১ সালে, পর্তুগাল ও স্পেন ১৯৮৬ সালে এবং অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ১৯৯৫ সালে এই আঞ্চলিক সংগঠনে যোগ দেয়। ইইউতে অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়া। এ ছাড়া সদস্যপদের জন্য তুরস্কের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।
ইইউর রয়েছে স্বতন্ত্র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তানীতি। রাজনৈতিক আশ্রয়, অভিবাসন, মাদক ও সন্ত্রাসবাদ নিয়েও সংগঠনটির নিজস্ব অবস্থান রয়েছে। ইউরোপীয় একক মুদ্রা ইউরো চালু হয় ১৯৯৯ সালে। প্রাথমিকভাবে এতে ইইউর ১১টি সদস্যরাষ্ট্র যোগ দেয়। বর্তমানে ২৭টি দেশ ইউরো ব্যবহার করলেও ডেনমার্ক, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য ওই মুদ্রা গ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার জেরে ২০০৯ সালে বড় ধরনের সংকটে পড়ে যায় ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী অঞ্চলের (ইউরো জোন) কয়েকটি দেশ। এসব দেশের মধ্যে গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল ও স্পেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিবিসি।
ইউরোপীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সংগঠন বলে খ্যাত ইইউ এর সদস্যদেশগুলোর বাণিজ্য, পরিবেশ, পরিবহন ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে থাকে। ২০০৪ সালে ইইউর অন্তর্ভুক্ত হয় চেক প্রজাতন্ত্র, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মালটা, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়া। ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিভাজন দূর করতে ওই সাবেক কমিউনিস্ট ১০ রাষ্ট্রকে সদস্যপদ দেয় ইইউ। রুমানিয়া ও বুলগেরিয়া ২০০৭ সালে সংগঠনটির সদস্য হয়। ইইউর সংবিধানে সর্বশেষ সংশোধনী আনা হয় ২০০৯ সালে লিসবন চুক্তির মাধ্যমে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক মৈত্রী স্থাপন এবং ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ইউরোপীয় নেতারা একটি আঞ্চলিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। আন্তমহাদেশীয় অর্থনৈতিক মৈত্রী গঠনে ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ মোনো এবং রবার্ত শুম্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রাথমিকভাবে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গ সংগঠিত হয়ে ইসিএসসি প্রতিষ্ঠা করে। ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য ১৯৭৩ সালে ইসির পূর্ণ সদস্য হয়। গ্রিস ১৯৮১ সালে, পর্তুগাল ও স্পেন ১৯৮৬ সালে এবং অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ১৯৯৫ সালে এই আঞ্চলিক সংগঠনে যোগ দেয়। ইইউতে অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়া। এ ছাড়া সদস্যপদের জন্য তুরস্কের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।
ইইউর রয়েছে স্বতন্ত্র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তানীতি। রাজনৈতিক আশ্রয়, অভিবাসন, মাদক ও সন্ত্রাসবাদ নিয়েও সংগঠনটির নিজস্ব অবস্থান রয়েছে। ইউরোপীয় একক মুদ্রা ইউরো চালু হয় ১৯৯৯ সালে। প্রাথমিকভাবে এতে ইইউর ১১টি সদস্যরাষ্ট্র যোগ দেয়। বর্তমানে ২৭টি দেশ ইউরো ব্যবহার করলেও ডেনমার্ক, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য ওই মুদ্রা গ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার জেরে ২০০৯ সালে বড় ধরনের সংকটে পড়ে যায় ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী অঞ্চলের (ইউরো জোন) কয়েকটি দেশ। এসব দেশের মধ্যে গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল ও স্পেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিবিসি।
No comments