প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা
গাজীপুরের বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ড্রাইভিং শিক্ষার একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। সেখানে নারী-পুরুষ সবার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের চমৎকার ব্যবস্থা রয়েছে। ট্রেনিং ম্যানেজার ফাতেমা বেগমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে মহিলা প্রশিক্ষণার্থীদের ১০% কম ফি নিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা আছে।
বিভিন্ন ড্রাইভিং কোর্সের নাম : বেসিক ড্রাইভিং (ভারী) (বাস ও ট্রাক )। ট্রেনিংয়ের মেয়াদ ৮ সপ্তাহ, শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী। কোর্স ফি ৭০০০ টাকা। বেসিক ড্রাইভিং (প্রাইভেটকার) । কোর্সের মেয়াদ ৪ সপ্তাহ, শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী, কোর্স ফি ৬০০০ টাকা।
তিনি জানান, ছেলেদের তুলনায় এ ড্রাইভিং ইনস্টিটিউটে মেয়েরা খুবই কম আসছে। এটি খুবই দুঃখজনক, আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণ থাকলেও ড্রাইভিং পেশায় তাদের অংশগ্রহণ খুবই কম। কিছু কিছু মেয়ে ড্রাইভিংয়ে ট্রেনিং নিলেও এ কাজটি করছে না। পারিবারিক, সামাজিক এবং নিরাপত্তাজনিত কারণেই এমনটি হচ্ছে। গণস্বাস্থ্যের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের পরিচালক আকলিমা খাতুনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, কক্সবাজার জেলার বেচুয়া পালং নামক স্থানে তাদের ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার আছে। সারাদেশের যে কোনো দুস্থ পরিবারের ১৮-৩০ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণী পাস মেয়েদের বিনা খরচে ড্রাইভিং শেখানো হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা ও ড্রেস দেওয়া হয়। ১ বছর মেয়াদি এ ট্রেনিং করানো হয়।
ঢাকা শাখার গণস্বাস্থ্যসেবার অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক সুজন চৌধুরী জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে ৯০% মেয়ে ড্রাইভার। মেয়ে ড্রাইভার খুব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
গণস্বাস্থ্যের সিনিয়র ড্রাইভার আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ১৪ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে গাড়ি চালাচ্ছি। আজ পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ডাক্তারদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের বিশাল গাড়িটি চালান তিনি। দেশের আনাচে-কানাচে যাচ্ছেন গাড়ি নিয়ে; কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
পেশা জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা জানান তিনি। পেশার দায়িত্বে তিনি যখন পার্বত্য চট্টগ্রামে ছিলেন তখন সে এলাকার চেয়ারম্যান তার ড্রাইভিং দক্ষতায় এতটাই মুগ্ধ হন যে, ৯ জন পাহাড়ি মেয়েকে ড্রাইভিং শেখানোর দায়িত্ব দেন তার কাছে ।
ব্র্যাকের একেএম খাইরুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে সারাদেশে শুধু ব্র্যাকের আওতাধীন দুস্থ পরিবারের মেয়েদের ড্রাইভিংয়ের ট্রেনিং দিচ্ছে ব্র্যাক। এই ট্রেনিং সারাদেশে থানা পর্যায়ে করা হয়। ব্র্যাকের আওতাধীন এ দুস্থ পরিবারের মেয়েদের নেওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। তাদের কোনো টাকা লাগে না। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ড্রাইভিং পেশায় মেয়েদের সংখ্যা হাতেগোনা। অথচ মেয়ে ড্রাইভারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, এর কারণে মেয়েরা খুব সাবধানে গাড়ি চালায়। গ্যাস, তেল কিংবা গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি করে না। তাছাড়া মেয়ে ড্রাইভারের কাছে মেয়ে বাচ্চা দিয়ে মায়েরা নিরাপদ বোধ করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মেয়ে ড্রাইভারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ব্র্যাক দেশের সর্বস্তরের মেয়েদের ড্রাইভিং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা চালু করেছে। যে কেউ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।
তিনি জানান, ছেলেদের তুলনায় এ ড্রাইভিং ইনস্টিটিউটে মেয়েরা খুবই কম আসছে। এটি খুবই দুঃখজনক, আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণ থাকলেও ড্রাইভিং পেশায় তাদের অংশগ্রহণ খুবই কম। কিছু কিছু মেয়ে ড্রাইভিংয়ে ট্রেনিং নিলেও এ কাজটি করছে না। পারিবারিক, সামাজিক এবং নিরাপত্তাজনিত কারণেই এমনটি হচ্ছে। গণস্বাস্থ্যের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের পরিচালক আকলিমা খাতুনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, কক্সবাজার জেলার বেচুয়া পালং নামক স্থানে তাদের ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার আছে। সারাদেশের যে কোনো দুস্থ পরিবারের ১৮-৩০ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণী পাস মেয়েদের বিনা খরচে ড্রাইভিং শেখানো হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা ও ড্রেস দেওয়া হয়। ১ বছর মেয়াদি এ ট্রেনিং করানো হয়।
ঢাকা শাখার গণস্বাস্থ্যসেবার অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক সুজন চৌধুরী জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে ৯০% মেয়ে ড্রাইভার। মেয়ে ড্রাইভার খুব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
গণস্বাস্থ্যের সিনিয়র ড্রাইভার আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ১৪ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে গাড়ি চালাচ্ছি। আজ পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ডাক্তারদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের বিশাল গাড়িটি চালান তিনি। দেশের আনাচে-কানাচে যাচ্ছেন গাড়ি নিয়ে; কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
পেশা জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা জানান তিনি। পেশার দায়িত্বে তিনি যখন পার্বত্য চট্টগ্রামে ছিলেন তখন সে এলাকার চেয়ারম্যান তার ড্রাইভিং দক্ষতায় এতটাই মুগ্ধ হন যে, ৯ জন পাহাড়ি মেয়েকে ড্রাইভিং শেখানোর দায়িত্ব দেন তার কাছে ।
ব্র্যাকের একেএম খাইরুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে সারাদেশে শুধু ব্র্যাকের আওতাধীন দুস্থ পরিবারের মেয়েদের ড্রাইভিংয়ের ট্রেনিং দিচ্ছে ব্র্যাক। এই ট্রেনিং সারাদেশে থানা পর্যায়ে করা হয়। ব্র্যাকের আওতাধীন এ দুস্থ পরিবারের মেয়েদের নেওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। তাদের কোনো টাকা লাগে না। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ড্রাইভিং পেশায় মেয়েদের সংখ্যা হাতেগোনা। অথচ মেয়ে ড্রাইভারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, এর কারণে মেয়েরা খুব সাবধানে গাড়ি চালায়। গ্যাস, তেল কিংবা গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি করে না। তাছাড়া মেয়ে ড্রাইভারের কাছে মেয়ে বাচ্চা দিয়ে মায়েরা নিরাপদ বোধ করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মেয়ে ড্রাইভারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ব্র্যাক দেশের সর্বস্তরের মেয়েদের ড্রাইভিং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা চালু করেছে। যে কেউ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।
No comments