সাত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ আইনগত ব্যবস্থা নেবে
ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আলাদাভাবে সরকারসংশ্লিষ্ট সাতটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অনুরোধ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গ্রুপটির বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সমবায় আইন লঙ্ঘনের দায়ে সমবায় অধিদপ্তর, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, কম্পানি আইন লঙ্ঘনের দায়ে যৌথ মূলধনী কম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজেএসসি) এবং আয়কর ফাঁকির বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আইনগত ব্যবস্থা নেবে। ডেসটিনি গ্রুপের অবৈধ কার্যক্রম ও আর্থিক লেনদেনে সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও অনুরোধ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে অনুরোধ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দুদক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও আরজেএসসি নিজ নিজ অবস্থান থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।'
সচিব বলেন, ডেসটিনি গ্রুপের ২২ মালিক কমিশন হিসেবে যে অর্থ নিয়েছেন, তার আয়কর পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু গ্রুপটির লাখ লাখ পরিবেশককে যে অর্থ কমিশন হিসেবে দেওয়া হয়েছে, তার আয়কর দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ডেসটিনি গ্রুপ আয়কর ফাঁকি দিয়ে থাকলে সে অর্থ আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ব্যবস্থা নেবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, কম্পানি আইনে নিবন্ধিত ডেসটিনি গ্রুপের ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টির অস্তিত্ব রয়েছে। সমবায় আইন ভঙ্গ করে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ২৬টি প্রতিষ্ঠানে অর্থ দিয়েছে। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া ব্যাংক কম্পানি আইন লঙ্ঘন করে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ১৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায় করেছে। অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রমের দায়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে অনুরোধ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের নিবন্ধন নেওয়ার সময় নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য বিপণনের শর্ত ছিল। সে শর্ত ভেঙে অলীক ও ভুয়া পণ্য বিক্রির নামে পরিবেশক নামধারী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে কমিশনের নামে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন কম্পানির মালিকরা। আর ট্রি প্লান্টেশন প্রকল্পে একটি গাছ ১০০ জনেরও বেশি মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করেই গ্রাহকদের কাছ থেকে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশনের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব অর্থের কোনো হদিস মিলছে না। প্রকৃত বাজারমূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে সম্পত্তি কিনে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
মো. গোলাম হোসেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ডেসটিনি গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কথা বললেও এ কাজে দুই সপ্তাহ লেগে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, প্রশাসক নিয়োগ দিতে হলে কম্পানি আইনের ১৯৫ ধারা সংশোধন করতে হবে। আগামী রবিবার আইন মন্ত্রণালয়ে কম্পানি আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো হবে। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ও সংশ্লিষ্ট যুগ্ম সচিব হজ করতে সৌদি আরবে গেছেন। সচিব দেশে ফেরার আগে আইন সংশোধনের বিষয়টির সুরাহা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ডেসটিনি গ্রুপের আর্থিক অনিয়মের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা। দুদক তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ডেসটিনির পরিচালকদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে। এসব মামলায় বৃহস্পতিবার ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর রশিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল আমীন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দুদক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও আরজেএসসি নিজ নিজ অবস্থান থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।'
সচিব বলেন, ডেসটিনি গ্রুপের ২২ মালিক কমিশন হিসেবে যে অর্থ নিয়েছেন, তার আয়কর পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু গ্রুপটির লাখ লাখ পরিবেশককে যে অর্থ কমিশন হিসেবে দেওয়া হয়েছে, তার আয়কর দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ডেসটিনি গ্রুপ আয়কর ফাঁকি দিয়ে থাকলে সে অর্থ আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ব্যবস্থা নেবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, কম্পানি আইনে নিবন্ধিত ডেসটিনি গ্রুপের ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টির অস্তিত্ব রয়েছে। সমবায় আইন ভঙ্গ করে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ২৬টি প্রতিষ্ঠানে অর্থ দিয়েছে। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া ব্যাংক কম্পানি আইন লঙ্ঘন করে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ১৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায় করেছে। অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রমের দায়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে অনুরোধ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের নিবন্ধন নেওয়ার সময় নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য বিপণনের শর্ত ছিল। সে শর্ত ভেঙে অলীক ও ভুয়া পণ্য বিক্রির নামে পরিবেশক নামধারী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে কমিশনের নামে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন কম্পানির মালিকরা। আর ট্রি প্লান্টেশন প্রকল্পে একটি গাছ ১০০ জনেরও বেশি মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করেই গ্রাহকদের কাছ থেকে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশনের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব অর্থের কোনো হদিস মিলছে না। প্রকৃত বাজারমূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে সম্পত্তি কিনে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
মো. গোলাম হোসেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ডেসটিনি গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কথা বললেও এ কাজে দুই সপ্তাহ লেগে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, প্রশাসক নিয়োগ দিতে হলে কম্পানি আইনের ১৯৫ ধারা সংশোধন করতে হবে। আগামী রবিবার আইন মন্ত্রণালয়ে কম্পানি আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো হবে। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ও সংশ্লিষ্ট যুগ্ম সচিব হজ করতে সৌদি আরবে গেছেন। সচিব দেশে ফেরার আগে আইন সংশোধনের বিষয়টির সুরাহা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ডেসটিনি গ্রুপের আর্থিক অনিয়মের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা। দুদক তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ডেসটিনির পরিচালকদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে। এসব মামলায় বৃহস্পতিবার ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর রশিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল আমীন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।
No comments