স্টিয়ারিং হাতে নারী
ফাহ্মিদা হক (৩০)। চাকরি করেন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামের প্রাইভেট ফার্মে। থাকেন মতিঝিল বাবা-মায়ের সঙ্গে। অফিস সকাল ৯-৫টা। এক সময় প্রতিদিন বাসে যাওয়া-আসা করতেন। কিন্তু বাসে আসা-যাওয়া ঢাকা শহরে মেয়েদের জন্য খুবই কঠিন। তারপরও দীর্ঘদিন বাসে চলাফেরা করেছেন।
বাসে চলাফেরায় নানা সমস্যার জন্য এক সময় ফাহ্মিদা সিদ্ধান্ত নেন একটি মোটর সাইকেল কিনবেন। নিজে মোটরসাইকেলে চলাফেরা করবেন। পরিবারকে কথাটি জানালে বাবা-মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। কারণ ব্যস্ত ঢাকা শহরে মোটরসাইকেলকে অনেকেই মৃত্যুযান মনে করেন। ফাহমিদা দমবার পাত্রী নন। বাবা-মাকে রাজি করিয়ে ২০১০ সালে মোটরসাইকেল কেনেন। তারপর থেকে তিনি মোটরসাইকেলে করে অফিস ও তার কাজের সব জায়গায় চলাচল করেন। ফাহমিদা বলেন, মোটরসাইকেলে চলাফেরা করে আমার জীবনের মোড় ঘুরে গেছে। দুই বছর ধরে তার অফিসসহ সব জীবনধারা উন্নতির দিকে যাচ্ছে শুধু পথচলার দীর্ঘসময় অপচয় থেকে বেঁচে যাওয়ার জন্য। সে সঙ্গে অর্থও বেঁচে যাচ্ছে। কারণ মোটরসাইকেলে খরচও কম। মোটরসাইকেল নষ্ট বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে কম সময়ে ঠিক করে নেওয়া যায়। তবে সুবিধার সঙ্গে অসুবিধা আছে। মৃত্যুযান হিসেবে পরিচিত মোটরসাইকেলকে খুব সহজে বড় গাড়ি ধাক্কা দিয়ে যেতে পারে।
আর মেয়ে মোটরসাইকেল চালাচ্ছে দেখলে আরও বেশি ওভারটেক করতে চায় বাস, সিএনজিসহ অন্যান্য গাড়ি। মাঝে মাঝে পেছন থেকে হালকা ধাক্কা দিয়ে মেয়েদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে মজা করতে চায়। মেয়েদের সহজে সাইড দিতে চায় না। অনেক সময় পুরুষদের মোটরসাইকেলগুলোও ধাক্কা দিয়ে মজা করে। আবার ট্রাফিকরা কারণ ছাড়া মোটরসাইকেলের মেয়ে চালকদের হয়রানি করে। ঢাকা শহরের পথে মেয়েদের মোটরসাইকেল চালানো এখনও খুব একটা নিরাপদ নয়। তবে কর্মজীবী মেয়েদের জন্য মোটরসাইকেলে চলাফেরা করতে পারা সবদিক থেকে সুবিধা। প্রতিকূল পরিবেশের জন্যই মেয়েরা মোটরসাইকেলে চলাফেরা করছেন না ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও। আবার অনেকেই কিছুদিন মোটরসাইকেলে চলাফেরা করে বন্ধ করে দিচ্ছে শুধু চলার পথে নানা অসুবিধার কারণে।
শীলা ভৌমিক। চাকরি করেন প্রাইভেট ব্যাংকে। মোটরসাইকেলে চলাচল করেন প্রায় আড়াই বছর। তিনি রাস্তায় খুব সাবধানে মোটরসাইকেল চালান। কখনও ফুটপাত দিয়ে চালান না বা কাউকে ওভারটেক করেন না। তারপরও আসা-যাওয়ার পথে বিপদের শেষ নেই তার। এতদিনে ৩-৪ বার দুর্ঘটনায় পড়েছেন তিনি। সেটি পুরুষ পথচারীর হেঁয়ালিপনার জন্য। শীলা বলেন, মেয়েরা মোটরসাইকেলে চলাচল করলে অনেক সুবিধা। বললেন, নানা রকম হয়রানি আর বিড়ম্বনা পোহাতে তো হয়। তারপরও আমাকে দেখে আরেক নারী সাহসী হবে_ এভাবেই এগোতে হবে আমাদের। হ
আর মেয়ে মোটরসাইকেল চালাচ্ছে দেখলে আরও বেশি ওভারটেক করতে চায় বাস, সিএনজিসহ অন্যান্য গাড়ি। মাঝে মাঝে পেছন থেকে হালকা ধাক্কা দিয়ে মেয়েদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে মজা করতে চায়। মেয়েদের সহজে সাইড দিতে চায় না। অনেক সময় পুরুষদের মোটরসাইকেলগুলোও ধাক্কা দিয়ে মজা করে। আবার ট্রাফিকরা কারণ ছাড়া মোটরসাইকেলের মেয়ে চালকদের হয়রানি করে। ঢাকা শহরের পথে মেয়েদের মোটরসাইকেল চালানো এখনও খুব একটা নিরাপদ নয়। তবে কর্মজীবী মেয়েদের জন্য মোটরসাইকেলে চলাফেরা করতে পারা সবদিক থেকে সুবিধা। প্রতিকূল পরিবেশের জন্যই মেয়েরা মোটরসাইকেলে চলাফেরা করছেন না ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও। আবার অনেকেই কিছুদিন মোটরসাইকেলে চলাফেরা করে বন্ধ করে দিচ্ছে শুধু চলার পথে নানা অসুবিধার কারণে।
শীলা ভৌমিক। চাকরি করেন প্রাইভেট ব্যাংকে। মোটরসাইকেলে চলাচল করেন প্রায় আড়াই বছর। তিনি রাস্তায় খুব সাবধানে মোটরসাইকেল চালান। কখনও ফুটপাত দিয়ে চালান না বা কাউকে ওভারটেক করেন না। তারপরও আসা-যাওয়ার পথে বিপদের শেষ নেই তার। এতদিনে ৩-৪ বার দুর্ঘটনায় পড়েছেন তিনি। সেটি পুরুষ পথচারীর হেঁয়ালিপনার জন্য। শীলা বলেন, মেয়েরা মোটরসাইকেলে চলাচল করলে অনেক সুবিধা। বললেন, নানা রকম হয়রানি আর বিড়ম্বনা পোহাতে তো হয়। তারপরও আমাকে দেখে আরেক নারী সাহসী হবে_ এভাবেই এগোতে হবে আমাদের। হ
No comments