মূল রচনা- ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের হূদয়ের মিল’—মারিকো হিগাশিমুরা

বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও সিয়েরালিয়নে কাজ করছে অ্যানজেল অ্যাসোসিয়েশন। চ্যারিটি বাজার, চ্যারিটি কনসার্ট ও জাপানের বেশ কিছু জনদরদি মানুষের সহায়তায় চলে এই সংগঠনের কার্যক্রম।


২০০৪ সালে ইউরিকো কাওয়ামুরা মারা যাওয়ার পর সংগঠনের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তাঁর মেয়ে মারিকো হিগাশিমুরা।

বাংলাদেশের সঙ্গে হূদ্যতা কীভাবে?
মারিকো হিগাশিমুরা: আমার মায়ের বাংলাদেশ ভালো লেগেছিল। তাঁর মনে হয়েছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত সেরে জাপান যেভাবে দ্রুত উন্নতি করেছে, বাংলাদেশেরও সেভাবে পরিবর্তন হতে পারে। বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ হলেও এর সবুজ-শ্যামল রূপ আমার মাকে মুগ্ধ করেছিল। বাংলাদেশের মানুষকে তাঁর ভালো লেগেছিল। কারণ, তারা অনেক বেশি হাসিখুশি থাকে। তিনি মনে করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষ যদি সুযোগ পায়, তারাও অনেক কিছু করতে পারে। আমার মায়ের সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশে আসি সেটা প্রায় ২৫ বছরের বেশি সময় আগে। এখন প্রতিবছরই একাধিকবার আসা হয়।

বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার কারণ কী?
মারিকো: বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানিদের সম্পর্ক শুরু থেকেই ভালো। তারা জাপানিদের পছন্দ করে। যেখানেই যাই, দেখি হাসিখুশি মানুষ। এমনকি গ্রামের খুব দরিদ্র মানুষও আমাদের ঘরে ডেকে বসতে বলে। এখানে এতগুলো সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়ে ভালো কিছু করার সুযোগ পাচ্ছে, বিষয়টা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।

জাপানে থেকে এত দূরে সংগঠন পরিচালনার কাজ কঠিন মনে হয় না?
মারিকো: ভৌগোলিক দূরত্ব বেশি হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের হূদয়ের মিল অনেক। আমার মা মারা যাওয়ার পর এখানকার নারীরাই আমাকে বলেছে আমি যেন তাদের পাশে থাকি। আমি তাদের অনুরোধ রেখেছি।
আর যে ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব আমরা কাঁধে নিয়েছি, তাদের আমরা হুট করে ফেলে চলে যেতে পারি না। ভৌগোলিক দূরত্ব থাকলেও আমাদের হূদয়ের টান আছে বাংলাদেশের জন্য। আগে আমার ছেলেমেয়েরা ছোট ছিল। তাদের দেখাশোনা করতে হতো। এখন আমার ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে। আমি জাপানে তহবিল সংগ্রহ এবং অন্যান্য কাজে যথেষ্ট সময় দিতে পারছি।

No comments

Powered by Blogger.