আবহাওয়া দপ্তর ও প্রশাসনের গাফিলতির খেসারত- উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব
প্রকৃতির তাণ্ডব অরাজনৈতিক বলেই কি তার প্রতি সরকারের সাড়া কম? বুধবার রাতে উপকূলীয় অঞ্চলের ছয় জেলায় প্রবল ঝড়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২১ জন হলেও নিখোঁজের সংখ্যা আড়াই হাজার। ১৩ হাজার বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও গাছপালার ক্ষতি এবং বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থার বিঘ্ন মিলিয়ে বিপর্যয়ের মাত্রা মোটেই কম নয়।
অথচ সে অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি সাড়া অনেক কম।
প্রথম ব্যর্থতা আবহাওয়া দপ্তরের। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হলেও আবহাওয়া দপ্তর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সতর্কতা জারি করেনি। সাধারণত আবহাওয়া দপ্তরের নির্দেশনা অনুসারেই সরকারি প্রশাসন ও গণমাধ্যম জনগণকে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে অবহিত করে। এবার তা না করায় গণমাধ্যমও সময়মতো সাড়া দিতে পারেনি এবং উপকূলীয় এলাকার জনগণ তাদের জনপদের দিকে ধেয়ে আসা বিপদের পরিমাপ করতে পারেনি, প্রস্তুতিও নেওয়ার সময় পায়নি। বিশেষত, সমুদ্রগামী জেলেরা আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কসংকেত আমলে নিয়েই মাছ ধরায় নামেন। কিন্তু ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখে তাঁরাও বুঝতে পারেননি যে সমুদ্র কতটা মারাত্মক হয়ে উঠবে। এ কারণেই ২১ জনের মৃত্যু এবং আড়াই হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়, যাদের বেশির ভাগই জেলে।
আবহাওয়া দপ্তরের ব্যাখ্যা হলো, নিম্নচাপটি অতিদ্রুত উপকূল অতিক্রম করেছে। কিন্তু কার্যত লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান থাকে ১৫-১৬ ঘণ্টা। হুঁশিয়ারি প্রচার ও প্রস্তুতির জন্য এটা যথেষ্ট সময়। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর জেলা প্রশাসনও অভিযোগ তুলেছে যে ৪ নম্বর সতর্কসংকেত আগে না পাওয়ায় তারাও দুর্যোগ মোকাবিলার কোনো প্রস্তুতিই নিতে পারেনি। যখনই আমাদের উদ্যোগ, উদ্যম, দক্ষতা ও নিষ্ঠা প্রয়োজন, তখনই এ রকম ব্যর্থতার দাম যে জীবন ও সম্পদের ক্ষতির মূল্যে শুধতে হয়, এই বোধোদয় কি কারোরই হবে না?
দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় বন্যা-পরিস্থিতি চলছে। উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসের চিহ্ন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে দ্রুতই ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। একই সঙ্গে দুর্বল ও অদক্ষ আবহাওয়ার পূর্বাভাসব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। মানুষের জীবন নিয়ে এ রকম উদাসীনতা মোটেই ক্ষমাযোগ্য কাজ নয়।
প্রথম ব্যর্থতা আবহাওয়া দপ্তরের। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হলেও আবহাওয়া দপ্তর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সতর্কতা জারি করেনি। সাধারণত আবহাওয়া দপ্তরের নির্দেশনা অনুসারেই সরকারি প্রশাসন ও গণমাধ্যম জনগণকে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে অবহিত করে। এবার তা না করায় গণমাধ্যমও সময়মতো সাড়া দিতে পারেনি এবং উপকূলীয় এলাকার জনগণ তাদের জনপদের দিকে ধেয়ে আসা বিপদের পরিমাপ করতে পারেনি, প্রস্তুতিও নেওয়ার সময় পায়নি। বিশেষত, সমুদ্রগামী জেলেরা আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কসংকেত আমলে নিয়েই মাছ ধরায় নামেন। কিন্তু ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখে তাঁরাও বুঝতে পারেননি যে সমুদ্র কতটা মারাত্মক হয়ে উঠবে। এ কারণেই ২১ জনের মৃত্যু এবং আড়াই হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়, যাদের বেশির ভাগই জেলে।
আবহাওয়া দপ্তরের ব্যাখ্যা হলো, নিম্নচাপটি অতিদ্রুত উপকূল অতিক্রম করেছে। কিন্তু কার্যত লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান থাকে ১৫-১৬ ঘণ্টা। হুঁশিয়ারি প্রচার ও প্রস্তুতির জন্য এটা যথেষ্ট সময়। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর জেলা প্রশাসনও অভিযোগ তুলেছে যে ৪ নম্বর সতর্কসংকেত আগে না পাওয়ায় তারাও দুর্যোগ মোকাবিলার কোনো প্রস্তুতিই নিতে পারেনি। যখনই আমাদের উদ্যোগ, উদ্যম, দক্ষতা ও নিষ্ঠা প্রয়োজন, তখনই এ রকম ব্যর্থতার দাম যে জীবন ও সম্পদের ক্ষতির মূল্যে শুধতে হয়, এই বোধোদয় কি কারোরই হবে না?
দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় বন্যা-পরিস্থিতি চলছে। উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসের চিহ্ন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে দ্রুতই ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। একই সঙ্গে দুর্বল ও অদক্ষ আবহাওয়ার পূর্বাভাসব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। মানুষের জীবন নিয়ে এ রকম উদাসীনতা মোটেই ক্ষমাযোগ্য কাজ নয়।
No comments