ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক-বাইডেনের কাছে ধরাশায়ী রায়ান
প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ওবামার দুর্বল অবস্থানের পর ডেমোক্র্যাট দল যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিল, গত বৃহস্পতিবার ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের টেলিভিশন বিতর্কে সেই ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে উঠেছেন তাঁরা।
রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পল রায়ানের প্রতি ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আক্রমণাত্মক বাক্যবাণ ও কটাক্ষ আপাতত ডেমোক্র্যাটদের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ তৈরি করেছে। কেনটাকির বিতর্কে বাইডেন রায়ানকে ভালোমতোই হারাতে পেরেছেন বলে বিতর্ক-পরবর্তী জরিপে জানানো হয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর প্রথম প্রেসিডেনসিয়াল বিতর্কে বাকচাতুর্যে ওবামাকে পরাস্ত করেন রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি। চটপটে ও ক্ষুরধার রমনির সামনে ওবামাকে অনেকটাই ম্রিয়মাণ ও অসহায় মনে হয়েছিল। বিতর্ক-পরবর্তী জনমত জরিপগুলোতে রমনি অনেক ভালো অবস্থানে চলে আসেন। জনপ্রিয়তার দিক থেকে এখন পর্যন্ত ওবামাকে ছাড়াতে না পারলেও ভোটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ওবামার কাছাকাছি অবস্থানে চলে এসেছেন তিনি। আগামী ১৬ অক্টোরব নিউ ইয়র্কের হ্যাম্পশায়ারে এবং ২২ অক্টোবর ফ্লোরিডায় পরবর্তী বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার কেনটাকির ডেনভেলের সেন্টার কলেজে ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের একমাত্র বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই প্রার্থী জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি, কর ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিতর্ক করেন। তবে প্রাধান্য পায় পররাষ্ট্র নীতি। ইরান, সিরিয়া ও আফগানিস্তান ইস্যুতে কেবল সমালোচনা ছাড়া রমনি ও রায়ানের কাছে আর কোনো উত্তর নেই বলে অভিযোগ করেন বাইডেন। এদিন বাইডেন অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন এবং পল রায়ানের বক্তব্যে বারবার বাধা দিচ্ছিলেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষ সমর্থনেরও চেষ্টা করেছেন বাইডেন। সেই তুলনায় অনেক শান্ত ছিলেন রায়ান। রায়ান বলেন, 'টেলিভিশনে ওবামার পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা দম্ভোক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। ২০০৮ সালে ওবামা যখন নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখনও ইরানের কাছে একটি পরমাণু বোমা তৈরির মতো তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছিল। এখন তাদের কাছে অন্তত পাঁচটি বোমা তৈরির সরঞ্জাম আছে।' জবাবে বাইডেন জানান, আন্তর্জাতিক অবরোধের কারণে ইরানের অর্থনীতি হামাগুড়ি দিয়ে চলছে। ইরানের ব্যাপারে রিপাবলিকানদের পরিকল্পনা স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা কি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চান? এখনই ওই পথে যাওয়ার কথা ভাবছেন?' বিতর্ক-পরবর্তী কয়েকটি জরিপে জানানো হয়, বাইডেন নিজের ও ওবামার জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছেন। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
গত ৩ অক্টোবর প্রথম প্রেসিডেনসিয়াল বিতর্কে বাকচাতুর্যে ওবামাকে পরাস্ত করেন রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি। চটপটে ও ক্ষুরধার রমনির সামনে ওবামাকে অনেকটাই ম্রিয়মাণ ও অসহায় মনে হয়েছিল। বিতর্ক-পরবর্তী জনমত জরিপগুলোতে রমনি অনেক ভালো অবস্থানে চলে আসেন। জনপ্রিয়তার দিক থেকে এখন পর্যন্ত ওবামাকে ছাড়াতে না পারলেও ভোটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ওবামার কাছাকাছি অবস্থানে চলে এসেছেন তিনি। আগামী ১৬ অক্টোরব নিউ ইয়র্কের হ্যাম্পশায়ারে এবং ২২ অক্টোবর ফ্লোরিডায় পরবর্তী বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার কেনটাকির ডেনভেলের সেন্টার কলেজে ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের একমাত্র বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই প্রার্থী জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি, কর ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিতর্ক করেন। তবে প্রাধান্য পায় পররাষ্ট্র নীতি। ইরান, সিরিয়া ও আফগানিস্তান ইস্যুতে কেবল সমালোচনা ছাড়া রমনি ও রায়ানের কাছে আর কোনো উত্তর নেই বলে অভিযোগ করেন বাইডেন। এদিন বাইডেন অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন এবং পল রায়ানের বক্তব্যে বারবার বাধা দিচ্ছিলেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষ সমর্থনেরও চেষ্টা করেছেন বাইডেন। সেই তুলনায় অনেক শান্ত ছিলেন রায়ান। রায়ান বলেন, 'টেলিভিশনে ওবামার পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা দম্ভোক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। ২০০৮ সালে ওবামা যখন নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখনও ইরানের কাছে একটি পরমাণু বোমা তৈরির মতো তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছিল। এখন তাদের কাছে অন্তত পাঁচটি বোমা তৈরির সরঞ্জাম আছে।' জবাবে বাইডেন জানান, আন্তর্জাতিক অবরোধের কারণে ইরানের অর্থনীতি হামাগুড়ি দিয়ে চলছে। ইরানের ব্যাপারে রিপাবলিকানদের পরিকল্পনা স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা কি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চান? এখনই ওই পথে যাওয়ার কথা ভাবছেন?' বিতর্ক-পরবর্তী কয়েকটি জরিপে জানানো হয়, বাইডেন নিজের ও ওবামার জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছেন। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
No comments