স্টিয়ারিং হাতে নারী-সমস্যা অনেক তারপরও...
গাড়ি চালাচ্ছেন নারী_ এ দৃশ্যটি ঢাকা শহরে ইদানীং বেশ চোখে পড়ে। সন্তানের নিরাপত্তা, নিজের এবং পরিবারের সবার সুবিধার কথা ভেবে গৃহিণী এবং কর্মজীবী নারীরা স্টিয়ারিং ধরছেন শক্ত হাতে। কিন্তু পথচলায় তাদের সমস্যার কমতি নেই।
কয়েকজন নারী চালকের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন
মাশরেখা মনা
জয়া কাদের। সারাদিন ব্যস্ত থাকেন ঘর সংসারসহ নানা কাজে। স্বামী ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকেন। মাঝে মাঝে দেশের বাইরেও যান। ২ মেয়ে ১ ছেলের পড়ালেখাসহ যৌথ পরিবারে সব দায়িত্ব পালন করেন জয়া। নিজেদের বাড়ি মিরপুর-১৪ নম্বর সেকশনে। গাড়ি কিনেছেন অনেক বছর। গাড়ির ড্রাইভার নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকে। এক সময় ঠিক করলেন নিজেই গাড়ি চালাবেন। ড্রাইভিং শিখেছিলেন বিয়ের আগেই। প্রায় তিন বছর হলো নিজে গাড়ি চালিয়ে পরিবারের যাতায়াতের কাজটি করছেন। অনেক সময় আত্মীয়স্বজনের জরুরি প্রয়োজনেও নিজে গাড়ি চালিয়ে যান। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মেয়ে ড্রাইভার তুলনামূলক খুবই কম। এটি খুবই দুঃখজনক। মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে অনেক পরিবার চায় মেয়ে ড্রাইভার রাখতে। কারণ মেয়েকে ছেলে ড্রাইভারের কাছে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায় না। অনেক পরিবারের মহিলারা গাড়ি ড্রাইভ করতে চান কিন্তু নানা বাধার কারণে কাজটি করতে পারেন না। তার মধ্যে কিছুটা পারিবারিক আর বাকিটা চলাচলের পথের বাধা। এটি আমি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। তবে আমি আমার পরিবার থেকে বাধা পাইনি। বললেন, নিজে গাড়ি ড্রাইভ করাতে অনেক সুবিধা হচ্ছে। যেমন : অর্থনৈতিক সুবিধা, ড্রাইভারের বেতনটা বেঁচে যাচ্ছে, গ্যাস-তেল হিসাব করে ব্যবহার করছি। ফলে কিছুটা সাশ্রয় হচ্ছে। খুব সাবধানে এবং নিয়ম মেনে গাড়ি চালাই আমি। ফলে সন্তান এবং পরিজনের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারছি। যত্ন করে গাড়ি চালাই তাই গাড়িও ভালো থাকছে। আমার তিন ছেলেমেয়েকে স্কুল-কলেজে আনা নেওয়া করি। দুই বাচ্চা আদিবাসী বনফুল মিরপুর-১৩ সেকশনের একটি স্কুলে পড়ে। এক বাচ্চা মতিঝিল মডেলে পড়ে। এ ছাড়া সংসারের অন্যান্য কাজেও বাইরের যাওয়া-আসা সবই করি। আমি খুব স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে। আমি চাই আমার মতো আরও নারী নিজের গাড়ি নিজে ড্রাইভ করুক।
তবে নির্বিঘ্নে পথ চলা মেয়েদের জন্য যে কঠিন তা স্টিয়ারিংয়ে হাত দিয়ে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছি_ বললেন জয়া। আমি সমস্যার কথা বলব। যেমন : মাঝে মাঝে ট্রাফিক মহিলা ড্রাইভারদের অহেতুক হয়রানি করে। রাস্তায় নীরব জায়গায় গাড়িতে মহিলা ড্রাইভার দেখলে অনেক পুরুষ ড্রাইভার সে গাড়িকে ওভারটেক এবং ধাক্কা দিয়ে হয়রানি করে। নানা রকম বাজে মন্তব্য করে আনন্দ পায়। অনেক সময় গাড়ি পার্ক করতে গেলে পার্কিংয়ের জায়গা থাকলেও জায়গা দিতে চায় না। উল্টো নানা বাজে উক্তি করে। ওয়ার্কশপে মহিলা ড্রাইভার গাড়ির কোনো সমস্যা সারানোর জন্য গেলে মালিকরা নানা হয়রানিমূলক কথা বলবে। টাকা বেশি নেবে। জয়া কাদের বলেন, এ জন্য যে আমি গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছি তা না। এ সব সমস্যা থাকবেই। কারণ খুব কম সংখ্যক নারী গাড়ি চালান এখনও। ফলে বিষয়টি এখনও স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি। মেয়েদের গাড়ি চালানোর সংখ্যা যদি বেড়ে যায় তাহলে এসব সমস্যা আর থাকবে না।
মাশরেখা মনা
জয়া কাদের। সারাদিন ব্যস্ত থাকেন ঘর সংসারসহ নানা কাজে। স্বামী ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকেন। মাঝে মাঝে দেশের বাইরেও যান। ২ মেয়ে ১ ছেলের পড়ালেখাসহ যৌথ পরিবারে সব দায়িত্ব পালন করেন জয়া। নিজেদের বাড়ি মিরপুর-১৪ নম্বর সেকশনে। গাড়ি কিনেছেন অনেক বছর। গাড়ির ড্রাইভার নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকে। এক সময় ঠিক করলেন নিজেই গাড়ি চালাবেন। ড্রাইভিং শিখেছিলেন বিয়ের আগেই। প্রায় তিন বছর হলো নিজে গাড়ি চালিয়ে পরিবারের যাতায়াতের কাজটি করছেন। অনেক সময় আত্মীয়স্বজনের জরুরি প্রয়োজনেও নিজে গাড়ি চালিয়ে যান। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মেয়ে ড্রাইভার তুলনামূলক খুবই কম। এটি খুবই দুঃখজনক। মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে অনেক পরিবার চায় মেয়ে ড্রাইভার রাখতে। কারণ মেয়েকে ছেলে ড্রাইভারের কাছে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায় না। অনেক পরিবারের মহিলারা গাড়ি ড্রাইভ করতে চান কিন্তু নানা বাধার কারণে কাজটি করতে পারেন না। তার মধ্যে কিছুটা পারিবারিক আর বাকিটা চলাচলের পথের বাধা। এটি আমি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। তবে আমি আমার পরিবার থেকে বাধা পাইনি। বললেন, নিজে গাড়ি ড্রাইভ করাতে অনেক সুবিধা হচ্ছে। যেমন : অর্থনৈতিক সুবিধা, ড্রাইভারের বেতনটা বেঁচে যাচ্ছে, গ্যাস-তেল হিসাব করে ব্যবহার করছি। ফলে কিছুটা সাশ্রয় হচ্ছে। খুব সাবধানে এবং নিয়ম মেনে গাড়ি চালাই আমি। ফলে সন্তান এবং পরিজনের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারছি। যত্ন করে গাড়ি চালাই তাই গাড়িও ভালো থাকছে। আমার তিন ছেলেমেয়েকে স্কুল-কলেজে আনা নেওয়া করি। দুই বাচ্চা আদিবাসী বনফুল মিরপুর-১৩ সেকশনের একটি স্কুলে পড়ে। এক বাচ্চা মতিঝিল মডেলে পড়ে। এ ছাড়া সংসারের অন্যান্য কাজেও বাইরের যাওয়া-আসা সবই করি। আমি খুব স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে। আমি চাই আমার মতো আরও নারী নিজের গাড়ি নিজে ড্রাইভ করুক।
তবে নির্বিঘ্নে পথ চলা মেয়েদের জন্য যে কঠিন তা স্টিয়ারিংয়ে হাত দিয়ে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছি_ বললেন জয়া। আমি সমস্যার কথা বলব। যেমন : মাঝে মাঝে ট্রাফিক মহিলা ড্রাইভারদের অহেতুক হয়রানি করে। রাস্তায় নীরব জায়গায় গাড়িতে মহিলা ড্রাইভার দেখলে অনেক পুরুষ ড্রাইভার সে গাড়িকে ওভারটেক এবং ধাক্কা দিয়ে হয়রানি করে। নানা রকম বাজে মন্তব্য করে আনন্দ পায়। অনেক সময় গাড়ি পার্ক করতে গেলে পার্কিংয়ের জায়গা থাকলেও জায়গা দিতে চায় না। উল্টো নানা বাজে উক্তি করে। ওয়ার্কশপে মহিলা ড্রাইভার গাড়ির কোনো সমস্যা সারানোর জন্য গেলে মালিকরা নানা হয়রানিমূলক কথা বলবে। টাকা বেশি নেবে। জয়া কাদের বলেন, এ জন্য যে আমি গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছি তা না। এ সব সমস্যা থাকবেই। কারণ খুব কম সংখ্যক নারী গাড়ি চালান এখনও। ফলে বিষয়টি এখনও স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি। মেয়েদের গাড়ি চালানোর সংখ্যা যদি বেড়ে যায় তাহলে এসব সমস্যা আর থাকবে না।
No comments