এক বর্গমিটার জায়গার দাম ২০ হাজার ডলার!
ফিলিস্তিনের ছোট্ট শহর গাজা। সেখানে ৯০ হাজার মার্কিন ডলার দামে এক টুকরা জমি ২০১০ সালে কিনে রেখেছিলেন পুলিশ সদস্য হামেদ তালবা। সেই জমির দাম এখন দ্বিগুণ হয়েছে। ওমর আল মুক্তার সড়ক ধরে শহরের প্রধান মসজিদ এবং গয়নাবিপণিতে পৌঁছানো যায়।
ওই সড়ক এলাকায় জমির দাম সম্ভবত সবচেয়ে বেশি। এলাকাটি তেমন দর্শনীয় না হলেও সেখানে প্রতি বর্গমিটার জমির দাম কমপক্ষে ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এই দাম যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের বিখ্যাত মেফেয়ার বা ওল্ড কেন্ট রোড এলাকার জমির চেয়েও বেশি। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরেও জমির মূল্যবৃদ্ধির হার গাজার তুলনায় কম।
শহরের প্রায় সবখানেই গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন ভবন আর ফ্ল্যাটবাড়ি। সবুজ স্থানগুলো হয়ে যাচ্ছে ধূসর। হাতুড়ি, ড্রিল মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রের আওয়াজ ছাপিয়ে যাচ্ছে যানবাহনের শব্দকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী অবৈধ সুড়ঙ্গপথে মিসর থেকে গাজায় আনা হচ্ছে।
গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ধনী লোকদের একজন হলেন আবদেল আজিজ খালদি। সমুদ্র উপকূলের কাছে অবস্থিত একটি হোটেলের মালিক তিনি। দামি গাড়ি ব্যবহারকারী এই ব্যক্তি জমির ব্যবসা করেন। এটাই বর্তমানে গাজার সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা এবং শহরের ছোট আকৃতিই এর কারণ। খালদি বলেন, গাজায় জমির দাম প্রতিবছর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের আরেকটি যুদ্ধ শুরু হলে শহরটি হবে তুলনামূলক নিরাপদ আশ্রয়। তাই জমির দাম বাড়ার এটিও একটি কারণ।
গাজার শাসনক্ষমতায় হামাস আসার পর ওই এলাকার ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল ও মিসর। তবে সুড়ঙ্গপথে চোরাই পণ্যের ব্যবসা থামেনি। এ ব্যবসায় জড়িত কয়েকজন ধনকুবেরই মূলত নিয়ন্ত্রণ করছেন শহরটির আবাসন ব্যবসা। তাঁরা হামাস সরকারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জমির মূল্যবৃদ্ধির মানে এই নয় যে গাজার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেশি। গাজাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পালথিংকের অর্থনীতিবিদ ওমর শাব্বান বলেন, সুড়ঙ্গপথে ব্যবসার মধ্য দিয়ে গাজায় কিছু লোক দ্রুত ধনী হয়ে উঠেছেন। এই ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হচ্ছে ভূমি ব্যবসা। তাঁদের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে। গাজায় জমির দাম এত দ্রুত বাড়ার জন্য মূলত এই ব্যবসায়ীরাই দায়ী। বিবিসি।
শহরের প্রায় সবখানেই গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন ভবন আর ফ্ল্যাটবাড়ি। সবুজ স্থানগুলো হয়ে যাচ্ছে ধূসর। হাতুড়ি, ড্রিল মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রের আওয়াজ ছাপিয়ে যাচ্ছে যানবাহনের শব্দকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী অবৈধ সুড়ঙ্গপথে মিসর থেকে গাজায় আনা হচ্ছে।
গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ধনী লোকদের একজন হলেন আবদেল আজিজ খালদি। সমুদ্র উপকূলের কাছে অবস্থিত একটি হোটেলের মালিক তিনি। দামি গাড়ি ব্যবহারকারী এই ব্যক্তি জমির ব্যবসা করেন। এটাই বর্তমানে গাজার সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা এবং শহরের ছোট আকৃতিই এর কারণ। খালদি বলেন, গাজায় জমির দাম প্রতিবছর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের আরেকটি যুদ্ধ শুরু হলে শহরটি হবে তুলনামূলক নিরাপদ আশ্রয়। তাই জমির দাম বাড়ার এটিও একটি কারণ।
গাজার শাসনক্ষমতায় হামাস আসার পর ওই এলাকার ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল ও মিসর। তবে সুড়ঙ্গপথে চোরাই পণ্যের ব্যবসা থামেনি। এ ব্যবসায় জড়িত কয়েকজন ধনকুবেরই মূলত নিয়ন্ত্রণ করছেন শহরটির আবাসন ব্যবসা। তাঁরা হামাস সরকারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জমির মূল্যবৃদ্ধির মানে এই নয় যে গাজার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেশি। গাজাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পালথিংকের অর্থনীতিবিদ ওমর শাব্বান বলেন, সুড়ঙ্গপথে ব্যবসার মধ্য দিয়ে গাজায় কিছু লোক দ্রুত ধনী হয়ে উঠেছেন। এই ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হচ্ছে ভূমি ব্যবসা। তাঁদের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে। গাজায় জমির দাম এত দ্রুত বাড়ার জন্য মূলত এই ব্যবসায়ীরাই দায়ী। বিবিসি।
No comments