ভয়াল ঝড়ের দুঃসহ স্মৃতি
মনপুরা দ্বীপের মালেক মাঝি বৃহস্পতিবার ভোর রাতের ঝড়ের পর নিজে বেঁচে এলেও হারিয়েছেন ভাইকে। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নৌকার মধ্যে আমরা ১০ জন ছিলাম। মাছও পাইছিলাম অনেক। বেক্কের ভাগে পাঁচ হালি কইরা ইলিশ পড়েছে। ঘরে আমার ছোড পোলাডায় ইলিশ মাছের ডিম পছন্দ করে।
খুব খুশি অইছি। পোলায় মাছের ডিম খাইয়া মজা করব। আচমকা দেখলাম পশ্চিমের আকাশেরতন তুফান আইতাছে। গাংগের মইধ্যে জ্যান খোয়াছ খিজির কেয়ামতের ডাক লইয়া আইছে। তুফান অইল। নৌকা ভাঙল। বেহানে চোখ খুইলা দেহি, আমি মাঝের চরে পইড়া আছি। আমারে কারা যেন নদীর তন উডাইয়া আনছে। বাড়িতে আইয়া দেহি, খালেক ভাই লাশ অইয়া গেছে।'
মালেক মাঝি বলেন, 'যেই গাঙ্গে আমার ভাইরে লইয়া গেছে, হেই গাংগে আমি আর মাছ ধরতে যামু না।' জানা যায়, নিহত খালেকের স্ত্রী খালেদা আকতার সন্তান সম্ভবা। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এর আগে আমার দেড় বছরের শিশুসন্তান নিউমোনিয়ায় মারা যায়। এখন আল্লা আমার স্বামীরে দুনিয়া থেকে নিয়ে আমারে এ কোন পরীক্ষায় ফালাইল।'
হাতিয়ায় নিহত দুই শিশু মামুন উদ্দিন (১০) ও সীমা আক্তারের (৬) হতদরিদ্র বাবা নাজিম উদ্দিন বলেন, বুধবার রাতের খাবার শেষে তাঁরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। দুই ভাই-বোন সকালে এক সঙ্গে পান্তা খাওয়ার বায়না ধরেছিল। ভোররাত ৩টার দিকে হঠাৎ তাঁর কাঁচাঘরের ওপর একটি গাছ এসে পড়লে ঘরটি ধুমড়েমুছড়ে যায়। এ সময় তিনি তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে বেরিয়ে এলেও মামুন ও সীমা বের হতে পারেনি।
মালেক মাঝি বলেন, 'যেই গাঙ্গে আমার ভাইরে লইয়া গেছে, হেই গাংগে আমি আর মাছ ধরতে যামু না।' জানা যায়, নিহত খালেকের স্ত্রী খালেদা আকতার সন্তান সম্ভবা। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এর আগে আমার দেড় বছরের শিশুসন্তান নিউমোনিয়ায় মারা যায়। এখন আল্লা আমার স্বামীরে দুনিয়া থেকে নিয়ে আমারে এ কোন পরীক্ষায় ফালাইল।'
হাতিয়ায় নিহত দুই শিশু মামুন উদ্দিন (১০) ও সীমা আক্তারের (৬) হতদরিদ্র বাবা নাজিম উদ্দিন বলেন, বুধবার রাতের খাবার শেষে তাঁরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। দুই ভাই-বোন সকালে এক সঙ্গে পান্তা খাওয়ার বায়না ধরেছিল। ভোররাত ৩টার দিকে হঠাৎ তাঁর কাঁচাঘরের ওপর একটি গাছ এসে পড়লে ঘরটি ধুমড়েমুছড়ে যায়। এ সময় তিনি তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে বেরিয়ে এলেও মামুন ও সীমা বের হতে পারেনি।
No comments