ইলা মিত্রের মৃত্যুবার্ষিকী আজ- নিজের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে উপেক্ষিত বিপ্লবী নেত্রী
নাচোলের ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের বিপ্লবী নেত্রী ইলা মিত্রের মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৩ অক্টোবর।
ইলা মিত্রের হাত ধরে স্বামী রমেন মিত্রের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণগোবিন্দপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়টি ১৯৪৭ সাল থেকে নারী শিক্ষা বিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে।
ইলা মিত্রের হাত ধরে স্বামী রমেন মিত্রের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণগোবিন্দপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়টি ১৯৪৭ সাল থেকে নারী শিক্ষা বিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে।
কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরা তাঁর বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না, জন্ম কিংবা মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণও করা হয় না।
তেভাগা আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৯৯৬ সালে ইলা মিত্র যখন নাচোলের বিশাল কৃষক সমাবেশে বক্তব্য দিতে আসেন, তখন স্বামীর ভিটা রামচন্দ্রপুরেও আসেন। ওই সময় এলাকার মানুষ তাঁকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়। গাঁয়ের বউ ইলা মিত্রকে একনজর দেখতে, তাঁর মুখের দুটো কথা শুনতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
কিন্তু এলাকার নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে ইলা মিত্র একটি অজানা নাম। কেউ কেউ ইলা মিত্রের নাম শুনে থাকলেও তাঁর সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। ইলা মিত্রের জন্ম-মৃত্যু দিবস, এলাকায় তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সম্পর্কে জানা নেই এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এমনকি জানেন না শিক্ষকেরাও।
ইলা মিত্রের শ্বশুরবাড়ির জমিতে তাঁর হাত ধরেই এ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার কথা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্ত দুই প্রধান শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন। তবে তাঁরা জানান, এ বিদ্যালয়ে কখনো ইলা মিত্রের জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয় না। এ জন্যই ইলা মিত্র সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের।
কথা হয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী নাহিদা আক্তার, সেলিনা আক্তার ও সোনিয়া জাহানসহ আরও অনেকের সঙ্গে। তারা জানায়, এ বিদ্যালয় ইলা মিত্রের হাত ধরে সৃষ্টির কথা কেউ কেউ শুনে থাকলেও সঠিক ধারণা নেই কারও। এ বিদ্যালয়ে ইলা মিত্রের জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন হওয়া উচিত। বিদ্যালয়ে থাকা দরকার ইলা মিত্র সম্পর্কে বই-পুস্তক।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাবিয়া শিরিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবার মুখে শুনেছি ইলা মিত্র ও তাঁর স্বামী রমেন মিত্রের গল্প। রমেন মিত্রও কৃষ্ণগোবিন্দপুর উচ্চবিদ্যালয়ে অবৈতনিক শিক্ষকতা করতেন, যেমন করতেন ইলা মিত্র। ওই সময় নারীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছিল না। এ বিদ্যালয় না হলে হয়তো আমিও বিদ্যালয়ের এই চেয়ারে বসতে পারতাম না।’
বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাওহিদা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন ইলা মিত্র আসেন, তখন আমি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ফুল হাতে ছাত্রীদের নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম ইলা মিত্রকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য। ভেবেছিলাম, তাঁকে হাত ধরে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম, আমাদের পেছনে ফেলে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে গেলেন। বক্তব্য দিলেন দৃঢ়কণ্ঠে। সঞ্চৃতিচারণা করলেন বিদ্যালয়েরও।’ বিদ্যালয়ে ইলা মিত্রকে সঞ্চরণ না করার বিষয়ে তাওহিদা খাতুন বলেন, ‘আগে হয়নি বলে এখন হবে না, তা নয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলেই হতে পারে, হওয়া উচিত।’
এলাকার সমাজকর্মী ও কৃষ্ণগোবিন্দপুর কলেজের গ্রন্থগারিক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইলা মিত্র ও রমেন মিত্রের সঞ্চৃতিবিজড়িত রামচন্দ্রপুরে বাইরে থেকে অনেকেই আসেন। এখানে তাঁদের সঞ্চৃতিচিহ্ন কিছুই দেখতে না পেয়ে হতাশ হন। কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান বলেন, ইলা মিত্রের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে তাঁর নামে একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার।
তেভাগা আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৯৯৬ সালে ইলা মিত্র যখন নাচোলের বিশাল কৃষক সমাবেশে বক্তব্য দিতে আসেন, তখন স্বামীর ভিটা রামচন্দ্রপুরেও আসেন। ওই সময় এলাকার মানুষ তাঁকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়। গাঁয়ের বউ ইলা মিত্রকে একনজর দেখতে, তাঁর মুখের দুটো কথা শুনতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
কিন্তু এলাকার নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে ইলা মিত্র একটি অজানা নাম। কেউ কেউ ইলা মিত্রের নাম শুনে থাকলেও তাঁর সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। ইলা মিত্রের জন্ম-মৃত্যু দিবস, এলাকায় তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সম্পর্কে জানা নেই এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এমনকি জানেন না শিক্ষকেরাও।
ইলা মিত্রের শ্বশুরবাড়ির জমিতে তাঁর হাত ধরেই এ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার কথা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্ত দুই প্রধান শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন। তবে তাঁরা জানান, এ বিদ্যালয়ে কখনো ইলা মিত্রের জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয় না। এ জন্যই ইলা মিত্র সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের।
কথা হয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী নাহিদা আক্তার, সেলিনা আক্তার ও সোনিয়া জাহানসহ আরও অনেকের সঙ্গে। তারা জানায়, এ বিদ্যালয় ইলা মিত্রের হাত ধরে সৃষ্টির কথা কেউ কেউ শুনে থাকলেও সঠিক ধারণা নেই কারও। এ বিদ্যালয়ে ইলা মিত্রের জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন হওয়া উচিত। বিদ্যালয়ে থাকা দরকার ইলা মিত্র সম্পর্কে বই-পুস্তক।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাবিয়া শিরিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবার মুখে শুনেছি ইলা মিত্র ও তাঁর স্বামী রমেন মিত্রের গল্প। রমেন মিত্রও কৃষ্ণগোবিন্দপুর উচ্চবিদ্যালয়ে অবৈতনিক শিক্ষকতা করতেন, যেমন করতেন ইলা মিত্র। ওই সময় নারীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছিল না। এ বিদ্যালয় না হলে হয়তো আমিও বিদ্যালয়ের এই চেয়ারে বসতে পারতাম না।’
বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাওহিদা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন ইলা মিত্র আসেন, তখন আমি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ফুল হাতে ছাত্রীদের নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম ইলা মিত্রকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য। ভেবেছিলাম, তাঁকে হাত ধরে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম, আমাদের পেছনে ফেলে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে গেলেন। বক্তব্য দিলেন দৃঢ়কণ্ঠে। সঞ্চৃতিচারণা করলেন বিদ্যালয়েরও।’ বিদ্যালয়ে ইলা মিত্রকে সঞ্চরণ না করার বিষয়ে তাওহিদা খাতুন বলেন, ‘আগে হয়নি বলে এখন হবে না, তা নয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলেই হতে পারে, হওয়া উচিত।’
এলাকার সমাজকর্মী ও কৃষ্ণগোবিন্দপুর কলেজের গ্রন্থগারিক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইলা মিত্র ও রমেন মিত্রের সঞ্চৃতিবিজড়িত রামচন্দ্রপুরে বাইরে থেকে অনেকেই আসেন। এখানে তাঁদের সঞ্চৃতিচিহ্ন কিছুই দেখতে না পেয়ে হতাশ হন। কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান বলেন, ইলা মিত্রের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে তাঁর নামে একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার।
No comments