বিজিবিতে নারী ইউনিট চাই by সুমী নাসরীন
অবৈধ পণ্য চোরাচালান অনেক পথ ঘুরে হলেও স্থলপথেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। একজন সাধারণ মানুষ থেকে বড় ব্যবসায়ী, দিনমজুর থেকে ফেরিওয়ালা_ সবাই এ কাজে সম্পৃক্ত হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বড় মাপের চোরাচালানিদের বাহক হিসেবে অপেক্ষাকৃত অধিক মজুরির ভিত্তিতে নিম্নবিত্তের মানুষকে কাজে লাগানো হয়।
অল্প পুঁজির চোরাচালান, চোরাই মাল পরিবহন এবং বিশেষ করে মাদক পাচার ও পরিবহনে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কথাও ঠিক যে, বড় বড় চোরাচালানি এবং মাদক ব্যবসায়ীরা এসব অবৈধ কাজে নারীদের ব্যবহার করে অধিক নিরাপদ এবং বেশি লাভবান হচ্ছে। আমাদের দেশে নারী শ্রমিক বা নারী কর্মীরা শ্রমের সমমূল্য থেকে বঞ্চিত থাকায় উপার্জনের ক্ষেত্রে এ কাজে ঝুঁকি নিতে তারা মোটেই দ্বিধা করছে না।
দেশের ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে ব্যক্তি পর্যায়ে অধিক লাভজনক স্বল্প পরিমাণের অবৈধ পণ্যের চোরাচালান বলতে গেলে নৈমিত্তিক ঘটনা। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা জাতীয় মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য হালকা চোরাই পণ্য পরিবহনে যানবাহনের পরিবর্তে ব্যক্তিকে ব্যবহার করা সহজ। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় এসব ছাড়াও ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র পাচার কাজে নারী শ্রমিক ও নারী পাচারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সময়ের প্রয়োজনে দেশের পুলিশ বাহিনীতে নারীদের নিয়োগ এবং উচ্চতর কর্মকর্তা পদে তাদের দক্ষতা প্রমাণিত হলেও বিজিবিতে এখন পর্যন্ত নারী ইউনিট সংযোজন করা হয়নি। সম্প্রতি বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) কর্নেল ইকবাল আকতার সংবাদপত্রের কাছে স্বীকার করেছেন, বিজিবিতে কোনো নারী ইউনিট নেই। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না সে ব্যাপারেও তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
আইনের চোখে সব নাগরিকের অধিকার যেমন সমান, অপরাধী যেই হোক নারী কিংবা পুরুষ তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, শাস্তি পেতে হবে। দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত পাহারায় যে বিশাল বাহিনী বিজিবি সেখানে সহজেই জনশক্তি হিসেবে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করা যেতে পারে। দেহ তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ অথবা নারীদের দ্বারা সংঘটিত কোনো অপরাধের সত্যতা উদ্ঘাটনের জন্য পুরুষ একেবারেই অশোভন। যে হারে আমাদের যুবসমাজ মাদক ও নেশাজাতীয় ড্রাগে আসক্ত হয়ে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, তার অন্যতম কারণ সীমান্তপথে অবৈধ পণ্যের চোরাচালান। সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে নয়, সীমান্তের এপার থেকে এসব পণ্যের বাহক হিসেবে নারীদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে প্রথমত কর্মজীবী এ ধরনের নারীদের বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর মতো বিজিবিতেও নারী ইউনিট সংযোজন করা জরুরি। এর মাধ্যমে নারীর কর্মসংস্থান ও নারী চোরাচালানিদের প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে, জাতীয় সব ক্ষেত্রে নারীদের দক্ষতা প্রমাণেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রাথমিকভাবে অন্তত স্থলবন্দর বা চেকপোস্টগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ করা হলে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। পরীক্ষামূলকভাবে হলেও সময়ের প্রয়োজনে এ ব্যাপারে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করি।
য় মধুখালী, ফরিদপুর
দেশের ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে ব্যক্তি পর্যায়ে অধিক লাভজনক স্বল্প পরিমাণের অবৈধ পণ্যের চোরাচালান বলতে গেলে নৈমিত্তিক ঘটনা। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা জাতীয় মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য হালকা চোরাই পণ্য পরিবহনে যানবাহনের পরিবর্তে ব্যক্তিকে ব্যবহার করা সহজ। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় এসব ছাড়াও ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র পাচার কাজে নারী শ্রমিক ও নারী পাচারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সময়ের প্রয়োজনে দেশের পুলিশ বাহিনীতে নারীদের নিয়োগ এবং উচ্চতর কর্মকর্তা পদে তাদের দক্ষতা প্রমাণিত হলেও বিজিবিতে এখন পর্যন্ত নারী ইউনিট সংযোজন করা হয়নি। সম্প্রতি বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) কর্নেল ইকবাল আকতার সংবাদপত্রের কাছে স্বীকার করেছেন, বিজিবিতে কোনো নারী ইউনিট নেই। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না সে ব্যাপারেও তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
আইনের চোখে সব নাগরিকের অধিকার যেমন সমান, অপরাধী যেই হোক নারী কিংবা পুরুষ তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, শাস্তি পেতে হবে। দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত পাহারায় যে বিশাল বাহিনী বিজিবি সেখানে সহজেই জনশক্তি হিসেবে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করা যেতে পারে। দেহ তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ অথবা নারীদের দ্বারা সংঘটিত কোনো অপরাধের সত্যতা উদ্ঘাটনের জন্য পুরুষ একেবারেই অশোভন। যে হারে আমাদের যুবসমাজ মাদক ও নেশাজাতীয় ড্রাগে আসক্ত হয়ে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, তার অন্যতম কারণ সীমান্তপথে অবৈধ পণ্যের চোরাচালান। সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে নয়, সীমান্তের এপার থেকে এসব পণ্যের বাহক হিসেবে নারীদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে প্রথমত কর্মজীবী এ ধরনের নারীদের বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর মতো বিজিবিতেও নারী ইউনিট সংযোজন করা জরুরি। এর মাধ্যমে নারীর কর্মসংস্থান ও নারী চোরাচালানিদের প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে, জাতীয় সব ক্ষেত্রে নারীদের দক্ষতা প্রমাণেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রাথমিকভাবে অন্তত স্থলবন্দর বা চেকপোস্টগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ করা হলে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। পরীক্ষামূলকভাবে হলেও সময়ের প্রয়োজনে এ ব্যাপারে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করি।
য় মধুখালী, ফরিদপুর
No comments