সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দমনে ব্যাপক সেনা অভিযান
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জিসার আল শুগহুরে বিদ্রোহীদের দমন করতে ট্যাংকসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে অভিযান শুরু করেছে সে দেশের সেনাবাহিনী। এতে আতঙ্কিত হাজার হাজার মানুষ প্রতিবেশী দেশ তুরস্কে আশ্রয় নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ক্ষমতায় থাকার বৈধতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এ অভিযানের ব্যাপারে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানোর প্রস্তাব দিয়েছে। রাশিয়া এর বিরোধিতা করেছে।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে জিসার আল শুগহুর শহরে চোরাগোপ্তা হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১২০ জন সদস্য নিহত হন। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হামলাকারীরা সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য। তবে বিভিন্ন সংস্থা বলেছে, বিদ্রোহী কোনো দল এসব নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেনি। সেনাবাহিনীর একটি পক্ষ বিদ্রোহ ঘোষণা করে ওই ১২০ জনকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর সেখানে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, জিসার আল শুগহুর শহরের বাসিন্দারা সেখানে সেনা অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সে অনুযায়ী সেনাবাহিনী ওই শহরে ‘নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা’র লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে। টেলিভিশনের ঘোষণায় বলা হয়, বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেনাবাহিনী যাতে তাদের দিকে এগোতে না পারে, এ জন্য বিদ্রোহীরা মাঠের ফসল ও গাছগাছালিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
বিবিসি বলেছে, সিরিয়া সরকার সে দেশে বিদেশি সাংবাদিকদের ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে। ফলে অভিযানের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযানে হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অনেক ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, সেনা ও ট্যাংক মোতায়েন এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পর জিসার আল শুগহুরের হাজার হাজার বাসিন্দা নিকটবর্তী তুরস্ক সীমান্তের দিকে ছুটছে। প্রাণভয়ে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে চলে যাচ্ছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু বলেছেন, শুধু বৃহস্পতিবারই সিরিয়া থেকে অন্তত দুই হাজার ৪০০ লোক তুরস্কে চলে এসেছে। এসব মানুষের জন্য প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, সিরিয়া সরকার সে দেশের বাসিন্দাদের ওপর উৎপীড়ন চালাচ্ছে। তিনি প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানান।
পশ্চিমা দেশগুলো জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব তুলেছে। এ প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস বলেন, সিরিয়া সরকার যেভাবে নির্দোষ মানুষকে কচুকাটা করছে, তা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসাদের দায়িত্ব পালন বৈধ কি না, তা নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠেছে।
গত মার্চের মাঝামাঝি সময় সিরিয়ায় আসাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ২০০ লোক সেনাদের হাতে নিহত বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করছে।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে জিসার আল শুগহুর শহরে চোরাগোপ্তা হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১২০ জন সদস্য নিহত হন। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হামলাকারীরা সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য। তবে বিভিন্ন সংস্থা বলেছে, বিদ্রোহী কোনো দল এসব নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেনি। সেনাবাহিনীর একটি পক্ষ বিদ্রোহ ঘোষণা করে ওই ১২০ জনকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর সেখানে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, জিসার আল শুগহুর শহরের বাসিন্দারা সেখানে সেনা অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সে অনুযায়ী সেনাবাহিনী ওই শহরে ‘নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা’র লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে। টেলিভিশনের ঘোষণায় বলা হয়, বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেনাবাহিনী যাতে তাদের দিকে এগোতে না পারে, এ জন্য বিদ্রোহীরা মাঠের ফসল ও গাছগাছালিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
বিবিসি বলেছে, সিরিয়া সরকার সে দেশে বিদেশি সাংবাদিকদের ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে। ফলে অভিযানের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযানে হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অনেক ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, সেনা ও ট্যাংক মোতায়েন এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পর জিসার আল শুগহুরের হাজার হাজার বাসিন্দা নিকটবর্তী তুরস্ক সীমান্তের দিকে ছুটছে। প্রাণভয়ে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে চলে যাচ্ছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু বলেছেন, শুধু বৃহস্পতিবারই সিরিয়া থেকে অন্তত দুই হাজার ৪০০ লোক তুরস্কে চলে এসেছে। এসব মানুষের জন্য প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, সিরিয়া সরকার সে দেশের বাসিন্দাদের ওপর উৎপীড়ন চালাচ্ছে। তিনি প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানান।
পশ্চিমা দেশগুলো জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব তুলেছে। এ প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস বলেন, সিরিয়া সরকার যেভাবে নির্দোষ মানুষকে কচুকাটা করছে, তা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসাদের দায়িত্ব পালন বৈধ কি না, তা নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠেছে।
গত মার্চের মাঝামাঝি সময় সিরিয়ায় আসাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ২০০ লোক সেনাদের হাতে নিহত বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করছে।
No comments