রুবচিচের পাকিস্তান-ভীতি
গত ১ জুন ভোরে হঠাৎই ঢাকা ছাড়েন রবার্ট রুবচিচ। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্রোয়েশিয়ান কোচ কি তাহলে চলে গেলেন? ঢাকায় থাকা বাফুফের কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেননি। গুঞ্জনটা তাই ডালপালা ছড়ায়।
ফিফার নির্বাচন উপলক্ষে সে সময় জুরিখে ছিলেন বাফুফের জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়। তখন ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘রুবচিচ কয়েক দিন আগে তাঁকে বলেছিলেন, পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে যেতে পারেন। প্রয়োজন শেষে কয়েক দিনের মধ্যেই ঢাকা ফিরবেন।’
সপ্তাহ গড়িয়ে গেল। রুবচিচ বাফুফের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। কবে ফিরবেন কেউ জানে না। আদৌ ফিরবেন কি না, সংশয় দানা বাঁধছে। রুবচিচের কোনো ফোন নম্বর নেই বাফুফের কাছে। এমনকি ই-মেইল ঠিকানাও নাকি নেই!
উপায়ান্তর না দেখে রুবচিচের এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বাফুফে। বাদল কাল জানালেন, ‘কোচের এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এজেন্ট বলেছেন, রুবচিচ এখন পারিবারিক ঝামেলায় ক্রোয়েশিয়াতেই আছেন। দু-একদিনের মধ্যে বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এ পর্যন্তই জানি।’
বাফুফের এই সহসভাপতি কাল অবশ্য নতুন একটা তথ্য দিয়েছেন, ‘রুবচিচ আমাদের জানিয়েছিল, বিশ্বকাপ প্রাকবাছাই ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল নিয়ে তিনি পাকিস্তান যেতে চান না। পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে তাঁর ভয় আছে। তবে রুবচিচের মতো একজন ভদ্রলোক এই কারণ দেখিয়ে কর্মস্থল ছাড়বেন এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৯ জুন ঢাকায়, ৩ জুলাই লাহোরে ফিরতি ম্যাচ। নিরাপত্তাকে কারণ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে অনেক দিন ধরেই পশ্চিমা দলগুলো পাকিস্তান যাচ্ছে না। বাংলাদেশ কেন যাচ্ছে এমন প্রশ্নে বাদলের উত্তর, ‘আমরা পাকিস্তানকে ফিরতি ম্যাচটাও ঢাকায় খেলতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে বলেই যেতে রাজি হয়েছি।’
ঠিকমতো বেতন না পাওয়ায় রুবচিচ চলে যেতে পারেন—এমন সম্ভাবনার কথাও অনেকের মুখে। সেটি নাকচ করে দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘কোচ একবারে ৩-৪ মাসের বেতন নিতেন। তাঁর বেতন বাকি থাকলে তা বাফুফের হিসাব বিভাগেই আছে। চাইলে যেকোনো সময়ই নিতে পারেন।’
রুবচিচ ফিরলে হয়তো আসল ঘটনা জানা যাবে। তবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকাটা একটু রহস্যজনক তো মনে হয়ই।
ফিফার নির্বাচন উপলক্ষে সে সময় জুরিখে ছিলেন বাফুফের জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়। তখন ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘রুবচিচ কয়েক দিন আগে তাঁকে বলেছিলেন, পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে যেতে পারেন। প্রয়োজন শেষে কয়েক দিনের মধ্যেই ঢাকা ফিরবেন।’
সপ্তাহ গড়িয়ে গেল। রুবচিচ বাফুফের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। কবে ফিরবেন কেউ জানে না। আদৌ ফিরবেন কি না, সংশয় দানা বাঁধছে। রুবচিচের কোনো ফোন নম্বর নেই বাফুফের কাছে। এমনকি ই-মেইল ঠিকানাও নাকি নেই!
উপায়ান্তর না দেখে রুবচিচের এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বাফুফে। বাদল কাল জানালেন, ‘কোচের এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এজেন্ট বলেছেন, রুবচিচ এখন পারিবারিক ঝামেলায় ক্রোয়েশিয়াতেই আছেন। দু-একদিনের মধ্যে বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এ পর্যন্তই জানি।’
বাফুফের এই সহসভাপতি কাল অবশ্য নতুন একটা তথ্য দিয়েছেন, ‘রুবচিচ আমাদের জানিয়েছিল, বিশ্বকাপ প্রাকবাছাই ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল নিয়ে তিনি পাকিস্তান যেতে চান না। পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে তাঁর ভয় আছে। তবে রুবচিচের মতো একজন ভদ্রলোক এই কারণ দেখিয়ে কর্মস্থল ছাড়বেন এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৯ জুন ঢাকায়, ৩ জুলাই লাহোরে ফিরতি ম্যাচ। নিরাপত্তাকে কারণ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে অনেক দিন ধরেই পশ্চিমা দলগুলো পাকিস্তান যাচ্ছে না। বাংলাদেশ কেন যাচ্ছে এমন প্রশ্নে বাদলের উত্তর, ‘আমরা পাকিস্তানকে ফিরতি ম্যাচটাও ঢাকায় খেলতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে বলেই যেতে রাজি হয়েছি।’
ঠিকমতো বেতন না পাওয়ায় রুবচিচ চলে যেতে পারেন—এমন সম্ভাবনার কথাও অনেকের মুখে। সেটি নাকচ করে দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘কোচ একবারে ৩-৪ মাসের বেতন নিতেন। তাঁর বেতন বাকি থাকলে তা বাফুফের হিসাব বিভাগেই আছে। চাইলে যেকোনো সময়ই নিতে পারেন।’
রুবচিচ ফিরলে হয়তো আসল ঘটনা জানা যাবে। তবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকাটা একটু রহস্যজনক তো মনে হয়ই।
No comments