পিপিপিতে এবারও বরাদ্দ তিন হাজার কোটি টাকা
২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) জন্য তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় বাজেটে তৃতীয়বারের মতো এ ধরনের প্রস্তাব করা হলো।
পিপিপি বাবদ আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাব করা তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা হলো বাংলাদেশ অবকাঠামো অর্থায়ন তহবিলের (বিআইএফএফ) জন্য। ৪০০ কোটি টাকা থাকবে বাণিজ্যিকভাবে আপাতত অলাভজনক কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনসেবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পিপিপি প্রকল্পগুলোতে ‘ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ড’ হিসেবে। আর ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে পিপিপি প্রকল্পের কারিগরি সহায়তার জন্য।
আগামী অর্থবছরের জন্য পিপিপির আওতায় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয় সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘সরকারি বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদান সাপেক্ষে বিনিয়োগ বিবেচনার প্রস্তাব করছি।’
বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে না এলেও এই প্রস্তাবটি মূলত অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া। অর্থবিল ঘেঁটেও দেখা যায়, এই বন্ডে বিনিয়োগ করলে অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ‘পিপিপির কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে এবং এতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমরা বিআইএফএফ গঠন করেছিলাম। এ তহবিলটিকে একটি কোম্পানি হিসেবে রূপান্তর করেছি এবং আগামী অর্থবছর থেকেই এ কোম্পানি বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।’
পিপিপিতে ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথমবার দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও কোনো টাকা খরচ হয়নি ওই বছর। দ্বিতীয়বার ২০১০-১১ অর্থবছরে আবারও বরাদ্দ রাখা হয় তিন হাজার কোটি টাকা। কিন্তু টাকা খরচে এবারও ব্যর্থতা।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘পিপিপি আমাদের দেশের জন্য একটি নতুন ধারণা এবং অবকাঠামো খাতে পিপিপি চুক্তিগুলো সাধারণত বেশ দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে। এ জন্য সফলভাবে পিপিপি বাস্তবায়ন করতে হলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত।’
তবে বাজেট বক্তৃতায় আশাবাদ ব্যক্ত করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘পিপিপির ভিত্তিতে ৪১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দরপত্র ডাকা হয়েছে। কালিয়াকৈরে একটি হাইটেক পার্ক, কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার প্রযুক্তি পার্ক এবং টেলিযোগাযোগ খাতে দুটি ও স্যানিটেশন খাতে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এ ছাড়া ঢাকার চারপাশে স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলার বিষয়টি বিবেচনা করছি।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পিপিপি প্রকল্পের জন্য কারিগরি সহায়তা ও ভায়াবিলিটি গ্যাপের জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে।
পিপিপির আওতায় এযাবৎ সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়েছে এবং আটটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেয়র হানিফ উড়ালসেতু পিপিপির আওতায় নির্মিত হচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা এবং ভূমি নিবন্ধনব্যবস্থা ডিজিটাইজ করার কাজ পিপিপির মাধ্যমে করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
অর্থমন্ত্রী গতবারও মংলা, চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং টার্মিনাল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির বিষয়ে একই বক্তব্য দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, পিপিপির উদ্যোগে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্মাণ, মালিকানা, পরিচালনা ও হস্তান্তর (বিওওটি); নির্মাণ, পরিচালনা ও হস্তান্তর (বিওটি) এবং নির্মাণ, মালিকানা ও পরিচালনা (বিওও)—এ তিনটি পদ্ধতি রয়েছে।
পিপিপিতে অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ অবকাঠামো অর্থায়ন তহবিল লিমিটেড (বিআইএফএফএল) নামের যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে, তার পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা, আর অনুমোদিত মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘পিপিপির উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিনিয়োগের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এ তহবিলে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে বিআইএফএফএলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ড ব্যবহারের মাধ্যমে এবার বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করা যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। অর্থাৎ যেসব প্রকল্প থেকে এই মুহূর্তে ততটা মুনাফা পাওয়া যাবে না, অথচ প্রকল্পগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোতে ভর্তুকির মতো দেওয়া হবে এই ফান্ড থেকে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ছয় বছর ধরে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে এই গ্যাপ ফান্ড থেকে।’
যোগাযোগ করা হলে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা আকবর আলি খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পিপিপি দরকার হলো মূলত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সড়ক খাতে। কিন্তু তিনটি খাতেই কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন, বিদ্যুতে বিনিয়োগ করতে গেলে গ্যাসের নিশ্চয়তা দরকার। কিন্তু সরকারের পক্ষে এ নিশ্চয়তা দেওয়া প্রায় মুশকিল। আবার সড়ক খাতে বিনিয়োগ করতে গেলে দরকার জমি অধিগ্রহণ। এতেও জটিলতা দেখা দেয়। ভালো বিনিয়োগকারীরা সংগত কারণেই এতে আকৃষ্ট হন না।’
সরকারের নীতি ঠিক না থাকা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করতে না পারার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন আকবর আলি খান।
আকবর আলি খান আরও বলেন, ‘পিপিপিতে বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করতে হলে আগে পিপিপির উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তার পরও যদি কেউ না আসে, পিপিপির জন্য বসে থাকলে চলবে না। উল্লিখিত খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে হবে সরকারকেই।’
পিপিপি বাবদ আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাব করা তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা হলো বাংলাদেশ অবকাঠামো অর্থায়ন তহবিলের (বিআইএফএফ) জন্য। ৪০০ কোটি টাকা থাকবে বাণিজ্যিকভাবে আপাতত অলাভজনক কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনসেবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পিপিপি প্রকল্পগুলোতে ‘ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ড’ হিসেবে। আর ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে পিপিপি প্রকল্পের কারিগরি সহায়তার জন্য।
আগামী অর্থবছরের জন্য পিপিপির আওতায় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয় সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘সরকারি বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদান সাপেক্ষে বিনিয়োগ বিবেচনার প্রস্তাব করছি।’
বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে না এলেও এই প্রস্তাবটি মূলত অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া। অর্থবিল ঘেঁটেও দেখা যায়, এই বন্ডে বিনিয়োগ করলে অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ‘পিপিপির কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে এবং এতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমরা বিআইএফএফ গঠন করেছিলাম। এ তহবিলটিকে একটি কোম্পানি হিসেবে রূপান্তর করেছি এবং আগামী অর্থবছর থেকেই এ কোম্পানি বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।’
পিপিপিতে ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথমবার দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও কোনো টাকা খরচ হয়নি ওই বছর। দ্বিতীয়বার ২০১০-১১ অর্থবছরে আবারও বরাদ্দ রাখা হয় তিন হাজার কোটি টাকা। কিন্তু টাকা খরচে এবারও ব্যর্থতা।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘পিপিপি আমাদের দেশের জন্য একটি নতুন ধারণা এবং অবকাঠামো খাতে পিপিপি চুক্তিগুলো সাধারণত বেশ দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে। এ জন্য সফলভাবে পিপিপি বাস্তবায়ন করতে হলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত।’
তবে বাজেট বক্তৃতায় আশাবাদ ব্যক্ত করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘পিপিপির ভিত্তিতে ৪১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দরপত্র ডাকা হয়েছে। কালিয়াকৈরে একটি হাইটেক পার্ক, কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার প্রযুক্তি পার্ক এবং টেলিযোগাযোগ খাতে দুটি ও স্যানিটেশন খাতে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এ ছাড়া ঢাকার চারপাশে স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলার বিষয়টি বিবেচনা করছি।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পিপিপি প্রকল্পের জন্য কারিগরি সহায়তা ও ভায়াবিলিটি গ্যাপের জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে।
পিপিপির আওতায় এযাবৎ সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়েছে এবং আটটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেয়র হানিফ উড়ালসেতু পিপিপির আওতায় নির্মিত হচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা এবং ভূমি নিবন্ধনব্যবস্থা ডিজিটাইজ করার কাজ পিপিপির মাধ্যমে করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
অর্থমন্ত্রী গতবারও মংলা, চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং টার্মিনাল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির বিষয়ে একই বক্তব্য দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, পিপিপির উদ্যোগে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্মাণ, মালিকানা, পরিচালনা ও হস্তান্তর (বিওওটি); নির্মাণ, পরিচালনা ও হস্তান্তর (বিওটি) এবং নির্মাণ, মালিকানা ও পরিচালনা (বিওও)—এ তিনটি পদ্ধতি রয়েছে।
পিপিপিতে অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ অবকাঠামো অর্থায়ন তহবিল লিমিটেড (বিআইএফএফএল) নামের যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে, তার পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা, আর অনুমোদিত মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘পিপিপির উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিনিয়োগের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এ তহবিলে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে বিআইএফএফএলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ড ব্যবহারের মাধ্যমে এবার বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করা যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। অর্থাৎ যেসব প্রকল্প থেকে এই মুহূর্তে ততটা মুনাফা পাওয়া যাবে না, অথচ প্রকল্পগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোতে ভর্তুকির মতো দেওয়া হবে এই ফান্ড থেকে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ছয় বছর ধরে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে এই গ্যাপ ফান্ড থেকে।’
যোগাযোগ করা হলে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা আকবর আলি খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পিপিপি দরকার হলো মূলত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সড়ক খাতে। কিন্তু তিনটি খাতেই কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন, বিদ্যুতে বিনিয়োগ করতে গেলে গ্যাসের নিশ্চয়তা দরকার। কিন্তু সরকারের পক্ষে এ নিশ্চয়তা দেওয়া প্রায় মুশকিল। আবার সড়ক খাতে বিনিয়োগ করতে গেলে দরকার জমি অধিগ্রহণ। এতেও জটিলতা দেখা দেয়। ভালো বিনিয়োগকারীরা সংগত কারণেই এতে আকৃষ্ট হন না।’
সরকারের নীতি ঠিক না থাকা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করতে না পারার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন আকবর আলি খান।
আকবর আলি খান আরও বলেন, ‘পিপিপিতে বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করতে হলে আগে পিপিপির উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তার পরও যদি কেউ না আসে, পিপিপির জন্য বসে থাকলে চলবে না। উল্লিখিত খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে হবে সরকারকেই।’
No comments