গাদ্দাফির বিরুদ্ধে ধর্ষণের নির্দেশ দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি সরকারবিরোধী বিদ্রোহ দমনের লক্ষ্যে বিদ্রোহীদের পক্ষের নারীদের ধর্ষণ করার জন্য তাঁর সেনাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ জন্য যৌন উত্তেজক ভায়াগ্রা-জাতীয় ওষুধ সেনাদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) তদন্তকারীরা এই প্রমাণ পেয়েছেন। গতকাল বুধবার নিউইয়র্কে এসব কথা বলেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি লুইস মোরেনো ওকাম্পো।
ওকাম্পো জানান, নতুন এসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে ও গোয়েন্দাপ্রধানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ গঠন করা হতে পারে। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি আরও বলেন, তদন্তকারীরা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছেন, লিবিয়া সরকার ভায়াগ্রা-জাতীয় যৌন উত্তেজক ওষুধের কয়েকটি কনটেইনার কিনেছে। ধর্ষণ বাড়ানোই ছিল এর লক্ষ্য।
ওকাম্পো বলেন, ‘গাদ্দাফি নিজে তাঁর সেনাদের ধর্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা এমন কিছু তথ্য পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষণকে গাদ্দাফি নিপীড়নের নতুন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। শুরুর দিকে আমরা এটা সন্দেহ করেছিলাম। তবে এখন আমরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছি যে গাদ্দাফি সত্যিই ধর্ষণকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আমি বলব, এটা সত্যিই জঘন্য, সীমার বাইরে।’
গাদ্দাফি ও তাঁর সেনাদের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের ব্যাপারে লিবিয়ার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
লিবিয়ার নাগরিক ইমান আল ওবেইদি গত মার্চে ত্রিপোলির একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, গাদ্দাফির অনুগত সেনারা তাঁকে ধর্ষণ করেছে। পরে ওবেইদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তিনি লিবিয়া থেকে পালিয়ে কাতারে যেতে সক্ষম হন। কাতার কর্তৃপক্ষ তাঁকে লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলে থাকা শহর বেনগাজিতে পাঠায়। এখন তিনি রোমানিয়ায় একটি শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন।
লিবিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে সাইফ আল ইসলাম ও গোয়েন্দাপ্রধান আবদুল্লাহ আল সানুসির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য গত মাসে আইসিসির কাছে আবেদন করেন ওকাম্পো।
ওকাম্পো জানিয়েছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে আইসিসি তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তিনি লিবিয়ার নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণে নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগও আনবেন।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হতাশা: লিবিয়া অভিযানে তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স। গত বুধবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে তিনি এই হতাশা ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে ন্যাটো জানায়, ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির বাসভবন চত্বরসহ বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিদিন বিমান হামলা চলছে। বুধবারও হামলা চালানো হয়েছে।
ওকাম্পো জানান, নতুন এসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে ও গোয়েন্দাপ্রধানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ গঠন করা হতে পারে। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি আরও বলেন, তদন্তকারীরা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছেন, লিবিয়া সরকার ভায়াগ্রা-জাতীয় যৌন উত্তেজক ওষুধের কয়েকটি কনটেইনার কিনেছে। ধর্ষণ বাড়ানোই ছিল এর লক্ষ্য।
ওকাম্পো বলেন, ‘গাদ্দাফি নিজে তাঁর সেনাদের ধর্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা এমন কিছু তথ্য পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষণকে গাদ্দাফি নিপীড়নের নতুন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। শুরুর দিকে আমরা এটা সন্দেহ করেছিলাম। তবে এখন আমরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছি যে গাদ্দাফি সত্যিই ধর্ষণকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আমি বলব, এটা সত্যিই জঘন্য, সীমার বাইরে।’
গাদ্দাফি ও তাঁর সেনাদের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের ব্যাপারে লিবিয়ার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
লিবিয়ার নাগরিক ইমান আল ওবেইদি গত মার্চে ত্রিপোলির একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, গাদ্দাফির অনুগত সেনারা তাঁকে ধর্ষণ করেছে। পরে ওবেইদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তিনি লিবিয়া থেকে পালিয়ে কাতারে যেতে সক্ষম হন। কাতার কর্তৃপক্ষ তাঁকে লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলে থাকা শহর বেনগাজিতে পাঠায়। এখন তিনি রোমানিয়ায় একটি শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন।
লিবিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে সাইফ আল ইসলাম ও গোয়েন্দাপ্রধান আবদুল্লাহ আল সানুসির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য গত মাসে আইসিসির কাছে আবেদন করেন ওকাম্পো।
ওকাম্পো জানিয়েছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে আইসিসি তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তিনি লিবিয়ার নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণে নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগও আনবেন।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হতাশা: লিবিয়া অভিযানে তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স। গত বুধবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে তিনি এই হতাশা ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে ন্যাটো জানায়, ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির বাসভবন চত্বরসহ বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিদিন বিমান হামলা চলছে। বুধবারও হামলা চালানো হয়েছে।
No comments