বিএনপির ‘না’
সবকিছুতেই বিএনপির ‘না’। সর্বশেষটি হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত। নির্বাচনী আইন সংস্কার ও নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলছে নির্বাচন কমিশনের। এরই মধ্যে কিছু রাজনৈতিক দল এই সংলাপে যোগ দিয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে। দেশের প্রধান বিরোধী দল এই সংলাপে যোগ দেবে, এটাই ছিল স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত।
বিএনপি সংসদে যাচ্ছে না। আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখা না-রাখা নিয়ে যখন আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে, তখন বিএনপি ঘোষণা করল, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল মানবে না, নতুন কোনো প্রস্তাবও দেবে না, এ নিয়ে সংসদে বা সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনাও নয়। এখন নির্বাচন কমিশনের সংলাপের ব্যাপারেও বিএনপির ‘না’। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এমন কোনো দলের সব ক্ষেত্রে এ ধরনের নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সেই পথটিই বেছে নিয়েছে।
গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরকারের যেকোনো কাজকর্মের সমালোচনা ও বিরোধিতা করার জায়গা সংসদ। গণতন্ত্রকে রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে মেনে নিয়েও বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে এর উল্টো সংস্কৃতি, বিরোধী দল মানেই সংসদে না যাওয়া। সংসদ বাদ দিয়ে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির ওপর ভর করা। বিএনপির পক্ষ থেকে বুধবার একটি বাজেট-প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়েছে। দেশের প্রধান বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপনের বিষয়টি নিশ্চয়ই ইতিবাচক; কিন্তু সংসদে গিয়ে এ প্রস্তাব দিলে সমস্যা ছিল কি? বিএনপি যদি মনে করে সংসদে এই প্রস্তাব দিয়ে কোনো লাভ হতো না, তবে আমাদের জবাব হচ্ছে, যদি সংসদে প্রস্তাব দিয়ে কাজ না হয়, তবে বাইরে দেওয়া প্রস্তাব কি কোনো কাজে আসবে? সংসদে গিয়ে দিলে অন্তত বাজেট নিয়ে কার্যকর আলাপ-আলোচনার সংস্কৃতি গড়ে উঠত।
নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন সংস্কার বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটদানের যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে বিএনপি যদি তাদের মতামত নির্বাচন কমিশনের কাছে না জানায়, তবে তারা কার কাছে জানাতে চায়? বিএনপির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে বলা হয়েছে যে ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি তারা মানবে না। আমাদের কথা হচ্ছে, তাদের এই বিরোধিতার যদি কোনো যৌক্তিক দিক থাকে, তবে তা তারা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জানিয়ে আসছে না কেন? গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও গণতন্ত্রের কথা বলে সব ধরনের আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতা।
প্রধান বিরোধী দলের প্রতি আবারও সেই পুরোনো আহ্বান, সবকিছুতেই ‘না’—এই অবস্থান থেকে সরে আসুন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে সংসদে যেতে হবে, সেখানে গিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে হবে। যেকোনো রাজনৈতিক বিরোধের ক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনাকেই সমাধানের পথ মানতে হবে। গণতন্ত্রে এর বিকল্প পথ নেওয়া মানেই গণতন্ত্রের পথ থেকে সরে আসা। একই সঙ্গে সরকারেরও নীতি হওয়া উচিত বিরোধী দলের ন্যায়সংগত দাবিদাওয়া আমলে নেওয়া। সবকিছু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে চাপিয়ে দেওয়াও সমীচীন নয়।
বিএনপি সংসদে যাচ্ছে না। আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখা না-রাখা নিয়ে যখন আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে, তখন বিএনপি ঘোষণা করল, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল মানবে না, নতুন কোনো প্রস্তাবও দেবে না, এ নিয়ে সংসদে বা সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনাও নয়। এখন নির্বাচন কমিশনের সংলাপের ব্যাপারেও বিএনপির ‘না’। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এমন কোনো দলের সব ক্ষেত্রে এ ধরনের নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সেই পথটিই বেছে নিয়েছে।
গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরকারের যেকোনো কাজকর্মের সমালোচনা ও বিরোধিতা করার জায়গা সংসদ। গণতন্ত্রকে রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে মেনে নিয়েও বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে এর উল্টো সংস্কৃতি, বিরোধী দল মানেই সংসদে না যাওয়া। সংসদ বাদ দিয়ে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির ওপর ভর করা। বিএনপির পক্ষ থেকে বুধবার একটি বাজেট-প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়েছে। দেশের প্রধান বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপনের বিষয়টি নিশ্চয়ই ইতিবাচক; কিন্তু সংসদে গিয়ে এ প্রস্তাব দিলে সমস্যা ছিল কি? বিএনপি যদি মনে করে সংসদে এই প্রস্তাব দিয়ে কোনো লাভ হতো না, তবে আমাদের জবাব হচ্ছে, যদি সংসদে প্রস্তাব দিয়ে কাজ না হয়, তবে বাইরে দেওয়া প্রস্তাব কি কোনো কাজে আসবে? সংসদে গিয়ে দিলে অন্তত বাজেট নিয়ে কার্যকর আলাপ-আলোচনার সংস্কৃতি গড়ে উঠত।
নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন সংস্কার বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটদানের যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে বিএনপি যদি তাদের মতামত নির্বাচন কমিশনের কাছে না জানায়, তবে তারা কার কাছে জানাতে চায়? বিএনপির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে বলা হয়েছে যে ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি তারা মানবে না। আমাদের কথা হচ্ছে, তাদের এই বিরোধিতার যদি কোনো যৌক্তিক দিক থাকে, তবে তা তারা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জানিয়ে আসছে না কেন? গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও গণতন্ত্রের কথা বলে সব ধরনের আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতা।
প্রধান বিরোধী দলের প্রতি আবারও সেই পুরোনো আহ্বান, সবকিছুতেই ‘না’—এই অবস্থান থেকে সরে আসুন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে সংসদে যেতে হবে, সেখানে গিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে হবে। যেকোনো রাজনৈতিক বিরোধের ক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনাকেই সমাধানের পথ মানতে হবে। গণতন্ত্রে এর বিকল্প পথ নেওয়া মানেই গণতন্ত্রের পথ থেকে সরে আসা। একই সঙ্গে সরকারেরও নীতি হওয়া উচিত বিরোধী দলের ন্যায়সংগত দাবিদাওয়া আমলে নেওয়া। সবকিছু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে চাপিয়ে দেওয়াও সমীচীন নয়।
No comments