সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা
আগামী অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন খাতে মোট ২২ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এই বরাদ্দ প্রস্তাব উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে এই বরাদ্দ ১৯ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা, যা উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটের ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীকে চারটি স্তরে বিন্যস্ত করে দারিদ্র্য নিরসনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা বলা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বাজেট প্রস্তাবে বলেন, বয়স্ক-ভাতা কার্যক্রমের আওতায় ২০১১-১২ অর্থবছরে ২৪ লাখ ৭৫ হাজার সুবিধাভোগীকে আর্থিক সহায়তা করা হবে। এই বাবদ ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রথমবারের মতো ‘সার্বজনীন পেনশন ইন্স্যুরেন্স স্কিম’ চালুর ঘোষণা করা হয়েছে। এ বাবদ ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া মহানগর ও জেলা শহরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসনের জন্য প্রথমবারের মতো ১০ কোটি টাকা বরাদ্দেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীর জন্য দুস্থ-ভাতা বাবদ ৩৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীর সংখ্যা নয় লাখ ২০ হাজার। অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১০২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে দুই লাখ ৮৬ হাজার অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা পাবে।
চলতি অর্থবছরে ‘দরিদ্র মায়ের মাতৃত্বকালীন ভাতা’ বাবদ বরাদ্দ ছিল ৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরে এ বাবদ ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯২ হাজার করা হয়েছে।
শহর অঞ্চলে কর্মজীবী দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা বাবদ ৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে এ কার্যক্রমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বর্তমানের ৬৭ হাজার থেকে বেড়ে ৭৭ হাজার ৬০০ হবে। এ ছাড়া মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে আগামী অর্থবছরে ২৭১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সার্বিক কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমে আগামী অর্থবছরে ২১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চলতি বাজেটে ‘এসিডদগ্ধ মহিলা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন এবং মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান’ তহবিল প্রথমবারের মতো গঠন করা হয়। এই খাতে বরাদ্দ ছিল পাঁচ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে তা ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সুবিধাবঞ্চিত, পথশিশু, এতিম ও অসহায় শিশুদের কল্যাণে সরকারি এতিমখানার জন্য ২৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বেসরকারি এতিমখানার জন্য ৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া পথশিশুদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে স্থাপিত শিশু বিকাশকেন্দ্রের জন্য আগামী অর্থবছরে তিন কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ভিক্ষাবৃত্তি অবসানের জন্য নেওয়া কর্মসূচিকে আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য আগামী অর্থবছরে সাত কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান’ কর্মসূচির আওতায় আগামী অর্থবছরে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছরে এ কর্মসূচির অর্জন আশাব্যঞ্জক। এর ফলে পল্লি এলাকার প্রায় ১৫ লাখ মানুষের সাময়িক কর্মসংস্থান করা সম্ভব হবে।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গৃহীত প্রকল্পের অংশ হিসেবে পল্লি অঞ্চলে কর্মস্থানমূলক গ্রামীণ রাস্তাঘাট মেরামত প্রকল্পে ১৩৪ কোটি টাকা, গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি সম্পদ সংরক্ষণ প্রকল্পে ৩৮ কোটি, মঙ্গাপীড়িত হতদরিদ্র মানুষের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্প এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পের জন্য ১১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকাসহ দারিদ্র্য বিমোচনমূলক বিভিন্ন প্রকল্পে চার হাজার ২৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া খোলা বাজারে কম মূল্যে খাদ্য বিক্রি, কাজের বিনিময়ে খাদ্য, ভিজিএফ, ভিজিডি, টিআর (খাদ্য), জিআর (খাদ্য) এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে খাদ্য-সহায়তার আদলে খাদ্যনিরাপত্তামূলক কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন পরিমাণ খাদ্য বিতরণের বিপরীতে মোট সাত হাজার ১০২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে এই বরাদ্দ ১৯ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা, যা উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটের ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীকে চারটি স্তরে বিন্যস্ত করে দারিদ্র্য নিরসনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা বলা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বাজেট প্রস্তাবে বলেন, বয়স্ক-ভাতা কার্যক্রমের আওতায় ২০১১-১২ অর্থবছরে ২৪ লাখ ৭৫ হাজার সুবিধাভোগীকে আর্থিক সহায়তা করা হবে। এই বাবদ ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রথমবারের মতো ‘সার্বজনীন পেনশন ইন্স্যুরেন্স স্কিম’ চালুর ঘোষণা করা হয়েছে। এ বাবদ ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া মহানগর ও জেলা শহরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসনের জন্য প্রথমবারের মতো ১০ কোটি টাকা বরাদ্দেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীর জন্য দুস্থ-ভাতা বাবদ ৩৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীর সংখ্যা নয় লাখ ২০ হাজার। অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১০২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে দুই লাখ ৮৬ হাজার অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা পাবে।
চলতি অর্থবছরে ‘দরিদ্র মায়ের মাতৃত্বকালীন ভাতা’ বাবদ বরাদ্দ ছিল ৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরে এ বাবদ ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯২ হাজার করা হয়েছে।
শহর অঞ্চলে কর্মজীবী দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা বাবদ ৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে এ কার্যক্রমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বর্তমানের ৬৭ হাজার থেকে বেড়ে ৭৭ হাজার ৬০০ হবে। এ ছাড়া মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে আগামী অর্থবছরে ২৭১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সার্বিক কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমে আগামী অর্থবছরে ২১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চলতি বাজেটে ‘এসিডদগ্ধ মহিলা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন এবং মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান’ তহবিল প্রথমবারের মতো গঠন করা হয়। এই খাতে বরাদ্দ ছিল পাঁচ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে তা ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সুবিধাবঞ্চিত, পথশিশু, এতিম ও অসহায় শিশুদের কল্যাণে সরকারি এতিমখানার জন্য ২৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বেসরকারি এতিমখানার জন্য ৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া পথশিশুদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে স্থাপিত শিশু বিকাশকেন্দ্রের জন্য আগামী অর্থবছরে তিন কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ভিক্ষাবৃত্তি অবসানের জন্য নেওয়া কর্মসূচিকে আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য আগামী অর্থবছরে সাত কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান’ কর্মসূচির আওতায় আগামী অর্থবছরে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছরে এ কর্মসূচির অর্জন আশাব্যঞ্জক। এর ফলে পল্লি এলাকার প্রায় ১৫ লাখ মানুষের সাময়িক কর্মসংস্থান করা সম্ভব হবে।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গৃহীত প্রকল্পের অংশ হিসেবে পল্লি অঞ্চলে কর্মস্থানমূলক গ্রামীণ রাস্তাঘাট মেরামত প্রকল্পে ১৩৪ কোটি টাকা, গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি সম্পদ সংরক্ষণ প্রকল্পে ৩৮ কোটি, মঙ্গাপীড়িত হতদরিদ্র মানুষের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্প এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পের জন্য ১১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকাসহ দারিদ্র্য বিমোচনমূলক বিভিন্ন প্রকল্পে চার হাজার ২৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া খোলা বাজারে কম মূল্যে খাদ্য বিক্রি, কাজের বিনিময়ে খাদ্য, ভিজিএফ, ভিজিডি, টিআর (খাদ্য), জিআর (খাদ্য) এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে খাদ্য-সহায়তার আদলে খাদ্যনিরাপত্তামূলক কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন পরিমাণ খাদ্য বিতরণের বিপরীতে মোট সাত হাজার ১০২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
No comments