তদারকি ও বাস্তবায়ন শক্তিশালী করার তাগিদ এমসিসিআইয়ের
২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটের বিভিন্ন ইতিবাচক দিককে স্বাগত জানালেও বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। সংগঠনটি বলছে, বাজেট তদারকি ও বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা প্রয়োজন, প্রয়োজন অর্থনীতির উচ্চাভিলাষী প্রবৃদ্ধি অর্জনের স্বার্থে সম্প্রসারণ করা।
এমসিসিআইর সহসভাপতি নিহাদ কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এমসিসিআই বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেছে।
এমসিসিআই মনে করে, আগামী বাজেটে অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন দুটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। বাজেটের ঘাটতি অর্থায়নের প্রধান অংশই আসবে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে—এই তথ্য উল্লেখ করে এমসিসিআই বলেছে, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ সীমিত থাকা উচিত।’ এর পরিবর্তে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলো যে আর্থিক সহায়তা পাবে, তার একটা ভালো অংশ পাওয়ার লক্ষ্যে সরকারকে চেষ্টা করতে হবে বলে এমসিসিআই মনে করে।
এমসিসিআই এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে সরকার যদি ব্যাংক খাত থেকে অধিক ঋণ গ্রহণ করে, তাহলে দেশের ব্যবসা ও শিল্প খাতে ঋণ গ্রহণের সুযোগ কমে যাবে। এমসিসিআই আরও বলেছে, যদি বাজেটে প্রদর্শিত প্রবৃদ্ধি অনুযায়ী অধিক ঋণ গ্রহণে বেসরকারি খাতের সুযোগ বৃদ্ধি পায়, তাহলে কর্মসংস্থান ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে এই খাতের অবদান বাড়বে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ করের আওতা বাড়াতে হবে। তা হলে করদাতাদের ওপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ করের চাপ পড়বে না।
এমসিসিআই মনে করে, বাজেটে দেশের অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা গেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পটভূমিতে তৈরি করা এই বাজেট দেশের চাহিদা উদ্দীপ্ত করবে, দেশীয় শিল্পকে যথাযথ সুরক্ষা দেবে এবং মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তাবলয় সৃষ্টির জন্য সহায়ক হবে।
বাজেটে কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং যোগাযোগ খাতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করে এমসিসিআই। এমসিসিআই আরও মনে করে, রেল যোগাযোগের জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় থাকা বাঞ্ছনীয়। একটি শক্তিশালী রেলপথব্যবস্থা সড়কের ওপর চাপ কমিয়ে আনবে এবং যাত্রী ও দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে খরচ কমাবে এবং দক্ষতা বাড়াবে।
এমসিসিআই বলেছে, তিন হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) ব্যবহার করার লক্ষ্যে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণের প্রয়োজন। এই বরাদ্দের দ্রুত ব্যবহার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এডিপিতে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে এমসিসিআই।
সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অধিকতর গুরুত্বারোপ করায় সন্তোষ প্রকাশ করে এমসিসিআই বলেছে, কয়লানীতি অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে। দেশের বিদ্যমান কয়লা সম্পদ আহরণে উন্মুক্ত আহরণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পুনর্বাসন এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব কমিয়ে আনতে যথোপযুক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গ্যাসস্বল্পতায় অনেক শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে এমসিসিআই নতুন গ্যাস অনুসন্ধানে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপের পরামর্শ দিয়েছে। বলেছে, যে হারে জ্বালানি খরচ বাড়ছে, তার জন্য দেশের সম্পদ যথাযথভাবে আহরণ করতে হবে। অন্যথায় জ্বালানি খরচ দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ এবং সম্ভবত অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করবে।
এমসিসিআই ব্যাংক খাত বা অন্য কোনো খাত থেকে হোক, শিল্পঋণ পাওয়া সহজতর করার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে সেই অর্থ বা তহবিল যে শিল্প খাতেই থাকছে ও কোনো অনুৎপাদনশীল খাতে যাচ্ছে না, তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
এমসিসিআই মনে করে, খামার ও মৎস্য খাতের ওপর পাঁচ শতাংশ আয়কর আরোপ খাদ্যমূল্য বাড়িয়ে দেবে। অথচ এই খাত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আবার করপোরেট বা প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর না কমিয়ে এবং কোম্পানির লাভ-লোকসানের বিবেচনা না করে টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম ০.৫ শতাংশ করারোপ যৌক্তিক নয় বলে মনে করে এমসিসিআই।
রপ্তানি আয়ের ওপর উৎসে আয়কর ০.৪-০.৫ শতাংশ থেকে ১.৫ শতাংশে বাড়ানোয় এমসিসিআই হতাশা ব্যক্ত করে বলেছে, এটি রপ্তানিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। বাজেটে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়ায় এমসিসিআই হতাশা প্রকাশ করে বলেছে, এই ধরনের ব্যবস্থা প্রকৃত ও নিয়মিত করদাতাদের জন্য বৈষম্যমূলক।
পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা এবং লেনদেনে শৃঙ্খলা আনার স্বার্থে বিও হিসাবধারীদের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করে এমসিসিআই।
এমসিসিআই সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের ওপর করারোপ সমতা আনয়ন, বিনিয়োগসীমা সুবিধা এক কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো ও ব্যবসার সামাজিক দায়বদ্ধতার ছাড় আট কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানোকে স্বাগত জানিয়েছে।
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করমুক্ত আয়সীমা দুই লাখ টাকা করা উচিত বলে মনে করে এমসিসিআই।
এমসিসিআইর সহসভাপতি নিহাদ কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এমসিসিআই বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেছে।
এমসিসিআই মনে করে, আগামী বাজেটে অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন দুটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। বাজেটের ঘাটতি অর্থায়নের প্রধান অংশই আসবে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে—এই তথ্য উল্লেখ করে এমসিসিআই বলেছে, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ সীমিত থাকা উচিত।’ এর পরিবর্তে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলো যে আর্থিক সহায়তা পাবে, তার একটা ভালো অংশ পাওয়ার লক্ষ্যে সরকারকে চেষ্টা করতে হবে বলে এমসিসিআই মনে করে।
এমসিসিআই এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে সরকার যদি ব্যাংক খাত থেকে অধিক ঋণ গ্রহণ করে, তাহলে দেশের ব্যবসা ও শিল্প খাতে ঋণ গ্রহণের সুযোগ কমে যাবে। এমসিসিআই আরও বলেছে, যদি বাজেটে প্রদর্শিত প্রবৃদ্ধি অনুযায়ী অধিক ঋণ গ্রহণে বেসরকারি খাতের সুযোগ বৃদ্ধি পায়, তাহলে কর্মসংস্থান ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে এই খাতের অবদান বাড়বে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ করের আওতা বাড়াতে হবে। তা হলে করদাতাদের ওপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ করের চাপ পড়বে না।
এমসিসিআই মনে করে, বাজেটে দেশের অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা গেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পটভূমিতে তৈরি করা এই বাজেট দেশের চাহিদা উদ্দীপ্ত করবে, দেশীয় শিল্পকে যথাযথ সুরক্ষা দেবে এবং মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তাবলয় সৃষ্টির জন্য সহায়ক হবে।
বাজেটে কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং যোগাযোগ খাতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করে এমসিসিআই। এমসিসিআই আরও মনে করে, রেল যোগাযোগের জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় থাকা বাঞ্ছনীয়। একটি শক্তিশালী রেলপথব্যবস্থা সড়কের ওপর চাপ কমিয়ে আনবে এবং যাত্রী ও দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে খরচ কমাবে এবং দক্ষতা বাড়াবে।
এমসিসিআই বলেছে, তিন হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) ব্যবহার করার লক্ষ্যে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণের প্রয়োজন। এই বরাদ্দের দ্রুত ব্যবহার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এডিপিতে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে এমসিসিআই।
সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অধিকতর গুরুত্বারোপ করায় সন্তোষ প্রকাশ করে এমসিসিআই বলেছে, কয়লানীতি অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে। দেশের বিদ্যমান কয়লা সম্পদ আহরণে উন্মুক্ত আহরণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পুনর্বাসন এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব কমিয়ে আনতে যথোপযুক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গ্যাসস্বল্পতায় অনেক শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে এমসিসিআই নতুন গ্যাস অনুসন্ধানে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপের পরামর্শ দিয়েছে। বলেছে, যে হারে জ্বালানি খরচ বাড়ছে, তার জন্য দেশের সম্পদ যথাযথভাবে আহরণ করতে হবে। অন্যথায় জ্বালানি খরচ দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ এবং সম্ভবত অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করবে।
এমসিসিআই ব্যাংক খাত বা অন্য কোনো খাত থেকে হোক, শিল্পঋণ পাওয়া সহজতর করার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে সেই অর্থ বা তহবিল যে শিল্প খাতেই থাকছে ও কোনো অনুৎপাদনশীল খাতে যাচ্ছে না, তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
এমসিসিআই মনে করে, খামার ও মৎস্য খাতের ওপর পাঁচ শতাংশ আয়কর আরোপ খাদ্যমূল্য বাড়িয়ে দেবে। অথচ এই খাত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আবার করপোরেট বা প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর না কমিয়ে এবং কোম্পানির লাভ-লোকসানের বিবেচনা না করে টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম ০.৫ শতাংশ করারোপ যৌক্তিক নয় বলে মনে করে এমসিসিআই।
রপ্তানি আয়ের ওপর উৎসে আয়কর ০.৪-০.৫ শতাংশ থেকে ১.৫ শতাংশে বাড়ানোয় এমসিসিআই হতাশা ব্যক্ত করে বলেছে, এটি রপ্তানিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। বাজেটে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়ায় এমসিসিআই হতাশা প্রকাশ করে বলেছে, এই ধরনের ব্যবস্থা প্রকৃত ও নিয়মিত করদাতাদের জন্য বৈষম্যমূলক।
পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা এবং লেনদেনে শৃঙ্খলা আনার স্বার্থে বিও হিসাবধারীদের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করে এমসিসিআই।
এমসিসিআই সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের ওপর করারোপ সমতা আনয়ন, বিনিয়োগসীমা সুবিধা এক কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো ও ব্যবসার সামাজিক দায়বদ্ধতার ছাড় আট কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানোকে স্বাগত জানিয়েছে।
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করমুক্ত আয়সীমা দুই লাখ টাকা করা উচিত বলে মনে করে এমসিসিআই।
No comments