নয়াদিল্লির পানিতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক সুপারবাগের সন্ধান
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির পানিতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক ব্যাকটেরিয়া ‘সুপারবাগের’ সন্ধান পাওয়া গেছে। এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্বজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে চিকিৎসকেরা তাগিদ দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিস জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদনের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান। নয়াদিল্লির পানিতে এই প্রথমবারের মতো এমন ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেল। প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, নয়াদিল্লিতে ক্ষুদ্র জলাশয় ও ছোট নদী থেকে পানির ১৭১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫১টি নমুনায় মেটালো-বেটা-ল্যাকটামেজ-১-এর (এনডিএম-১) সন্ধান পাওয়া যায়। আর ট্যাপের পানির ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে এর দুটিতে এনডিএম-১-এর সন্ধান মিলেছে। এনডিএম-১ হলো এমন একটি জিন, যা ব্যাকটেরিয়াকে প্রায় সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধে সক্ষম করে তুলতে পারে। ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম এনডিএম-১ জিন শনাক্ত করা হয়। নয়াদিল্লির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত পানির নমুনায়ও এনডিএম-১ পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১১ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া এনডিএম-১ জিন বহন করে। এর মধ্যে কলেরা ও আমাশয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াও রয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ও এনডিএম-১ ছড়িয়ে পড়া রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। ভারতের অন্যান্য শহর এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে গবেষণা হওয়া দরকার।
গবেষক দলের প্রধান টিম ওয়ালস বলেন, ‘খাবার পানি, ধোয়া ও খাবার তৈরির জন্য ব্যবহূত পানি, ক্ষুদ্র জলাশয় ও ছোট নদী যেখানে ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা করে সেই পানিতে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছি।’ তিনি গবেষণার ফলকে ‘চূড়ান্ত পর্যায়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো’ বলে উল্লেখ করেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের জওহরলাল নেহরু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মোহাম্মদ শহীদ বলেন, সুপারবাগ আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়া রোধে সত্যিকার অর্থে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এটাকে কোনোভাবেই অবজ্ঞা করা উচিত হবে না।
গবেষকেরা গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে এই গবেষণা পরিচালনা করেন। এর পরপরই তাঁরা সতর্ক করে দেন ভারতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা বিদেশি নাগরিকদের মাধ্যমে দেশটিতে সুপারবাগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ওই সময় ভারত সরকার বিজ্ঞানীদের আশঙ্কার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়।
যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান। নয়াদিল্লির পানিতে এই প্রথমবারের মতো এমন ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেল। প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, নয়াদিল্লিতে ক্ষুদ্র জলাশয় ও ছোট নদী থেকে পানির ১৭১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫১টি নমুনায় মেটালো-বেটা-ল্যাকটামেজ-১-এর (এনডিএম-১) সন্ধান পাওয়া যায়। আর ট্যাপের পানির ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে এর দুটিতে এনডিএম-১-এর সন্ধান মিলেছে। এনডিএম-১ হলো এমন একটি জিন, যা ব্যাকটেরিয়াকে প্রায় সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধে সক্ষম করে তুলতে পারে। ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম এনডিএম-১ জিন শনাক্ত করা হয়। নয়াদিল্লির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত পানির নমুনায়ও এনডিএম-১ পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১১ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া এনডিএম-১ জিন বহন করে। এর মধ্যে কলেরা ও আমাশয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াও রয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ও এনডিএম-১ ছড়িয়ে পড়া রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। ভারতের অন্যান্য শহর এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে গবেষণা হওয়া দরকার।
গবেষক দলের প্রধান টিম ওয়ালস বলেন, ‘খাবার পানি, ধোয়া ও খাবার তৈরির জন্য ব্যবহূত পানি, ক্ষুদ্র জলাশয় ও ছোট নদী যেখানে ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা করে সেই পানিতে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছি।’ তিনি গবেষণার ফলকে ‘চূড়ান্ত পর্যায়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো’ বলে উল্লেখ করেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের জওহরলাল নেহরু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মোহাম্মদ শহীদ বলেন, সুপারবাগ আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়া রোধে সত্যিকার অর্থে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এটাকে কোনোভাবেই অবজ্ঞা করা উচিত হবে না।
গবেষকেরা গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে এই গবেষণা পরিচালনা করেন। এর পরপরই তাঁরা সতর্ক করে দেন ভারতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা বিদেশি নাগরিকদের মাধ্যমে দেশটিতে সুপারবাগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ওই সময় ভারত সরকার বিজ্ঞানীদের আশঙ্কার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়।
No comments