বিদায় দেখছে চ্যাম্পিয়ন ইন্টার
ইন্টার মিলান চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান সেরা। নয়-নয়বার ইউরোপ-সেরার মুকুট পরা রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়নস লিগেরই ইতিহাস-সেরা। চ্যাম্পিয়নস লিগের পরশু রাতটি এই দুই সেরার কাটল দুই রকমের। রিয়াল মাদ্রিদ টটেনহাম হটস্পারকে উড়িয়ে দিল ৪-০ গোলে, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইন্টারকে তখন পুড়তে হলো শালকে জিরো ফোরের কাছে ৫-২ গোলে উড়ে যাওয়ার যন্ত্রণায়।
ইন্টারের এই পরাজয়টি আবার নিজেদেরই মাঠে। ফলে শেষ আটের প্রথম লেগে শেষে কার্যত শেষ হয়ে গেল তাদের শিরোপা ধরে রাখার আশা। সেমিফাইনালে যেতে হলে শালকের মাঠে গিয়ে কমপক্ষে ৪-০ গোলে জিততে হবে। ৩-০ গোলে ইন্টার জিতলেও অ্যাওয়ে গোলের কারণে সেমিফাইনালে চলে যাবে জার্মান ক্লাবটি।
অথচ ম্যাচের শুরুটা কী দুর্দান্তই না হয়েছিল ইন্টারের! প্রথম মিনিটেই বিস্ময়কর এক গোল করেছিলেন দেজান স্টানকোভিচ। শালকে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার গোল বাঁচাতে পেনাল্টি বক্সের শেষ প্রান্তে গিয়ে হেড করেছিলেন বলে। সেটি উড়ে সোজা চলে যায় নিজেদের সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা স্টানকোভিচের কাছে। দারুণ এক ভলিতে ৫০ মিটার দূর থেকেই বল জালে পৌঁছে দেন সার্বিয়ান মিডফিল্ডার।
শুরুর এই নাটকীয়তা ছিল প্রথমার্ধজুড়েই। প্রথম ৪৫ মিনিটেই ৪ গোল! ২-২ সমতা। শালকের স্টানকোভিচ গোলটি শোধ করে দেন ১৭ মিনিটে। ৩৪ মিনিটে ইন্টারকে এগিয়ে দেন ডিয়েগো মিলিতো। এবার সমতা ফেরান এডু। তখন থেকেই ম্যাচে শুধুই এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা শালকে। ৫৩ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক অধিনায়ক রাউল চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর ৭০তম গোল করে স্কোরলাইন করেন ৩-২। ৫৭ মিনিটে রানোচ্চিয়ার আত্মঘাতী গোল। ৭৫ মিনিটে এডুর দ্বিতীয় গোল ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় ইন্টারকে।
ইন্টার মিলান আর ফিরতেও পারেনি। এ ম্যাচে পারেননি, এর আগে ইতালিয়ান লিগের সর্বশেষ ম্যাচেও নগর প্রতিপক্ষ এসি মিলানের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে। তবে কোচ লিওনার্দো স্বপ্ন দেখছেন, পরাজয়ের এই বৃত্ত থেকে তাঁর দল দ্রুতই বেরিয়ে আসবে।
শালকে কোচ রালফ রাংনিক জানেন ৫-২ গোলের জয়টি তাদের সেমিফাইনালের প্রান্তে নিয়ে গেছে। তবু ম্যাচ শেষে তাঁর কণ্ঠে ‘আফসোসের’ সুর, ‘ফলটা ১০-৫ বা ৮-৪ হতে পারত। আমাদের আক্রমণাত্মক খেলার পরিকল্পনা কাজে লেগেছে। আমরা সব সময়ই পোস্টে শট নিতে চাই।’
প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে শট নেওয়ার সংজ্ঞা অবশ্য কাল টটেনহামকে ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে। মোট ২৫টি শট নিয়েছে তারা। এর মধ্যে ৪টি গোল পেয়েছে। জোড়া গোল করেছেন ইমানুয়েল আদেবায়োর (৪ ও ৫৭ মিনিট); অন্য দুটি অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া (৭২ মিনিট) ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর (৮৭)।
পরিষ্কার ব্যবধানে পরাজয়। টটেনহাম কোচ হ্যারি রেডনাপ অবশ্য পরাজয়ের কারণ দেখছেন ম্যাচের ১৫ মিনিটেই দুই হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় পড়ে পিটার ক্রাউচের মাঠ ছাড়তে হওয়াকে, ‘আমি হতাশ। ১০ জন হয়ে যাওয়ার পর জয়ের জন্য জাদুকরি কিছুই করতে হতো।’ রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হোসে মরিনহো খোঁচা দিয়ে যেন জ্বালাটা আরেকটু বাড়িয়ে দিতে চাইলেন টটেনহাম কোচের, ‘রেডনাপের প্রতি সহানুভূতি আছে আমার। চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০ জন নিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আমারও আছে।
ইন্টারের এই পরাজয়টি আবার নিজেদেরই মাঠে। ফলে শেষ আটের প্রথম লেগে শেষে কার্যত শেষ হয়ে গেল তাদের শিরোপা ধরে রাখার আশা। সেমিফাইনালে যেতে হলে শালকের মাঠে গিয়ে কমপক্ষে ৪-০ গোলে জিততে হবে। ৩-০ গোলে ইন্টার জিতলেও অ্যাওয়ে গোলের কারণে সেমিফাইনালে চলে যাবে জার্মান ক্লাবটি।
অথচ ম্যাচের শুরুটা কী দুর্দান্তই না হয়েছিল ইন্টারের! প্রথম মিনিটেই বিস্ময়কর এক গোল করেছিলেন দেজান স্টানকোভিচ। শালকে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার গোল বাঁচাতে পেনাল্টি বক্সের শেষ প্রান্তে গিয়ে হেড করেছিলেন বলে। সেটি উড়ে সোজা চলে যায় নিজেদের সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা স্টানকোভিচের কাছে। দারুণ এক ভলিতে ৫০ মিটার দূর থেকেই বল জালে পৌঁছে দেন সার্বিয়ান মিডফিল্ডার।
শুরুর এই নাটকীয়তা ছিল প্রথমার্ধজুড়েই। প্রথম ৪৫ মিনিটেই ৪ গোল! ২-২ সমতা। শালকের স্টানকোভিচ গোলটি শোধ করে দেন ১৭ মিনিটে। ৩৪ মিনিটে ইন্টারকে এগিয়ে দেন ডিয়েগো মিলিতো। এবার সমতা ফেরান এডু। তখন থেকেই ম্যাচে শুধুই এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা শালকে। ৫৩ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক অধিনায়ক রাউল চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর ৭০তম গোল করে স্কোরলাইন করেন ৩-২। ৫৭ মিনিটে রানোচ্চিয়ার আত্মঘাতী গোল। ৭৫ মিনিটে এডুর দ্বিতীয় গোল ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় ইন্টারকে।
ইন্টার মিলান আর ফিরতেও পারেনি। এ ম্যাচে পারেননি, এর আগে ইতালিয়ান লিগের সর্বশেষ ম্যাচেও নগর প্রতিপক্ষ এসি মিলানের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে। তবে কোচ লিওনার্দো স্বপ্ন দেখছেন, পরাজয়ের এই বৃত্ত থেকে তাঁর দল দ্রুতই বেরিয়ে আসবে।
শালকে কোচ রালফ রাংনিক জানেন ৫-২ গোলের জয়টি তাদের সেমিফাইনালের প্রান্তে নিয়ে গেছে। তবু ম্যাচ শেষে তাঁর কণ্ঠে ‘আফসোসের’ সুর, ‘ফলটা ১০-৫ বা ৮-৪ হতে পারত। আমাদের আক্রমণাত্মক খেলার পরিকল্পনা কাজে লেগেছে। আমরা সব সময়ই পোস্টে শট নিতে চাই।’
প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে শট নেওয়ার সংজ্ঞা অবশ্য কাল টটেনহামকে ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে। মোট ২৫টি শট নিয়েছে তারা। এর মধ্যে ৪টি গোল পেয়েছে। জোড়া গোল করেছেন ইমানুয়েল আদেবায়োর (৪ ও ৫৭ মিনিট); অন্য দুটি অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া (৭২ মিনিট) ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর (৮৭)।
পরিষ্কার ব্যবধানে পরাজয়। টটেনহাম কোচ হ্যারি রেডনাপ অবশ্য পরাজয়ের কারণ দেখছেন ম্যাচের ১৫ মিনিটেই দুই হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় পড়ে পিটার ক্রাউচের মাঠ ছাড়তে হওয়াকে, ‘আমি হতাশ। ১০ জন হয়ে যাওয়ার পর জয়ের জন্য জাদুকরি কিছুই করতে হতো।’ রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হোসে মরিনহো খোঁচা দিয়ে যেন জ্বালাটা আরেকটু বাড়িয়ে দিতে চাইলেন টটেনহাম কোচের, ‘রেডনাপের প্রতি সহানুভূতি আছে আমার। চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০ জন নিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আমারও আছে।
No comments